লেখকের কথায়বাল্য জীবন থেকে এক দীর্ঘ সময়ে জড়িয়ে আছে সাহিত্য। প্রথম শুরু করেছিলাম সেই সপ্তম শ্রেণীতে পড়ার সময়। বুঝতে পারতাম সমাজের ঠিক ভুল সত্য মিথ্যা মগজে তাই ধরে রাখতাম। বাড়ি গিয়ে তাই চিরকুট কাগজে লিখতাম। কেউ জানতে চাইল…
লেখকের কথায়
বাল্য জীবন থেকে এক দীর্ঘ সময়ে জড়িয়ে আছে সাহিত্য। প্রথম শুরু করেছিলাম সেই সপ্তম শ্রেণীতে পড়ার সময়। বুঝতে পারতাম সমাজের ঠিক ভুল সত্য মিথ্যা মগজে তাই ধরে রাখতাম। বাড়ি গিয়ে তাই চিরকুট কাগজে লিখতাম। কেউ জানতে চাইলে লুকিয়ে ফেলতাম যদি হাসাহাসি করে। একদিন মা দেখে খুব আনন্দিত হয়ে জিজ্ঞাসা করে আর কিছু লিখেছিস । সেদিন থেকে পর পর লিখা হয়ে ওঠে কবিতা গল্পও ।অনুপ্রাণিত করেছে আমার দেশ, তার রূপসজ্জা এখানে শেষ নয় ।দেশের কলঙ্কিত ঘটনার প্রতিবাদ করেছে আমার কলম।লিখালিখি করতে ভাল লাগে একটু সময় পেলে কলম ধরি।
শুধু সাহিত্যের হাল ধরা নয়। সাহিত্য আয়না মানুষের মুখমণ্ডলের সামনে তুলে ধরা।
সুযোগ পেলে মঞ্চে দাঁড়িয়ে কবিতা পাঠ করি। সাহিত্য এমন এক চরিত্র সব জায়গায় নিজ রূপে বিরাজমান।ভবিষ্যতে লিখালিখি করতে চাই। পথে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করি পাঠকের অনুপ্রেরনা।
******************
মহাপ্রস্থান
--------- সৈকত আদক
নাট্যকার নাটকের শেষ অংশ হস্তান্তরিত করেছেন।
বিবৃতি ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে এসেছে।
কঠোর ভাবে উল্লিখিত প্রস্থানের কথা।
পরমহংস ঠাকুরের মতো শ্রোতা
তোমায় ছাড়তে চায় না যে। আ…রো. ক্ষণিক সময়,
দর্শক এর অনুনয়- বিনয়, ক্ষণিক সময়।
পরবর্তি দৃশ্যের জন্য উদ্বিগ্ন নাট্যকার।
বেলার শেষ, অন্তিম দৃশ্য। বিষয়
“আলোচ্য অধ্যায়ের উপসংহার” লিখিত হবে।
প্রণেতার দল,স্রষ্টার দল
শ্বেত পত্রের ওপর কলম চেপে ধরেছে।
দীর্ঘ… সময়ের প্রতিবিম্ব আরো…উজ্জ্বল
দীর্ঘ লড়াই, দীর্ঘ সময়,কট্ কট্ শব্দ
ছিঁড়ছে। একের পর এক, একের পর এক,
প্রান্ত স্নায়ুর বাঁধন।
চাবুকের মতো উদ্দীপক শ্রোতা উঠে দাঁড়িয়েছে
প্রস্থান হবে… মহাপ্রস্থান…!।
🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺
পরিসমাপ্তি
--------সৈকত আদক
ক্ষনিকের বিশ্বযুদ্ধে সামিল হয়েছে সহস্র কোটি
অ- পারদর্শী সৈনিকের দল।
যুদ্ধে যে গোলা গুলির শব্দ বর্ণনা হীন,
তা শরীর আদলে স্পষ্ট জানান দেয়।
যুদ্ধের সরঞ্জাম আর সাজসজ্জা দেখে মনে হয় না
তাদের পরিশ্রম কত।
সৈনিকের দল নাকি গৃহ বন্দি হয়ে লড়াই করছে!!
যুদ্ধের স্বরূপ বর্ণনাকারি বর্ণনা শেষ করার আগে
বেশ ক্ষণিক বার বিশ্রাম করেছে।
হাসপাতলের বিছানা সজ্জায়
শত শত আহত প্রাণ,
হাতড়ে বেড়াচ্ছেন গুলির ক্ষত, আর
রক্ত ঝরার অস্থিমজ্জা!
মৃতের ভিড়ে শত শত পাতা ভেসে গেছে কলমের কালিতে।
যদি কোন ব্যক্তি দূরে দাঁড়িয়ে জানতে চায়,-
“তুমি কি দ্বিতীয় ব্যক্তি
বোধ হয় তুমি সংখ্যা নিতে শুরু করেছ”।
অনেক দিন আগে সাদা চামড়ার হাত থেকে বেরিয়ে আসা জীর্ণ আঙ্গুল
এক থেকে শুরু করেছিল,
তা সময়ের আগে কয়েক মুঠো মাটির তলায়
বিলিন হয়ে গেছে।
“আমি তোমার অস্তিত্ব জানিয়ে দিতে চাই
ইতিহাসের কোন পাতায়
শুধু তুমি শেষ অবধি সংখ্যা গুনবে,
অশ্রু নিঃসৃত কালিতে মৃত “শহীদ”এর সংখ্যা লিখবে”।
🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷
মাতৃসুর
_______সৈকত আদক
মাগো তোমার আঁচল তলে
রবে মোর সুখের জীবন
লতার মতো জড়িয়ে ধরি
তুমি যে মোর আপনজন।
হাসি যে আমি আপন সুখে
কাঁধি মাগো আপন দুঃখে
তব আমি রইব যেন মা
তোমাদের ওই দুধে ভাতে।
উঠোন তলে সকাল হলে
মায়ের মুখে খোকাই ভাসে
স্নেহের হাতে জড়িয়ে ধরো
দেখেই রবি ওঠেন হেসে।
ভোর হলে পাঠশালা পাড়ি
আনবো আমি জ্ঞ্যান আলো
ফেলোনা মাগো চোখের জল
ঘুঁচবে জম যাতনা কালো।
যদি বা থাকি দূরের দেশে
পাইনি নাগাল আসে পাশে
চোখের জলে আয়না গড়ি
দেখি তোমার মুখটি ভাসে।
শিশির আসে দূর্বা ঘাসে
শরৎ যেমন কাশে কাশে
আসুক দুঃখের হিমালয়
রইব মাগো তোমার পাশে।
বৃদ্ধ বেলা দুঃক্ষ গুলো
দেখতে বা বেশ যোমকালো
আসবে গো আমার মৃত্যু কালে
তখন ও, রেখ মা তোমার আঁচল তলে।