দেবাঞ্জন দেব।আই এ এস।এখন বলছেন ভুয়ো।কিন্তু এতদিন যে উনি ক্ষমতার অলিন্দে ঘুরে বেড়ালেন।নিজেকে যুগ্ম সচিব পরিচয় দিয়ে নেতা নেত্রী দের সঙ্গে চপ কাটলেট খেলেন সে কথা তো কেউ বলছেন না।আজ ধরা পড়ে যাওয়ার পর সকলেই ব্যস্ত নিজেদের গা থেকে ঝেড়ে…
তরুণ চট্টোপাধ্যায় |
পুরসভার অলিতে গলিতে যার অবাধ গতিবিধি ছিল বলে জানা যাচ্ছে ।প্রশ্ন উঠেছে তিনি সবার সামনে বুক ফুলিয়ে এই সব কীর্তি কলাপ করে গেলেন কোন মন্ত্র বলে।
দেবাঞ্জন বাবু আপনি আমার অন্তত একটি উপকার করলেন।সেটি হলো আই এ এস দের সম্পর্কে আমার একটি উচ্চ ধারনা ছিল।নিজে না হতে পারলেও পরবর্তী প্রজন্ম কে আই এস করার বাসনা মনে মনে পোষন করতাম।কিন্তু ভুয়ো আই এ এস হয়ে আপনি যে ভাবে গাড়ী হাঁকিয়ে কলকাতা দাপিয়ে বেড়ালেন।তাতে আমার মোহভঙ্গ হয়েছে।তাই স্যালুট আপনাকে।আর ভাবছি এ রাজ্যে আরো আছে নাকি আপনার মত আই এ এস।
ভুয়ো ভ্যাকসিন দিয়ে আপনি এখন সংবাদের শিরোনামে।দরকার কি ছিল সাধারণ মানুষ কে এই বিড়ম্বনার মধ্যে ফেলা।বেশ তো নেতা নেত্রী দের সঙ্গে ঘুরে মৌরসী পাট্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এর মধ্যে কি আবার নতূন কোন ছক।এতো দেখছি ঠগ বাছতে গাঁ উজাড় ।সরি কলকাতা উজাড় তো করলেন বেশ দক্ষতার সঙ্গেই ।
যে যাই বলুন,আপনাকে চেনেন না।আসলে কি তাই।কেউ না চিনলে এত কিছু করলেন কি ভাবে।
জানি যেটুকু প্রকাশিত তা হিমশৈলের সামান্য অংশ।বাকি আরো গভীরে।ঠিকঠিক তদন্ত হলে তা প্রকাশিত হবে।কিন্তু তা যদি হয় মঙ্গল ।
কারন আপনার হাত যে লম্বা সেতো বুঝতে পারছি।আপনার কানেকশন নিয়ে ও সন্দেহ নেই।
শুধু একটি প্রশ্ন জাগছে কলকাতার বুদ্ধিজীবী বাতিওলারা আজ কোথায় ।করোনার বাজারে কি বাতি অমিল।মানুষকে ধরে ধরে শরীরে ভ্যাকসিনের নামে আর কি কি ঢোকালেন তা আপনিই জানেন।
দুর্নীতি আগেও ছিল আজও আছে।বাজারে জাল ওষুধ যে তৈরি হয় তাও জানি।কিন্তু পুরসভার ব্যানার লাগিয়ে জ্বাল ইনজেকশন ।ভাবতে গিয়ে গা শিউরে যাচ্ছে ।
আই এ এস।না না এ রাজ্যে তো নয়ই ।আসল নকল অনেক দেখেছি।তা বলে ভুয়ো আই এ এস।এবার তো দেখছি ভ্যাকসিন নেওয়ার আগে সই সিল সব দেখে নিতে হবে।
আপনার শিকড়ের গভীরতা কত দূর ।বড় জানতে ইচ্ছে করছে।জানি হয়তো সব ঠিক হ্যায় ।কিন্তু আপনার এলেমের তারিফ না করে যে থাকতে পারছি না আই এ এস দেবাঞ্জন বাবু।আসল কি নকল জেনে কি করবো।আপনি তো মাস্টার আই এ এস।কতদিন ধরে চালিয়ে গেলেন আপনার সম্রাজ্য।
আপনাকে নিয়ে আবার লেখার ইচ্ছে রইলো।যদি করুনা করে পুলিশ কে সব বলেন।না হলে তো আবার কোন নতূন গল্প ।যা ক্রাইম থ্রিলার কেও হার মানায় ।
পাথরে লেখো নাম
সে নাম ক্ষয়ে যাবে
হৃদয়ে লেখ নাম
সে নাম রহে যাবে।
না পাথরে লেখা নাম ক্ষয়ে যাইনি।সেই ফলক ভেঙে ফেলা হয়েছে।আসলে সকলেই চাইছেন আজ দেবাঞ্জন দেব কে মুছে ফেলতে।কিন্তু উনি যে মানুষের হৃদয়ে প্রবেশ করে গেছেন।এত সহজে মুছবে কি করে।ভুয়ো আই এ এস শুধু নয়,ভুয়ো ভ্যাকসিনের জন্মদাতা।আরো কত ভুয়ো সে কথা ভবিষ্যত ই বলবে।
আসুন একটু পরিচয় করে নেওয়া যাক এই ভুয়ো আই এ এসের সঙ্গে ।হিমশৈলের চূড়া তো সবে দেখা গেছে।আস্তে আস্তে
পর্দা উঠবে এ আশা তো করতেই পারি। দোষ কোথায় ।
কলকাতার শিয়ালদহের টাকি হাউসের ছাত্র ছিলেন বলে জানা গেছে।তবে জাল যে আই এ এস তাঁর যে কোনটা সত্যি কোনটা মিথ্যা তা বলা শক্ত ।তারপর চারুচন্দ্র কলেজ থেকে জুওলজিতে স্নাতক।এর পর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ।বিষয় জেনেটিক্স।তবে তা অসম্পূর্ণ ।
আরো নানা ঘাটে জল খাওয়া ।ব্যাবসা শুরু মাস্ক স্যানিটাজর ও পি পি কিট।তাও আবার সেই বাবরি মার্কেটের অলিগলি।
নবান্নের জাল প্যাড,নীল গাড়ি এসব তো সকলেরই জানা।
কলকাতা লাগোয়া আনন্দ পুরের মাদুর দহের 218 নং হোসেন পুরের বাসিন্দা।বয়স 28 ।
বাবা মনোরঞ্জন দেব চাইতেন ছেলে আই এ এস হোক।তাই হয়েছেন।শুধু যা ধরা পড়ে গেলেন এই আর কি।তবে বাড়ির নেমপ্লেটে জ্বলজ্বল করতো আই এ এস লেখাটি।বাবা কে জানিয়েছিলেন তিনি আই এ এস হয়ে গেছেন।সেই জন্য এই নেম প্লেট।
যাক তদন্ত চলছে।দাবি উঠছে সিবিআই তদন্তের ।
সাংবাদিকতার খাতিরে কিছু কিছু ভিন রাজ্যের সাংবাদিক দের ফোন পাই নানা ইস্যুতে ।এবার ও পাচ্ছি।
তবে আমার একটাই চিন্তা ।একটি ডোজ হয়ে গেছে আমার।পরের টি সময় হয়ে এলো।আর যেদিন হাতে সারটিফিকেট পাব সেদিন ই চলে যাব অঙ্কনের ওখানে।
কিন্তু ভিন রাজ্যে যদি আমার দিকে সকলে বাঁকা চোখে দেখেন।আমার সারটিফিকেট টি জাল কিনা।ফ্লাটে ঢুকতে দেয় না যদি।
অনেক যদি রয়েছে ভুয়ো আই এ এস কে ঘিরে।
আর সেই যদির ফাঁকে আমি ও আটকে পড়ি।
দেবাঞ্জন দেব।দারুন দেখালেন মাইরি।থাকলে আরো দেখাতেন।
কিন্তু আমাদের মাথা হেঁট করলেন কেন।আমরা তো আপনার পাকা ধানে মই দিইনি।
তরুণ চট্টোপাধ্যায় ।