সৃষ্টি সাহিত্য যাপন -------------------------হেমন্তিকা~~~~~~আশ্বিন শেষে শারদীয়া সুর যাই বলেছে, মাঝ দুপুরে রোদ বাবাজীর তেজ কমেছে।
আলতোসুখী সাঁঝগভীরে শীতের আদর ,ওম জমিয়ে হালকা শীতে পাতলা চাদর।
সূজ্জিমামা বিকেল হলে পালাই বলে, এমন …
সৃষ্টি সাহিত্য যাপন
-------------------------
হেমন্তিকা
~~~~~~
আশ্বিন শেষে শারদীয়া সুর যাই বলেছে,
মাঝ দুপুরে রোদ বাবাজীর তেজ কমেছে।
আলতোসুখী সাঁঝগভীরে শীতের আদর ,
ওম জমিয়ে হালকা শীতে পাতলা চাদর।
সূজ্জিমামা বিকেল হলে পালাই বলে,
এমন ভাবেই হেমন্ত দাদা এলো চলে।
রাতের বেলা ঘাসের পরে নিশির শিশির,
নকশি কাঁথা শীত কাতুরে বুড়ী পিসির।
চাঁদনী রাতে জ্যোৎস্না রাণীর ঠিকরে পড়া,
সেই রূপেতেই ধরা যে আজ আলোয় ভরা
ভোর কুয়াশায় দৃষ্টি হারায় আবছায়াতে,
শিউলিরা সব রস খেজুরের গন্ধে মাতে।
ধানের শীষে গন্ধে মিশে মিঠি মৌ জমেছে,
ক্ষেতের ‘পরে সবুজ সোনা ঢেউ তুলেছে।
আবছা ভোরে কোরাণ সুরে আজান ধ্বনি,
সান্ধ্যধূপে শঙ্খসুরে তুলসীতলায় প্রদীপখানি।
আমন ধানে গানের তানে নবান্ন সুর,
ধানচাষীরা ধিতাং তালে বাজায় নুপূর।
হিমঝুরিতে ছাতিম তলায় আলপনা দেয়,
কামিনী আর মল্লিকা ফুলে আসর সাজায়।
ঋতু চক্রে উঠল বেজে শীতের সানাই,
একটু হেসে হেমন্ত বলে, এবার পালাই।
**************
©gautam ghosh
.