রাজীব বন্দোপাধ্যায়কে তৃনমূল দলে ফেরানো নিয়ে দলের অভ্যন্তরেই জমছে কালো মেঘ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গত বিধান সভা নির্বচনের আগে আরো কয়েকজনের সঙ্গে রাজীব বন্দোপাধ্যায় ও চ্যাটার প্লেনে চেপে দিল্লি যান।আর সেখানেই অমিত শাহের হাত থেকেই বিজেপি…
তরুণ চট্টপাধ্যায় |
যাইহোক সমস্ত জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের হাত থেকে আবারও পুরানো দলের পতাকা এখন তাঁর হাতে।ত্রিপুরা থেকে ফিরেই তৃনমূলের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়বেন বলে তিনি জানান ।
সাংসদ কল্যাণ বন্দোপাধ্যায় যে রাজীবের এই প্রত্যাবর্তন কে ভালো চোখে দেখেন নি তা তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট ।
তিনি জানান মমতা বন্দোপাধ্যায় কেন যে এই করাপটেড রাজীব কে ফিরিয়ে নিলেন তা তাঁর বোধগম্য হচ্ছে না।
বিধান সভা ভোটের আগে নেত্রী জানিয়েছিলেন রাজীব একজন অসৎ নেতা।গাড়ি বাড়ি সবই করেছেন দল কে ভাঙিয়ে।এমনকি ভিনদেশে তার বেনামে টাকা ও খাটে।
তৃনমূল এই সব গদ্দার কে দলে ফেরাবেন না।অথচ তলে তলে কুনাল ঘোষ কে ধরে রাজীব বন্দোপাধ্যায় অভিষেকের কাছে পৌঁছে যান।
রাজীব বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে অরুপ রায়ের সম্পর্ক সাপে নেউলে।হাওড়ার তৃনমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব একসময় এই দুজনকে ঘিরে চরম তিক্ত হয়েছিল।
রাজীব বন্দোপাধ্যায় বিজেপি দলে যাওয়ার পর তৃনমূলের নীচের নেতারাও ক্ষোভ উগরে দেন।লাখ ভোটে জেতা রাজীব বন্দোপাধ্যায় হারেন ডোমজুড়ে।
তবে আজও রাজীব বন্দোপাধ্যায়ের এক স্বচ্ছ ভাবমূর্তি যে আছে তা অনস্বীকার্য ।
আর সেই ভাব মূর্তি কে দলের কাজে লাগাতে তাঁকে দল পুনরায় সুযোগ দিয়েছে বলে তৃনমূল সূত্রে জানা গেছে।
যদিও এ ব্যাপারে তাঁর চির শত্রু অরুপ রায় কিছু বলতে অস্বীকার করেন।
তবে কালীঘাট যে বার্তাই দিক না কেন রাজীবের তৃনমূল দলে প্রত্যাবর্তন হাওড়ার গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব কে অক্সিজন দেবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।ঘুঁটি সাজাচ্ছেন দু পক্ষই ।
রুই কাতলা আবার না জালে ওঠে।