কালিপুজো ধনতেরাস দীপাবলির সব গল্পই আমাদের জানা।কিন্তু এর মাঝে যে ভূত চতুর্দশী বলে এক উৎসব আছে তা আমরা অনেকেই ভুলতে বসেছি।বিশেষ করে এ প্রজন্ম জানে না এই ভূত চতুর্দশীর নিয়ম কানুন।আর কি ভাবেই বা এই ভূত চতুর্দশী পালন করা হয়।ধনতেরাস দ…
তরুন চট্টোপাধ্যায় |
ধনতেরাস দিয়েই সূচনা হয় কালী পূজা ও দীপাবলির মতো জাঁকজমকপূর্ণ উৎসব।হিন্দু বাঙালী দের মধ্যে এর চল বেশি।তবে এই উৎসবের মাঝে আজও ভূত চতুর্দশী রয়েছে।একালের অনেকেই ভূত প্রেত বিশ্বাস করেন না।কিন্তু গ্রাম গঞ্জের মানুষ আজও ভূতের অস্তিত্ব স্বীকার করেন।প্রাচীন কাল থেকেই তাই চলে আসছে ভূত তাড়ানোর জন্য ভূত চতুর্দশী ।
ঘরের স্যাতস্যাতে ময়লা জমা কোনে চৌদ্দ দিকে ভূত চতুর্দশীর রাতে জ্বালানো হয় চোদ্দ খানি প্রদীপ।সারারাত ধরে যতক্ষন প্রদীপে তেল থাকে সে প্রদীপ জ্বলে ।আর বিশ্বাস ঘর দুয়ার থেকে এই প্রদীপের আলোয় ভূত প্রেত সব হঠে যায় ।প্রদীপ জ্বালিয়ে ও ভূত তাড়িয়ে গৃহস্থালির কল্যাণ সাধন করা হয়।অপদেবতার হাতে যাতে সংসারের ক্ষতি না হয় সেই কারনেই এই ভূত চতুর্দশীর পুজো।
এ ছাড়াও সংসারের গুরুজন যাঁরা মারা গেছেন তাদেরও পূজার দিনে এই প্রদীপ জ্বালিয়ে নিমন্ত্রণ জানানো হয় বলে কারও কারও অভিমত।
প্রদীপ জ্বালানি ভরে চোদ্দ কোনে রেখে দরজা এঁটে দেওয়া হয়।আর পিছনে তাকানোর রীতি নেই।
কি ভাবছেন।ভুত চতুর্দশী আসে কালী পূজার আগেই।গা ছমছম করছে নাকি ভূত চতুর্দশী নাম টা শুনে।না ভূতেদের গল্প নয়।বরং ভূতেদের বিতাড়ন এই ভূত চতুর্দশীর মূল লক্ষ্য।