গুরু প্রতি সৈকত আদকচাহিয়া দেখ ত্রি নেত্র মেলে রব যে মোরা তবো বাঁধনেচরণ তলে জ্ঞান কাননে,সুভাষ আজি তোমার জ্ঞানে।দিনেক আগে বালক কুঁড়িহাসিছে বড় পাপড়ি মেলিনবীন আলোকে ঝিলিমিলিদাঁড়াইছি এ মস্তক …
গুরু প্রতি
সৈকত আদক
চাহিয়া দেখ ত্রি নেত্র মেলে
রব যে মোরা তবো বাঁধনে
চরণ তলে জ্ঞান কাননে,
সুভাষ আজি তোমার জ্ঞানে।
দিনেক আগে বালক কুঁড়ি
হাসিছে বড় পাপড়ি মেলি
নবীন আলোকে ঝিলিমিলি
দাঁড়াইছি এ মস্তক তুলি।
হে, পরম গুরু …
কত প্রশ্ন আসে এ মনে!
দেখ “তুমি বিশ্ব সরোবরে”?
প্রস্ফুটিত দলে শতদলে
ভেদিছে সে শত গুরু দ্বার
সাত সমুদ্র এপার ওপার।
বলিতে চাহি এই উচ্চ স্বরে
জন্ম জ্ঞান পিপাসু তরে,
ভিড়িবে তোমার ছোট্ট ডিংঙি
এই আমার জ্ঞান বন্দরে।
কিন্তু, “কি এই জ্ঞান…”!
দেখ সহস্র ডিঙি মিলিতেছে
সুন্দর নিখিল ভুবনেতে
চিনিবে তুমি হে আপনাতে,
নিরবে করিও জ্ঞানী ধ্যান।
রহিব তোমারই অন্তরে
তৃষ্ণার্ত তুমি দীন দরিদ্রে
স্মরণ করো বারে বারে
মিলিবে তুমি বিচিত্র সরোবরে।
🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷
প্রসঙ্গ
সৈকত আদক
হে দীর্ঘ সাজ, অথই জলে ডুবিয়া রও
শেওলা- শালুকে জাগাইছ হে।
পল্লী কবি কিশোর ছলে
নাচিছে পা তার শতদলে
কলম আবার ডাকিছে “বলে”
দুচোখ মোর জাগাইছ হে।
পক্ষী যেথায় ডানা মেলে
এমন ধরায় বৃক্ষ তলে
চক্ষু সেথায় নাচায় বারি
সেথায় মোরে জাগাইছ হে।
দিবস শেষের প্রান্ত দেশে
তাকাইয়া রই সৃষ্টি শেষে
গোধূলি আলোয় ছটায় বিষে
সেথায় মোরে জাগাইছ হে।
কোকিল কণ্ঠি বকুল ডালে
ধবল বকে পাখনা মেলে
সাঁঝের সলতে তুলসী তলে
সেথায় মোরে জাগাইছ হে।
চাঁদের ওই আলোক জ্বলে
মাঝি ভায়ের ডিঙার কোলে
রূপ রাঙার কিরণ ডিঙায়
সেথায় মোরে জাগাইছ হে।
নৃত্য কার হে তুমি আম্রতলে
বিষাদি বিবাদি জোনাকি ছলে
উদাসি হে মোর উদাস মন
সেথায় মোরে জাগাইছ হে।
পাঠশালা ওই কুটির ঘরে
ঘন-ঘনিয়ে নামতা বলে
লণ্ঠনের ওই আলোর ছলে
দুচোখ মোর জাগাইছ হে।