** ছেলেবেলা ** শিবপ্রসাদ মণ্ডল।০৪/০৯/২১***সৃষ্টি সাহিত্য যাপন*****--------ছেলেবেলার দিনের কথা যখন তখন মনে আসে,ছবির মতো স্পষ্ট সবই যেমন রবি পূর্বে হাসে।সকালবেলা সূর্যকিরণ ছুঁতো যখন আমার গায়,মা ডাকত…
** ছেলেবেলা **
শিবপ্রসাদ মণ্ডল।
০৪/০৯/২১
***সৃষ্টি সাহিত্য যাপন**
***--------
ছেলেবেলার দিনের কথা
যখন তখন মনে আসে,
ছবির মতো স্পষ্ট সবই
যেমন রবি পূর্বে হাসে।
সকালবেলা সূর্যকিরণ
ছুঁতো যখন আমার গায়,
মা ডাকতেন -- ওরে খোকন
জল আনতে যাবো আয়।
ফিরে এসে ফুলবাগানের
যুঁই চামেলী গন্ধরাজ,
তুলে নিতাম পূজার তরে--
পিতা যখন করেন কাজ।
পড়ার ঘরে বসে যেতাম
নিয়ে আমার সকল বই,
সকালবেলা খেতাম আমি
গুড়- চিড়ে বা খই ও দই।
সকল ন'টায় চলে যেতাম
আমার গ্ৰামের বিদ্যালয়ে,
সেথায় ছিল বিশাল বাগান
ফুলের গাছতো শয়ে শয়ে।
ফুলবাগানে সবাই মিলে
বেড়িয়ে নিতাম অনেকক্ষণ,
মনে হতো সকল ফুলও
মোদের সাথী-- আপনজন।
খেলার মাঠে হারার সময়
ঝগড়া হতো মাঝেমাঝে,
ক্ষণিক পরে মিটিয়ে নিয়ে
মনটা দিতাম পড়ার কাজে।
শিক্ষকেরা শিক্ষা দিতেন
পিতার মতো আদর করে ,
তাঁদের কথা মনে এলেই
দুইটি নয়ন জলে ভরে।
তাঁরা সবাই স্বর্গবাসে--
ভাবলে মনে দুঃখ হয়,
তাঁদের মহান কীর্তিগুলো--
স্মৃতির কোঠায় পূর্ণ রয়।
ছুটির সময় হরি মাঝির
নৌকা থাকতো ঘাটে বাঁধা,
চড়তে গিয়ে লাগতো পায়ে--
ঘোলা জল ও অনেক কাদা।
ঘরে ফিরেই মায়ের কাছে
চেয়ে নিতাম জলখাবার,
খাবার খেয়ে মাঠে যেতাম
খেলতে ক্রিকেট পুনর্বার।
সাঁঝের বেলা সকল পাখি
ফিরতো যখন নিজের ঘরে,
নদীর তটে বসে যেতাম
কলরবটি শোনার তরে।
ফিরে এসে মায়ের সাথে
চলে যেতাম তুলসীতলে,
সন্ধ্যাপ্রদীপ জ্বেলে দিতাম
গৌরহরির চরণতলে।
একটু পরে পিতা আমার
ডাকতো--খোকন চলে আয়,
পড়ার সময় হয়ে গেছে
সময় অনেক চলে যায়।
পড়ার শেষে খাবার খেয়ে
শুতাম আমি মায়ের কোলে,
ভোরের ভানু ডাকতো আমায়
ওঠরে খোকন -- এই বলে।
কদম গাছে নানান পাখি
করতো জোরে কলতান,
পাশের বাড়ির শিপ্রা কাকী
গাইতো সুরে মধুর গান।
এমনি করে ছেলেবেলায়
কেটে যেত সুখের দিন,
স্মৃতির আলো ঝিলিক মারে
কল্পলোকে হই যে লীন।
☀️