শিক্ষার প্রদীপ ঘিরে আছে পশ্চিমবঙ্গের আনাচে কানাচে।শুধু মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক কেন।স্নাতকে প্রায় শতকরা একশো ভাগ ছেলেমেয়ে তিন শাখাতেই পাশ করে দেখিয়ে দিলেন ক্যারিশমা কাহারে কয়।শিক্ষা জগতের রেকর্ড ফল লাভ।তোফা তোফা।এই রাজ্যের গিনিপি…
তরুণ চট্টোপাধ্যায় । |
এই রাজ্যের গিনিপিগ শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে অভিজ্ঞতার ভাড়ার খুব একটা কম নয়।সে কি বাম আমল কি ডান।কখনো প্রাথমিক স্তর থেকে ইংরেজি তোলা থেকে শুরু করে আবার পাশফেল প্রথা তুলে দেওয়া । আর তারই সর্বশেষ সংস্করণ কোভিড পরিস্থিতিতে লেখা পড়ার মান যখন শূন্য,ঠিক তখন ঢালাও পাশের তকমা। আর সেই ঢালাও পাশ ও অব্যাহত রইলো স্নাতকে।
গতকাল ফল ঘোষনা করে ঢাকঢোল পিটিয়ে বলা হলো পাশের হার কোথাও শতকরা 99,আবার কোথাও বা তা 100।
অতিমারী পরিস্থিতিতে এবার প্রায় এক লক্ষ্য পড়ুয়া বাড়িতে বসেই পরীক্ষা দেন।বিশ্ববিদ্যালয় শুধু প্রশ্ন টুকুই তৈরি করেন।পরীক্ষা নেয় কলেজ ই।পরীক্ষার্থী রা অনলাইনে নিজেদের কলেজেই উওর পত্র জমা দেন।আর সেই কলেজের শিক্ষক শিক্ষিকারাই খাতা দেখে নম্বর দেন।
ফল প্রকাশের পর দেখা যায় ছাত্র ছাত্রীরা কামাল করেছেন।একশো তে প্রায় একশো ভাগ পাশ।তোফা তোফা তো বলতেই হয়।এই রাজ্যের স্নাতকে যেখানে একশো তে চারজন পাশের রেকর্ড আছে,সেখানে একশোয় একশো।এতো অনাবিল সাফল্যের গল্প ।
উপাচার্য সোনালী চক্রবর্তী বন্দোপাধ্যায় জানান,31 শে আগস্টের মধ্যে ফল প্রকাশ করার কথা ছিল।সেই অনুযায়ী লক্ষাধিক পরীক্ষার্থীর ফল আমরা ঠিক সময়ে প্রকাশ করেছি।আজ বুধবার থেকে কলেজে কলেজে মার্ক শীট দেওয়া হবে।
ভালো কথা।পরীক্ষার মান নিয়ে ও কোন প্রশ্ন উঠছে না।
কিন্তু সাধারণের প্রশ্ন এতো ছেলেমেয়ে মাস্টার্স করতে এগিয়ে এলে বিশ্ববিদ্যালয়ে জায়গা হবে তো।
এটি অবশ্য শিক্ষা দপ্তর জানেন।আমরা শুধু আহ্লাদিত ।একশোয় একশো নিয়ে ।
ভালো হলে তো সবার ভালো।
আর বেশ কিছুদিন ধরে দেখা যাচ্ছে পরীক্ষার ফল বলছে ইস্কুল কলেজ বন্ধ থাকলেও পরীক্ষার ফল খারাপ নয়।বরং তা সন্তোষজনক কেও ছাপিয়ে অতি ভালো হচ্ছে ।
তবে কি কোটি কোটি টাকা ব্যায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলির খোল নলচে বদলানোর সময় এসেছে।অনলাইনে যে ফল আসছে,যখন ইস্কুল কলেজ খোলা ছিল তখন তো তা আসেনি।
নাকি সবটাই কোভিডের শান্ত্বনা পুরস্কার ।
বিচারের ভার ভবিষ্যতের হাতে।