Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

বাঙালির পাতে নেই পোস্ত, রপ্তানি নেই,তালিবানী ছোঁয়া

পোস্ত কি এবার সোনার রেকর্ড স্পর্শ করতে এগিয়ে চললো।না এ বিষয়ে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই।বাঙালির পাতে পোস্ত এখন মহার্ঘ ।পোস্ত হীন ভাতের থালা এখন ঘরে ঘরে।পাতে ইলিশের দেখা মিললেও পোস্ত নৈব নৈবচ।পোস্ত এখন মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে।পোস্ত …

 


তরুণ চট্টোপাধ্যায় ।কলকাতা ।
পোস্ত কি এবার সোনার রেকর্ড স্পর্শ করতে এগিয়ে চললো।না এ বিষয়ে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই।বাঙালির পাতে পোস্ত এখন মহার্ঘ ।পোস্ত হীন ভাতের থালা এখন ঘরে ঘরে।পাতে ইলিশের দেখা মিললেও পোস্ত নৈব নৈবচ।পোস্ত এখন মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে।পোস্ত আজ সত্যি সত্যি ই এক কল্পনার অলীক।

কিন্তু এমন দিন তো ছিল না।বরং একসময় গরীব মানুষের আহার ছিল এই পোস্ত।কিছু নেই তো থোরাই কেয়ার।পেঁয়াজ আর পোস্ত দিয়ে ই এক থালা ভাত খেতেন দরিদ্র মানুষ ।আজ সে দিন বদল।পোস্তের দর এখন আকাশ ছোঁয়া ।

বেলাগাম এই দামে ও কিন্তু এসে পড়ছে তালিবানী ছোঁয়া ।বাঙালির ভাতের পাত থেকে পোস্তের বড়া,আলু পোস্ত,পোস্ত বাটা এখন রুপকথা হয়ে উঠেছে।পোস্তর সঙ্গে তালিবান যোগ টিও কিন্তু অবাস্তব নয়।আফগানিস্তানের সঙ্গে ভারতের ব্যবসা বানিজ্য আজ বন্ধ ।ফলে আফগানিস্তানে উৎপাদিত শস্য এই পোস্তর দেখা মিলছে না ভারতীয় বাজারে।ফলে চাহিদা থাকলেও যোগান নেই।চাহিদার সূত্র ধরেই যোগানের অপ্রতুলতা পোস্ত কে আজ অগ্নিমূল্য করে তুলেছে।

আজকের পোস্ত বাজারে ঘুরে দামের সেই তাপ ই পাওয়া গেল।আর সেই দামে মধ্যবিত্তের হাতে ছ্যাঁকা ।পোস্তর খুচরো দাম তো 2500 টাকার আশেপাশে।পাইকারি বাজারে একটু কম।

বর্ধমান বাঁকুড়ার ঘরে ঘরে অতিথি আপ্যায়নে যে পোস্ত ছিল আকচার,তা আজ আর দেখা যায় না।পোস্তহীন পাতেই এখন অতিথি বরন।

আর এরাও সেই নন্দঘোষ করছেন আফগানিস্তানের উওপ্ত পরিস্থিতি কেই।কারন আফগানিস্তান থেকেই এক সময় ভারতের বাজারে পোস্ত আসতো।

দেশীয় বাজারে যে পোস্ত হয়না তা নয়।তবে পোস্তর সঙ্গে আফিং এর যোগাযোগ থাকায় সব জায়গায় পোস্ত চাষের অনুমতি নেই।কারন এই চাষে সরকারী অনুমোদন লাগে।লুকিয়ে চুরিয়ে যে এ চাষ হয় না তা নয়।তবে ধরা পড়লে তা দন্ডনীয় অপরাধ ।আর গাছ গুলিকেও পুড়িয়ে দেওয়া হয়।ফলে এই চাষে চাষীরাও সে ভাবে মনোযোগী নয়।

উওরপ্রদেশ ,মধ্য প্রদেশ, ও রাজস্থানের বিভিন্ন জায়গায় আজও পোস্ত চাষ হয়।তবে তা চাহিদার তুলনায় নগন্য ই।এই বাংলাতেও সেই পোস্ত আমদানি করা হয়।তবে তা দিয়ে বাংলার চাহিদার মাত্র দশভাগ পূরন করা যেতে পারে।পৃথিবীর অন্যান্য দেশ থেকেও এখন আর পোস্ত আমদানি হয় না আগের মতো।ফলে ঘাটতি তো স্বাভাবিক ঘটনা।

কদিন আগেও যে পোস্ত র দাম ছিল 2000 টাকা কেজি আজ তা এক লাফে 2500 টাকা।আর ঝাড়াই বাছাই করা প্যাকেট পোস্তর দাম 3000 টাকা ছুঁইছুঁই ।

কলকাতার বড়বাজারের পোস্তর ব্যবসায়ীরাও আজ দিশেহারা ।বাজার জুড়ে ই পোস্তর আকাল।সব গোডাউনে ই পোস্তর টানা টানি।আর যত অকুলান ততই দাম বৃদ্ধি ।ফলে দিনদিন মধ্য বিত্তের নাগাল থেকে পোস্ত উধাও ।

পোস্ত হীন ভাতের থালা এখন বাঙালিদের ভাবাচ্ছে ।কারন আড়াই হাজার টাকা কেজি দরে কে আর চাইবেন এই পোস্ত কে হেঁসেলে ঢোকাতে।ফলে পোস্তহীন বাঙালিদের রান্নাঘর ।

প্রতিবেদক নিজেও পোস্ত প্রেমিক।ছেলেবেলায় পোস্ত ভাত খেয়ে ই দিনগুজরান।

কিন্তু পোস্ত এখন যে কোন কাননের ফুল তা তো জানাই যাচ্ছে না।

উওপ্ত আফগানিস্তানে তালিবান দের দখলেই কি পোস্ত আজ বাংলা ছাড়া ।

পোস্ত র দামে কিছুতেই লাগাম পড়ানো যাচ্ছে না।পোস্ত ও যে আজ তালিবান ।


তরুণ চট্টোপাধ্যায় ।