কবিতায় কিছুক্ষণ দীপকমেঘযুবতীর প্রতিবিম্বে ।। দীপক জানা
যে মেঘ বর্ষা আঁকতে জানেনা,মেঘদূত না কখনোইকান্না না থাকলে কি জীবনের সেচএই যে সবুজ গন্তব্য রেখায় পরিব্রাজক
পাহাড়ও ভেজেসেই সরোবরটা কেমন যেন থৈ থৈ গল্পছুঁয়ে দিলেই তো নদীতবে ক…
কবিতায় কিছুক্ষণ দীপক
মেঘযুবতীর প্রতিবিম্বে ।। দীপক জানা
যে মেঘ বর্ষা আঁকতে জানেনা,
মেঘদূত না কখনোই
কান্না না থাকলে কি জীবনের সেচ
এই যে সবুজ গন্তব্য রেখায় পরিব্রাজক
পাহাড়ও ভেজে
সেই সরোবরটা কেমন যেন থৈ থৈ গল্প
ছুঁয়ে দিলেই তো নদী
তবে কি মেঘ আর নদী দোসর
কেমন যেন সাগর সাগর গন্ধ লেগে থাকে
আঁশটে জীবনের
আর শরীর থেকে দানা দানা শরীর খসে পড়লে
ঠোঁট খুঁটে গাবিন হয় মেঘ
মেঘের জন্যই ঘর-দুয়ার
সাজার জন্যই সরোবর আয়না
আর মন খারাপের একটা জানালা থাকলেই
সব রাধাই কৃষ্ণ হয়ে যায়।
🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️
গগলস্ চোখের কাজল প্রলাপে ।। দীপক জানা
কাপরি ও টি-শার্ট মেঘ রাই-কিশোরী না
সিগারেটে আগুন থাকলেই তো ঝাঁজ
ক্যামেলিয়া কি রজনীগন্ধা
বর্ষার ঝিল্লি বিস্তার, বিলায়েৎ খাঁ
সরবতের গ্লাসে চা অবান্তর-
অথবা কফি ধোঁয়া হুইস্কি চয়েসে
তবুও মনের গাঙুরে ভেলা ভাসে
মৃত শরীর ঘিরে নারী
এসব বস্তাপচা গল্পের সাথে স্রোত
যেখানে কদম নেই
নদী কামড়ে কংক্রিট
এখন কোনো মেঘবালিকাই পাগলী হবেনা,
কলমের ঠোঁটে।
🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷:
রথটা এগোচ্ছেই ।। দীপক জানা
বিকলাঙ্গ করতে পারলে তুমি তো পুতুল
বেঁধে ফেলা সহজ
দড়ি দিয়ে টান, হিড় হিড়
দুটো কাঠের ঘোড়া, অবোধ
চাকাতে পিশে যেতে পারে আহত, নিহত শরীর
মোট কথা মাথায় পতাকাটা যেন ওড়ে
দড়িতে অসংখ্য হাত
পাগলামো মিশেল হলেই বৃষ্টি নামে
ধুয়ে যায় ইতিহাস
সত্যিই কি সব নোনতে-তরল মুছে যায়,
কুরুক্ষেত্র থেকে
জয়োদ্ধত কপিধ্বজ এগিয়ে যায় কালান্তরে
হাহাকার, অভিশাপ উপেক্ষায়।
🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹
বিনিদ্র এক রাত-সেতারে ।। দীপক জানা
ঘুম মোছা রাতে পাখিটা এসে বসলে
ডিজিট্যাল কাকটা ডেকে ওঠে
স্কিন থেকে সরে যায় শয্যাসুখ
এক বিছানা আগুনে আকাশ পোড়ে
পোড়া ভেলায় ভাসতে ভাসতে পেঁচা ডাকে
ছলাৎ ছল নোনা ফোঁটায় বিছুটির বংশ
কাঁকড়াবিছে-সকালেরও আগে
তিনটে দরজা খুলে যায়
পাঁচ জানালার হু হু বাতাসে ভিজতে ভিজতে
বর্ষামঙ্গলের কথাই ভাবি
নোঙর ইলিশ আতঙ্কের ফাঁদগুলো চেপে বসে
সমুদ্র উপাখ্যানের আগেই দমবন্ধ ঘাম-
ছুঁড়ে মারে বৈরাগ্য
যদিও জীবন স্যারের পাঠশালায় অ বর্ণই -
শেখা হলোনা, আজও।