Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

নারী: নেতিবাচক নয় ইতিবাচক#(তিন)

#নারী: নেতিবাচক নয় ইতিবাচক#(তিন)নারী সম্পর্কে নেতিবাচক কথা বলে বলে নারীকে ছোট করা হয়। আমি মনে করি এটা অমার্জনীয় অপরাধ। নারীর জন্য অর্ধেকআকাশ নয় পুরো আকাশটাই তার বহুবার তারা নিজেরাই প্রমাণ করেছেন। পুরনো ধ্যান-ধারণাকে প্রাধান্য…

 


#নারী: নেতিবাচক নয় ইতিবাচক#(তিন)

অমৃত মাইতি
নারী সম্পর্কে নেতিবাচক কথা বলে বলে নারীকে ছোট করা হয়। আমি মনে করি এটা অমার্জনীয় অপরাধ। নারীর জন্য অর্ধেকআকাশ নয় পুরো আকাশটাই তার বহুবার তারা নিজেরাই প্রমাণ করেছেন। পুরনো ধ্যান-ধারণাকে প্রাধান্য দেওয়ার দিন চলে গেছে। পুরুষশাসিত সমাজের কথা বারবার বলার কোন প্রয়োজন হয় না। অথচ পুরুষশাসিত সমাজেই এই নারীর অনেক গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা যা সমস্ত অন্ধকারে আলোয় ঢেকে দেয়। আমার বক্তব্যের যৌক্তিকতা পাঠকদের কাছে তুলে ধরছি। আমি যাদের কথা বারবার বলছি বা এখন বলতে যাচ্ছি তারা কিন্তু তথাকথিত পুরুষশাসিত সময়ে জন্মেছিলেন এবং উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছেন যা আজকের ইতিহাস।

সাবিত্রীবাই ফুলে ১৮৩১সালের ৩ জানুয়ারি মহারাষ্ট্রের জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র নয় বছর বয়সে বিবাহ হয় ১৩ বছর বয়সী জ্যোতিরাও ফুলের সঙ্গে।

তখন তিনি অশিক্ষিত ছিলেন। তাঁর স্বামী তাঁকে শিক্ষিত করে তোলেন। পরবর্তীকালে সাবিত্রীবাই ফুলে কবি এবং শিক্ষিকা হিসেবে পরিচিতি লাভ করলেন। তিনি ভারতে প্রথম মহিলা স্কুল স্থাপন করে ইতিহাসের পাতায় নাম করে নিলেন। পিছিয়ে পড়া মহিলাদের সঙ্গে কাজ করলেন। সাবিত্রীবাই ফুলে কবি সাহিত্যিক শিক্ষিকা এবং সমাজ সংস্কারক।

১৯০ বছর আগে তাঁর জন্ম ।সমস্ত রকম অন্ধ কুসংস্কারের বিরুদ্ধে একজন নিম্নবর্ণের নারী

নিজেকে ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই করে নিলেন। তাঁকে আমার প্রণাম।

আমাদের সকলের পরিচিত প্রিয় কবি কুসুমকুমারী দাশ বরিশালে ১৮৭৫ সালে একুশে সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। স্বামী সত্যানন্দ দাস ব্রহ্মবাদী পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। তার সুযোগ্য সন্তান জীবনানন্দ দাশ বাংলা ভাষার অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি।

কবি কুসুমকুমারী দক্ষ সংসারী মানুষ। তার পরেও তিনি সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁকে দেখে বুঝতে পারি,"যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে"। সাহিত্য ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত কুসুমকুমারী। এখানে তাঁর একটি কবিতা উল্লেখ করা যেতে পারে।

"আদর্শ ছেলে"

আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে

কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে?

মুখে হাসি বুকে বল ,তেজে ভরা মন

"মানুষ হইতে হবে " -এই যার পণ।

বিপদ আসিলে কাছে হও আগুয়ান

নাই কি শরীরে তব রক্ত, মাংস, প্রাণ?

হাত পা সবারই আছে ,মিছে কেন ভয়?

চেতনা রয়েছে যার, সে কি পড়ে রয়?

সে ছেলে কে চায় বল ,কথায় কথায়

আসে যার চোখে জল ,মাথা ঘুরে যায়?

মনে প্রাণে খাটো সবে, শক্তি কর দান,

তোমরা 'মানুষ' হলে দেশের কল্যাণ।

    সমাজ চেতনা সাড়াজাগানো উৎসাহ ব্যঞ্জক উদ্দীপনাময় এই কবিতা মুখে মুখে উচ্চারিত হয়।

এখন সময় এসেছে নারী নিয়ে নেতিবাচক কথা আর নয়। নারী জাগরণের জন্য কেবলমাত্র ইতিবাচক উচ্চারণ এই সময় দাবী করতে পারে।

হীনমন্যতায় ভোগার দিন শেষ। এখন নারীদের অর্ধেক আকাশ নয় ,পুরো আকাশটাকে ভোগ করার দিন শুরু হোক।

(চলুক)