Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

মেচেদা কেন্দ্রীয় বাস স্ট্যান্ডে আবর্জনার স্তুপ থেকে দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ মানুষজন, প্রশাসনের নজর নেই বলে অভিযোগ

বাবলু বন্দ্যোপাধ্যায়। কোলাঘাটপূর্ব মেদিনীপুর জেলার মেচেদা কেন্দ্রীয় বাস স্ট্যান্ড জেলার প্রবেশদ্বার বলে স্বীকৃত। দিন রাত্রী এই স্থান থেকে বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার একমাত্র পথ সাধারণ মানুষের। বর্তমানে চারিদিকে আবর্জনা …



বাবলু বন্দ্যোপাধ্যায়। কোলাঘাট

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মেচেদা কেন্দ্রীয় বাস স্ট্যান্ড জেলার প্রবেশদ্বার বলে স্বীকৃত। দিন রাত্রী এই স্থান থেকে বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার একমাত্র পথ সাধারণ মানুষের। বর্তমানে চারিদিকে আবর্জনা দুর্গন্ধ ভরা মেচেদা সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ড ।এই নিয়েই মানুষের ক্ষোভ বাড়তে শুরু করেছে। নিত্যযাত্রী থেকে শুরু করে মেচেদা কেন্দ্রীয় বাস স্ট্যান্ডের পরিবহন সংস্থার সঙ্গে যুক্ত কর্মীরাও এর বিরুদ্ধে সবর হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছে বলেও খবর। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত তেমন কোনো ভূমিকা নিতে দেখা যায়নি এই কেন্দ্রীয় বাস স্ট্যান্ডের জঞ্জালমুক্ত করার জন্য। বাসস্ট্যান্ডের বেশ খানিকটা জায়গা দখল করে জঞ্জাল ফেলা হচ্ছে, তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মাছের নোংরা জল ও রাশি রাশি তুষ ।বাস স্ট্যান্ডের পাশে থাকা মেছেদা বাপুর খালে প্রতি নিয়ত ফেলা হচ্ছে বর্জ্য পদার্থ। ফলস্বরূপ দেখা দিয়েছে দফায় দফায় যে বৃষ্টি হচ্ছে জল নিকাশির চরম সমস্যা। ক্রমশ জঞ্জাল ফেলার বহড়তা বাড়তে থাকায় হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ বাসস্ট্যান্ডের সৌন্দর্যায়ন করেছে তা ক্রমশ ফিকে হতে শুরু করেছে। দিনে রাতে এই স্থান থেকে বিভিন্ন স্থানে মানুষজন যাচ্ছে।পরিবহনে উঠার আগে তাদের একটাই উক্তি এই নরক যন্ত্রণা থেকে কবে মুক্তি পাওয়া যাবে। এলাকার প্রাক্তন শিক্ষক সুকুমার মাইতি বলেন নোংরা আবর্জনা তার সঙ্গে নর্দমার জল এলাকার অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি করেছে। বেশি সমস্যা সৃষ্টি করছে তুষ এবং মাছের জল ফেলার জন্য। এখন যেন এই সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ড জঞ্জাল ফেলার একটা প্রধান স্থান হয়ে দাঁড়িয়েছে। অবিলম্বে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি করেন। গনপরিবহনের একাংশের কর্মীরা ইতিমধ্যেই জঞ্জাল মুক্ত বাস স্ট্যান্ড করার দাবি রেখেছে প্রশাসনের কাছে। শহীদ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রাজেশ হাজরার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ডে এই জঞ্জাল ফেলা কাম্য নয়। বিষয়টি নিয়ে আমি খোঁজখবর নিচ্ছি। জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ সিরাজ খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন কোন কিছু সমস্যা সৃষ্টি করবে তা মেনে নেওয়া যায় না। কেন্দ্রীয় বাস স্ট্যান্ড পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব সবার। শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লক এর প্রশাসনিক প্রধান অমিত গায়েন এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।