নিজস্ব সংবাদদাতা,গোপীবল্লভপুর,ঝাড়গ্রাম......... বরাবরই তিনি মানুষের পাশে থাকেন । আবারও মানবিক মুখ নিয়ে এগিয়ে এসে দুটি দুঃস্থ পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে আরো একবার মানবিকতার পরিচয় দিলেন "জঙ্গলমহল" এলাকা হিসেবে পরিচিত ঝ…
নিজস্ব সংবাদদাতা,গোপীবল্লভপুর,ঝাড়গ্রাম......... বরাবরই তিনি মানুষের পাশে থাকেন । আবারও মানবিক মুখ নিয়ে এগিয়ে এসে দুটি দুঃস্থ পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে আরো একবার মানবিকতার পরিচয় দিলেন "জঙ্গলমহল" এলাকা হিসেবে পরিচিত ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর এক নম্বর ব্লকের নয়াবসান জনকল্যাণ বিদ্যাপীঠের সংস্কৃত বিষয়ের শিক্ষক হেরম্ব নাথ চক্রবর্তী । গোপীবল্লভপুর ব্লকের বটতলাচকের বাসিন্দা তপন খামরি । স্বামী, স্ত্রী ও মাকে নিয়ে পরিবারের সদস্য সংখ্যা তিন । দিনমজুরের উপর ভিত্তি করেই দারিদ্র্যের সাথে লড়াই করা এই পরিবারটির জীবনযাত্রা অতিবাহিত হয় । কিছুদিন আগে তপন বাবুর মা,স্টোক জনিত কারণে প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হন এবং বর্তমানে কর্মক্ষমতা হারিয়ে তিনি শয্যাশায়ী । করোনা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বর্তমানে এই পরিবারটি কর্মহীন ।গোপীবল্লভপুর ব্লকের বাকড়া গ্রামের বাসিন্দা বিনতা মাইতি (65) । স্বামী মারা গিয়েছেন দীর্ঘদিন আগেই । একমাত্র মেয়ে বিবাহ সূত্রে থাকে বাইরে । দারিদ্র্যের সাথে লড়াই করা বিনতা দেবীর মুড়ি বিক্রি করে সংসার যাত্রা অতিবাহিত হয় । কিছুদিন পূর্বে কোভিড পজিটিভ হয়ে বিনতা দেবী হসপিটালে ভর্তি হন । করোনা জয় করে তিনি বাড়ি ফিরে এসেছেন । একটি সমাজসেবী সংস্থার মাধ্যমে এই দু:স্থ পরিবার দুটির সাথে যোগাযোগ হয় হেরম্ব নাথ বাবুর ।
খবর পেয়ে এই দুটি দুঃস্থ পরিবারের পাশে গিয়ে দাঁড়ান এই মানবদরদী শিক্ষক । শুক্রবার দিন হেরম্ব নাথ বাবু এই দুটি পরিবারের বাড়িতে গিয়ে ছাতু, দুধ,বিস্কুট, সোয়াবিন, হরলিক্স সহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় খাদ্য দ্রব্য এবং সাবানগুঁড়ি,সাবান, স্যাম্পু সহ বিভিন্ন নিত্য ব্যবহার্য দ্রব্য এবং চিকিৎসার জন্য নগদ কিছু অর্থ তাঁদের হাতে তুলে দেন । মানবদরদী শিক্ষকের এহেন মানবিক উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এলাকার সর্বস্তরের মানুষ ।