Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

তমলুকে বাংলাদেশি ট্যাংরা চাষ

নিজস্ব সংবাদদাতা, তমলুক: জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা বাংলাদেশি গুলশা ট্যাংরার চাষ শুরু হল এবার তমলুকে। সেই লক্ষ্যে সিএডিসির তত্ত্বাবধানে প্রায় ৩০ হাজার বিলুপ্ত প্রায় এই টেংরার চারা ইতিমধ্যেই জেলায় এসে পৌঁছেছে।পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পঞ…

 


নিজস্ব সংবাদদাতা, তমলুক: জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা বাংলাদেশি গুলশা ট্যাংরার চাষ শুরু হল এবার তমলুকে। সেই লক্ষ্যে সিএডিসির তত্ত্বাবধানে প্রায় ৩০ হাজার বিলুপ্ত প্রায় এই টেংরার চারা ইতিমধ্যেই জেলায় এসে পৌঁছেছে।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের অধীনস্ত সংস্থা সি এ ডি সি। মোটের উপর হারিয়ে যাওয়া কই, সিঙ্গি ও মাগুর, টেংরা, সরপুটি সহ অন্যান্য মাছের পাশাপাশি মাশরুম, বিভিন্ন ফল, নারকেল সুপারির নার্সারি গড়ে গ্রাম বাংলার মানুষদের আধুনিক চাষের ক্ষেত্রে উৎসাহ দিয়ে থাকে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন প্রকল্পে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমেই এই চাষবাষের ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ ও নানা রকমের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের বিষয়ে বেশ সুনাম অর্জন করেছে সরকার অনুমোদিত এই সংস্থাটি। এর সুফল হিসেবে লকডাউন এর ফাঁপড়ে পড়ে যখন বিশ্বের অর্থনীতি একেবারেই তলানিতে। তখন উন্নত টেকনোলজিতে নির্ভর করে প্রাকৃতিক নিয়মে ভিয়েতনামি কই এর চারা উৎপাদন করে প্রায় ৭ লক্ষ টাকা লাভের ফসল ঘরে তুলে নজির গড়ে ছিল সিএডিসি। ফলে দেশের সঙ্কট জনক পরিস্থিতিতেও গ্রাম-বাংলার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি লাভের মুখ দেখিয়ে প্রশংসায় কেন্দ্রবিন্দুতে সরকার অনুমোদিত এই সংস্থাটি। এবার তাই আরো একধাপ এগিয়ে বাংলাদেশের জনপ্রিয় গুলশা টেংরা চাষের বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়। স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মাছ চাষের দিক থেকে রাজ্যের অন্যান্য জেলাকে ছাপিয়ে গেলেও এখনো অবধি হারিয়ে যাওয়া এই সকল মাছের চাহিদা বাজারে একেবারেই তুঙ্গে। কিন্তু পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় আপাতত নোনা টেংরা হিসেবেই বাজারে যে টেংরা বিক্রি হয় তা বর্তমানে ৮০০ থেকে হাজার টাকা কেজি। তাও আবার চাহিদার তুলনায় অনেকটাই কম। তাই পরিস্থিতির মোকাবিলায় এবং প্রয়োজন মেটাতে জনপ্রিয় বাংলাদেশের গুলশা টেংরা চাষের উদ্যোগ নেয় সি এ ডিসি। কারণ, এতদিন বাঁকুড়া পুরুলিয়া, মালদা মুর্শিদাবাদ এলাকায় খুবই অল্প পরিমাণে এই টেংরা মিলত। এমনকি গঙ্গাতে এই গুলশা টেংরা অল্প স্বল্প পরিমাণে মাঝিদের জালে উঠে আসে। সেই পরিস্থিতিতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এই প্রথম এই গুলাশা টেংরা চাষের উদ্যোগ নেয়া হয়। মূলত মিষ্টি জলে এই টেংরা চাষ হয়ে থাকে। তাই দেশীয় ছোট বড় পুকুর ঘাটে এই চারা খুব সহজেই বেড়ে উঠবে বলে আশাবাদী প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিরা। মৎস্য বিশেষজ্ঞদের দাবি, গুলশা টেংরা আকারে খানিকটা ছোট হলেও স্বাদের দিক থেকে নোনা টেংরার থেকে অনেক বেশি জনপ্রিয়। তাই ভিনদেশী এই ট্যাংরার চাষের বিষয় উৎসাহ দিতে প্রথম পর্যায়ে সিএডিসির তত্ত্বাবধানে প্রায় ৩০ হাজার টেংরা জেলায় নিয়ে আসা হয়েছে। যেগুলি মূলত সিডিসির ইরিঞ্চি খামারে এবং তমলুকের সিএডিসির সদর দপ্তরে বায়োফ্লক এর মাধ্যমে এই ট্যাংরার চারা প্রতিপালন শুরু করা হয়েছে। আগামী বছর এই চারা থেকে প্রচুর পরিমাণে গুলশা চারা উৎপাদনের মাধ্যমে জেলাব্যাপী ছড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এ বিষয়ে সি এ ডি সির তমলুক প্রকল্প আধিকারিক উত্তম কুমার লাহা বলেন, বাজারের চাহিদা মেটাতে জনপ্রিয় এই প্রথম এই ভিন দেশী গুলশা টেংরা চারা প্রতিপালনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই প্রায় ৩০ হাজার চারা আমদানি করা হয়েছে।