: ছেলেবেলার স্মৃতিস্বরচিত কবিতামিঠু ভট্টাচাৰ্যকত সুন্দর ছিল আমার সেদিন ছেলেবেলা.পাঠের সময় পাঠ না ছিল শুধুই খেলার মেলা..ধানের খেতে কাশবনে নদীর ধারে ধারে...ভাইবোন সবাই মিলে বন ভোজনের তরে...নাচ গান রুমাল চোর লুকোচুরির মাঝে...কুমীর…
:
![]() |
মিঠু ভট্টাচার্য |
স্বরচিত কবিতা
মিঠু ভট্টাচাৰ্য
কত সুন্দর ছিল আমার সেদিন ছেলেবেলা.
পাঠের সময় পাঠ না ছিল শুধুই খেলার মেলা..
ধানের খেতে কাশবনে নদীর ধারে ধারে...
ভাইবোন সবাই মিলে বন ভোজনের তরে...
নাচ গান রুমাল চোর লুকোচুরির মাঝে...
কুমীর ডাঙ্গা আব্বুলিশ অন্তরে বাঁশি বাজে...
ছিলোনা আধুনিককরণ আমাদের শৈশবে....
খেদ ছিলোনা মোটেই তাতে না কোনো বৈভবে....
প্রকৃতির কোলে মোরা পরিজনের সাথে...
বড় হয়ে উঠেছিলাম মাঠে ঘাটে বাটে....
পথ মধ্যে ছিলোনা তখন বিভিষিকা নৃশংশতা...
ধনী দরিদ্র বন্ধুত্বে হতোনা এমন কথা....
মামারবাড়ির দুর্গাপুজোয় যেতাম মোরা কালনা... দাদু দিদা মামা মাসি ছিলো মোদের খেলনা....
পুজোর ফুল নৈবেদ্দ আল্পনা চামর দোলা....
নির্মল আনন্দে শৈশব কেটেছে ছেলেবেলা.....
একসাথে সবাই মিলে ঘরের খাওয়া দাওয়া....
সুস্থ ছিলাম সবাই মোরা
ক্ষোভ ছিলোনা না পাওয়া..
পড়ার বাঁধন শৃঙ্খলাতে নাচ গানের স্কুল ..
কখনো শিখিনি ধরতে হবে গুরুজনদের ভুল.... সরস্বতী পূজা ছিল হলুদ শরীর ঢল..
খিচুড়ি খেতে সবাই মিলে বিদ্যালয়ে চল..
ভ্যালেন্টাইন্স ডে আমরা মানাইনি মোটে..
ভালোবাসা তাতে কম ছিলোনা স্মৃতির প্রেক্ষাপটে...
কথায় কথায় জিম পার্লার দেখিনি কখনো..
মাঠে ঘাটে ছুটে খেলে স্বাস্থ্যবান বনো...
একসাথে সবাই মিলে বড় হয়ে ওঠা..
সহজ সরল জীবন ছিল আমাদের জীবন কথা...
মোবাইল টিভি ল্যাপটপ শিখিয়েছে এখন অনেক বিদ্যাকলা..
হারিয়ে গেছে এখন শৈশব করে দিয়েছে একেলা...
শৃঙ্খলা সম্মান অধ্যবসাই সহনশীলতা...
শিখেছিলাম এই গুলোই মানুষ হওয়ার সভ্যতা...
অনুভূতিহীন জীবন মোরা কাটাইনি ছেলেবেলায়..
সুখের সে দিন ছিল সখা প্রাণের মাঝে আয়..
🌸🌸🌸🌸🌸🌸🌸🌸🌸🌸🌸
কবিতার বাতায়ন.
কবিতার নাম. চড়ুইভাতি
কলমে. মিঠু ভট্টাচাৰ্য
তারিখ.29.1.21
মিঠু বাবলু পিকুন পিনু সবাই এসেছে..
আম গাছটার তলায় যেন তারা হেঁসেছে..
রাঁধুনিদের শখের রাঁধার পরে গেলো ধুম.. শীত কালের চড়ুইভাতি নেইকো তাঁদের ঘুম..
কেউ এনেছে কৌটো ভরা খানিক আতপ চাল..
কেউ বা আনে আলু ডিম সঙ্গে মুগের ডাল.
কেউ এনেছে পুজোয় কেনা অনেক রকম খুড়ি.
কেউ এনেছে ছোট্ট বটি কেউ এনেছে ছুরি..
কেউবা ধোয় কলাপাতা খিচুড়ি রাঁধে কেউ.
আলুভাজা ডিম ভাজা চাটনি রাঁধে কেউ.
বসে গেছে কিশোরগুলো বিপুল আয়োজনে.
ব্যস্ত সবাই আজকে তাঁদের চড়ুইভাতির দিনে.
ক্রিকেট বল কত কি game রুমাল চোর খেলা.
নাচের গানে কবিতায় কাটবে সারা বেলা..
ঝুড়ি ভরেই কমলালেবু পাটালি মিষ্টি দই..
সারাদিন হই হুল্লোড় করবে যে হৈচৈ.
ফুলেশ্বর গড়চুমুক রূপনারায়ণ এর ধারে.
চড়ুইভাতির মজাটা হবে দীঘা ডায়মনডহার বারে ..
বন ভোজনে ভাত খাবে যে চড়াই মোদের সাথে.
চড়ুইভাতি নাম টা যে তাই লিখে দিলাম খাতে..
লুপ্ত এখন চড়ুই পাখি. সব ই নতুন আমদানি..
এখন পিজা মোমো চউমিন মটন বিরিয়ানি...
সেদিনের সেই কিশোরগুলো প্রউড়ো যে আজ সব.. চড়ুইভাতির দিনগুলো ভেবে আজ করে কলরব....
সুখের সেদিন ছিল মোদের জীবন সরল সহজ..
স্মৃতিরপাতায়
ই লিখে দিলাম ভরিয়ে পাতা কাগজ.....nomoskaar
🌺🌺🌺🌺🌷🌷🌷🌷🌺🌺🌺🌺
: ছন্দ বিন্যাস
মিঠু ভট্টাচাৰ্য
দাও ফিরে সে অরণ্য
হে বনানী
হে অরণ্য আলিঙ্গন করি তোমারে. জাগে শিহরণ.....
মানুষ বর্ষে বর্ষে সনে সনে হিংস্রতা করে অকারণে....
বঞ্চনা হাল আজ মানুষ কে দিয়েছে সংঘাত ক্ষত.....
শিকড় হতে নির্মূল করে ধ্বংসলীলা করেছি যত......
আশ্রয় খাদ্য স্নেহ ছায়া দিয়েছো তুমি অবিরত.....
অসংখ্য আজ প্রার্থনা করি তোমাকে রক্ষা হবে এ ব্রত...
মানুষ প্রাণীকে মাতৃস্নেহে যে করেছো তুমি উপকার....
তোমারে সমূলে নষ্ট করে শিহরিত হয় বারংবার....
আজ মহামারীতে আক্রান্ত মনে তে বাজে শঙ্কা.....
অক্সিজনেরঅভাবে মৃত্যুমিছিল বাজে যে মনে আশঙ্কা.....
দাও ফিরে সে অরণ্য বনানী অটবি এ ধরা সবুজ.....
ক্ষমা করো মানুষেরে প্রকৃতি মা আরাম যে অবুঝ..... 🙏🙏🙏
🥗🥗🥗🥗🥗🥗🥗🥗🥗
🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺
🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷:
বিষয়.. পথশিশু
শিরোনাম.. পথের যীশু
কলমে মিঠু ভট্টাচাৰ্য
দেশভাগ হয়েছিল বুঝি বুকের মধ্যে কাঁটাতার...
ওপার এপার দুই বাংলা আমার অহংকার....
বিননি ধানের ভাত ফুটিয়ে মা খেতে দিতিস ভোজ..
আজকে কেন পথে ঘাটে ক্ষুধা অন্নের্ খোঁজ....
একদিন নিভবে ক্ষুধা রইলো ভাতের আশা...
ঝুপড়ি নয় ফুটপাথ এ নয় মা বানাবো যে বাসা....
বাপ টা কোথায় বল দিকিনি চলে গেলো নিরুদ্দেশে...
পথ টাকেই ঘর বানিয়ে রয়ে গেলাম অবশেষে....
ক্ষুধা তৃষ্ণা যন্ত্রনা যে মা বড়োই মলিনতা...
মন্ত্রী বদল হাওয়া বদল বদলালো যে সততা...
বিবেক আবেগ জাগেনা মা পথের আমরা শিশু...
কবি নাকি লিখে গেছেন আমরা ফুটপাথের যীশু.... 🙏😭