রুপোলী ইলিশের পথ চেয়ে থাকে বাঙালি ।আর যদি পদ্মাপারের ইলিশের দেখা মেলে তাহলে তো সোনায় সোহাগা ।তার স্বাদ ও গন্ধ ই আলাদা ।গন্ধে একেবারে ম ম।হ্যাঁ সেই কথাই তো বলছি।বাঙলা দেশের হাসিনা সরকার এবার পুজো উপহার পাঠাতে শুরু করেছেন।তবে ধাপে …
![]() |
তরুণ চট্টোপাধ্যায় ।কলকাতা । |
হ্যাঁ সেই কথাই তো বলছি।বাঙলা দেশের হাসিনা সরকার এবার পুজো উপহার পাঠাতে শুরু করেছেন।তবে ধাপে ধাপে।
ঠিক হয়েছে শারদীয়া উৎসবের আগেই বাংলাদেশের পদ্মা পার থেকে 2080মেট্রিক টন রুপোলি ইলিশ আসতে চলেছে এই বাংলার বাজারে ।পুজোতে হয়তো দাম উঠবে।তবুও লাইন পড়বে দোকানে দোকানে ।দাম হোক।তবুও পদ্মার ইলিশ বলে কথা।
এবার ইলিশের অনুকূলে বাংলার বাতাস।ঝিরঝিরে বৃষ্টি ।পূবালি হাওয়া ।তবুও এ বঙ্গের জেলেদের জালে সে ভাবে ইলিশ ওঠেনি।বাজারে ইলিশ নেই বলছি না।তবে চাহিদার তুলনায় সে ইলিশ নগন্য ।আর দাম তো আকাশ ছোঁয়া ।
তবুও ইলিশ প্রেমী বাঙালি পিছিয়ে নেই।1500 থেকে 1800 টাকা কেজি দরে সেই ইলিশ ই ব্যাগে তুলছেন বাঙালি ।পাতে ইলিশের তেল না পড়লে বাঙালির যে তৃপ্তি নেই।
হাসিনা সরকার এই ইলিশ পাঠানোর পর ছড়িয়ে পড়বে বাংলার বাজারে বাজারে ।এর সঙ্গে দেশীয় ইলিশ যোগ হলে চাহিদা ও যোগানের ভারসাম্যের ঘাটতি কিছুটা মিটবে।
বাংলাদেশের ইলিশ এর আগেও এসেছে বঙ্গে ।তবে মাঝেমধ্যেই কূটনৈতিক নানা কারনে সে ইলিশ আসা বন্ধ হয়।রাজ্য সরকার এর আগেও বাংলা দেশ সরকার কে চিঠি লিখেছিলেন এই ইলিশ পাঠানোর জন্য ।কিন্তু সরকারি স্তরে লাল ফিতার বাঁধনে তা বারে বারে আটকে গেছে।তীরে এসে ও ডুবেছে তরী।
না এবার সে রকম উদ্বেগের কারন নেই।ইতিমধ্যেই পদ্মাপারের ইলিশ উঁকি দিতে শুরু করেছে।
হাসিনা সরকারের হাত ধরে 2080 মেট্রিক টন ইলিশ এসে পড়বে পুজোর আগেই।তবে এক শ্রেনীর ব্যাবসায়ী অতিরিক্ত লাভের আশায় তা গুদামজাত করে বরফে ঢাকবেন হয়তো।কারন পুজোর বাজার ।
তবে সরকারের দৃষ্টি ও থাকবে সেই দিকে।সে যাই হোক ইলিশ আসছে এটাই সুখবর।
2080 মেট্রিক টন পদ্মা পারের ইলিশের গন্ধ এখন বাংলার মাছ বাজারে ।
সুখের খবর বৈকি।
তরুণ চট্টোপাধ্যায় ।