Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

পাঁশকুড়া ও তমলুক পৌরসভার বেশিরভাগ ওয়ার্ড জলের তলায়, বাসিন্দাদের ক্ষোভ

বাবলু বন্দ্যোপাধ্যায়। কোলাঘাটওয়ার্ডে ওয়ার্ডে জল জমার সমস্যা এখনকার নয়, বছরের পর বছর ধরেই দেখা যায়। প্রত্যেকবারেই পৌরসভা নির্বাচনে জনপ্রতিনিধিরা প্রতিশ্রুতি দেয় ক্ষমতায় আসলে সমস্যা সমাধান করা হবে। অদ্ভুত ব্যাপার…



বাবলু বন্দ্যোপাধ্যায়। কোলাঘাট

ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে জল জমার সমস্যা এখনকার নয়, বছরের পর বছর ধরেই দেখা যায়। প্রত্যেকবারেই পৌরসভা নির্বাচনে জনপ্রতিনিধিরা প্রতিশ্রুতি দেয় ক্ষমতায় আসলে সমস্যা সমাধান করা হবে। অদ্ভুত ব্যাপার ক্ষমতার আসার পর ভোটের আগের সেই কথা কে কেউ রক্ষা করেনি। ফলস্বরূপ দেখতে পাওয়া যায় অতি বর্ষণে পৌরবাসীদের জল জমার নরক যন্ত্রণা। এমনই চিত্র দেখা গেল তমলুক ও পাঁশকুড়া পৌরসভার। তমলুক পৌরসভার ১,৪, ৮,৯,১৪,১৮ নম্বর সম্পূর্ণ জলের তলায়। পৌরসভার মোট ২০ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১২ থেকে ১৩টি ওয়ার্ড সম্পূর্ণ জলমগ্ন হয়ে পড়েছে এবারের বর্ষণে। তমলুক জেলা হাসপাতাল চত্বরের বিভিন্ন স্থানে জল করছে থৈথৈ। ভর্তি হওয়া রোগীদের আত্মীয়-স্বজনরা পড়েছে চরম সমস্যায়। তমলুক পৌরসভার পৌর প্রশাসক দীপেন্দ্র নারায়ন রায় জানান জল নিষ্কাশন এর জন্য ইতিমধ্যে পাম্প বসানো হয়েছে , তবে বর্ষণ হওয়ার কারণে সমস্যা দেখা দিয়েছে। এলাকার দুঃস্থ মানুষদের জন্য ইতিমধ্যেই ত্রিপল পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে পাঁশকুড়া পৌরসভার২,৩,৬,৮,৯,১৮ নম্বর ওয়ার্ডে জল জমায় পৌরবাসীদের জনজীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে। পাঁশকুড়া স্টেশন বাজার সম্পূর্ণ জলের তলায়। পাঁশকুড়ার মাইসোরা অঞ্চলে সাতাশটি মৌজা বৃষ্টির জলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই এলাকার সবচেয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছে সাধারণ কৃষিজীবী মানুষরা। পুরসভার চেয়ারম্যান নন্দ মিশ্র জানান বৃষ্টি না থামলে পরিস্থিতি আরো ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করবে। শুক্রবার সকাল থেকে অতিবৃষ্টি লক্ষ্য করা না গেলেও ঝিরঝির বৃষ্টি চলছে। কোলাঘাট ব্লকের নিচু এলাকাগুলো জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। কোলাঘাটের লকগেট খোলা থাকার ফলে হু হু করে কোলাঘাট ব্লকের প্রায় দুই শতাধিক মৌজায় জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। লকগেট বন্ধ রাখার আবেদন করা হয়েছে সেচ দপ্তরে। আবেদনের ভিত্তিতে লকগেট বন্ধ করে দিয়েছে সেচ দপ্তর। মেচেদা কেন্দ্রীয় বাস স্ট্যান্ডের অনতিদূরে শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লকের গুলুডিয়া গ্রামে অতিবৃষ্টিতে ভয়ানক আকার ধারণ করেছে। বাড়িতে বাড়িতে জল প্রবেশ করে একপ্রকার জনজীবন বিপর্যস্ত। নিকাশি ব্যবস্থা না থাকার জন্যই এই সমস্যা বলে জানান প্রতিবেশী সুকুমার মাইতি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রামকৃষ্ণ শিশু শিক্ষা নিকেতন থেকে শুরু করে বেশ কয়েকটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে বৃষ্টির জল প্রবেশ করেছে। কোলাঘাট ,পাঁশকুড়া, তমলুক ব্লকের বেশ কয়েকশো পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। বেশ কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন গৃহস্থরা। 

 শহীদ মাতঙ্গিনী ও কোলাঘাট ব্লকের প্রশাসন ক্ষয়ক্ষতির সার্বিক দিকটি দেখছে বলে জানা গেছে।