সৃষ্টির সাহিত্য যাপন"বৃষ্টির ঝর্ণা"--রেশমা বেগম ৬.৬.২০২১ ইং
টাপুর-টুপুর বৃষ্টির ঝর্ণা সারাবেলামন নাচে উচাটনে আত্মভোলা,ঘনঘোর বরিষণে গগন লুকিয়েসন্ধ্যাতারা ঘুরে ফিরে পালিয়ে।
মনো-অরণ্যে কাব্যের বৈঠকী চলেক্লান্তহীন পালকে ন…
সৃষ্টির সাহিত্য যাপন
"বৃষ্টির ঝর্ণা"
--রেশমা বেগম
৬.৬.২০২১ ইং
টাপুর-টুপুর বৃষ্টির ঝর্ণা সারাবেলা
মন নাচে উচাটনে আত্মভোলা,
ঘনঘোর বরিষণে গগন লুকিয়ে
সন্ধ্যাতারা ঘুরে ফিরে পালিয়ে।
মনো-অরণ্যে কাব্যের বৈঠকী চলে
ক্লান্তহীন পালকে নিবিড় সম্মোহনে,,
শব্দ,বাক্যের কন্টকহীন লুকোচুরি
সামলাতে হয় মনোনিবেশনে চাতুরি।
গুড়ুম-গুড়ুম অম্বর ডাকে স্ব-অস্তিত্বে
হৃদয় অলিন্দে প্রেমাবেগ স্বস্তিতে,
পিঞ্জরে বাজে সারেঙ্গী-গীত তরঙ্গে
বৈরাগী কুহুক প্রভাতে নিঃসঙ্গে।
সবুজপ্রকৃতি নব্য-পত্রের ডানা মেলে
বৃষ্টির ঝর্ণা চেয়ে-চেয়ে মুচকি খেলে,
সোনা-রোদ্দুর কোথায় গেলো হারিয়ে
মধুচন্দ্রিমা নিশি কাহন চালিয়ে।
গোধূলি লগনে আঁধারের নিমন্ত্রণে
কোথায় অনিয়মে হাঁসগুলি ছন্দপতনে,
খালের পানিতে বইচা-পুটির নাচনি
রুপোলী চিকিমিকি রঙিন সাজনি।
আষাঢ়ের আগমনে দিগম্বরী বৃষ্টি-নূপুর
খলখলিয়ে ভাসিয়ে পথ-ঘাট পুকুর,
তাপদাহে বিমর্ষ, ওষ্ঠাগত মনপ্রাণ
শীতলা আবেশে জুড়ায় পরাণ।
ঢাকা, বাংলাদেশ।