অমিতাভ গঙ্গোপাধ্যায়
ঘূর্ণিঝড়ের আতঙ্ক আর বৃষ্টির চোখরাঙাণি উপেক্ষা করেই আকাশে বাতাসে ছড়িয়ে পড়েছে আগমণীর সুর। করোনার হুঙ্কারের মাঝেই পসরা সাজিয়ে সবাই দেবীর আবাহনের জন্য তৈরী।প্রতি বজরের মত এবারও গোলপার্ক রামকৃষ্ণ মিশন ইনষ্টিটিউট অফ…
ঘূর্ণিঝড়ের আতঙ্ক আর বৃষ্টির চোখরাঙাণি উপেক্ষা করেই আকাশে বাতাসে ছড়িয়ে পড়েছে আগমণীর সুর। করোনার হুঙ্কারের মাঝেই পসরা সাজিয়ে সবাই দেবীর আবাহনের জন্য তৈরী।প্রতি বজরের মত এবারও গোলপার্ক রামকৃষ্ণ মিশন ইনষ্টিটিউট অফ কালচারের সংগ্ৰহশালায় শুরু হয়েছে দু্র্গা নিয়ে প্রদর্শনী 'মহিষাসুরমর্দিনী।' বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণ করে ও প্রদীপ জ্বালিয়ে গত ২০ সেপ্টেম্বর প্রদর্শনীর সূচনা করেন স্বামী সুপর্ণানন্দ মহারাজ। প্রদর্শনী শুরু হয় মিশ্রমাধ্যমে দীপেন বসুর দুর্গা পরিবার চিত্র দিয়ে।রয়েছে কৃষ্ণনগরের ঘূর্ণি পুতুল পট্টির মিনিয়েচার দুর্গা, ক্যালকাটা আর্ট স্টুডিওর লিথোচিত্র,অসম-বাংলার প্রাচিন পটচিত্র,চন্দননগরের আর্লি বেঙ্গল তৈলচিত্র, তালপাতার শলাকা দিয়ে আঁকা ওড়িশার দুর্গাপট প্রভৃতি।রয়েছে শিল্পী চন্দ্রনাথ দে,মৃণাল কান্তি দাস,সীতেশ রায় রিনি ধূমল ও কমলাক্ষ গাঙ্গূলীর আঁকা ছবি ও অজিতকৃষ্ণ গুপ্তের সিমেন্টের সরস্বতী ও সন্দীপ চক্রবর্তীর পদ্মফুলের ব্রোঞ্জ ভাস্কর্য।
নন্দলাল বসুরছেলে বিশ্বরূপ বসুর ধুনুচি নাচ ও সতীন্দ্রনাথ লাহার নাচের দৃশ্য শারদ উৎসবের আয়োজনকে মনে করিয়ে দেয়।এই অংশে আরো রয়েছে দুর্গাপূজোর নানা সাজসজ্জার নিদর্শন উপাদান।প্রদর্শনীর অন্য অংশে রয়েছে সারদা দেবী শিল্প বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আঁকা দূর্গার ছবি। ফলহারিণী কালীপূজোর দিন স্ত্রী সারদা কে দেবীরূপে পূজো করেছিলেন শ্রী রামকৃষ্ণ।স্বামী বিবেকানন্দ তাঁকে জীবন্ত দূর্গা বলে সম্মান জানান।তিনি বেলুড়মঠে সাড়ম্বরে দূর্গাপূজোর প্রচলন করেন।গোপাল চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের আঁকা সারদা দেবীর তৈলচিত্র সেই ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে।যাবতীয় করোনাবিধি মেনে আগামী ৯ অক্টোবর পর্যন্ত এই প্রদর্শনী খোলা থাকবে বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত।