Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

নন্দাই গাজন প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বেহাল অবস্থা, স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চারিদিকে জল থৈ থৈ করছে

ঘন্টু বন্দ্যোপাধ্যায়.      পূর্ব মেদিনীপুরবৃষ্টির শেষ নেই,  রাস্তাঘাট পুকুর ডোবায়  জল থৈ থৈ করছে। এবার মানুষের পরিষেবা দেবার স্থান গুলিও একপ্রকার জলের তলায়।  পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট ব্লকের নন্দাই গাজন প্রাথমিক স্বাস্থ্যক…



ঘন্টু বন্দ্যোপাধ্যায়.      পূর্ব মেদিনীপুর

বৃষ্টির শেষ নেই,  রাস্তাঘাট পুকুর ডোবায়  জল থৈ থৈ করছে। এবার মানুষের পরিষেবা দেবার স্থান গুলিও একপ্রকার জলের তলায়।  পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট ব্লকের নন্দাই গাজন প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে জলমগ্ন হওয়ার দরুন স্বাস্থ্যপরিসেবা ব্যাহত হচ্ছে, এমনি অভিযোগ এলাকাবাসীর। নন্দাই গাজন রেলস্টেশন থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে এই স্বাস্থ্য কেন্দ্র।  ১৯৭১ সালের  ভোগপুরের কালিপদ সামন্তের আর্থিক সহায়তায়  নন্দাই গাজন গ্রামের পতিত পাবন বেরার উদ্যোগে ২০২ ডিসিমল জায়গার উপর এই স্বাস্থ্য কেন্দ্র নির্মিত হয়েছিল। শিল্প শহর  মেছেদায় কোন স্বাস্থ্যকেন্দ্র না গড়ে ওঠার কারণে এই নন্দাইগাজন প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের গুরুত্ব অপরিসীম।  বর্তমানে দুইজন এমবিবিএস ডাক্তার,  তিন জন নার্স, এক জন কম্পাউন্ডার,   তিনজন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী কর্মরত।  বছর কয়েক পূর্বে  হোমিওপ্যাথিক বিভাগ ছিল। ডাক্তার ও  কম্পাউন্ডারের অভাবে বিভাগটি বন্ধ হয়ে যায়।  এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বর্তমানে দুশ থেকে আড়াইশো জন   রোগী আউটডোরে চিকিৎসা করার জন্য আসে। নয়টি বেড রয়েছে তবে প্রসূতিদের জন্যেই এই বেডগুলি। পরিষেবা পাওয়ার জন্য বড়গাছিয়া, গুলুড়িয়া, জফুলি ,বেবিচক ,বাগিচা ,বেদবেরিয়া, হলদিচক ,ভোগপুর অঞ্চলের অন্তর্গত বিভিন্ন গ্রাম সহ নারায়ন পাকুরিয়া মুরাইল, পাঁশকুড়া টেশন প্রভৃতি এলাকায় থেকে এই স্থানে রোগী দেখাতে আছে। উল্লেখ করা যায় প্রায় ৫০ টি গ্রামের মানুষ এই  স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপর নির্ভরশীল। যে দুজন ডাক্তার রয়েছেন তেনারা জেনারেল ফিজিশিয়ান।  এলাকার মানুষদের দাবি স্ত্রী ও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের প্রয়োজন।  পূর্বে একটি বিল্ডিং ছিল সেটি উঁচু জায়গায় , যে স্থানে এসে পরিসেবা দেওয়া হচ্ছে নতুন বিল্ডিং করে সেই নতুন বিল্ডিংযে এখন জল থৈ থৈ করছে। রোগীরা আউটডোরে আসার চেষ্টা করলেও জলস্তর এমনই বৃদ্ধি পেয়েছে মানুষজন যেতে ভয় পাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা  অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নিত্যানন্দ মাইতি  বলেন রোগীর সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্যদিন, কিন্তু বেডের  সংখ্যা তা খুবই কম।  গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে বেডের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য দাবি রাখা হয়েছিল, কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। নিত্যানন্দ বাবু আরো বলেন এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চাহিদা যখন ঊর্ধ্বগামী তখন অত্যাধুনিক টেকনোলজি যুক্ত মেশিনপত্র স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে এসে পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করুক সরকার, সেই সঙ্গে জমা জল দ্রুত নিষ্কাশনের জন্য প্রশাসন ব্যবস্থা করুক।