Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

পাঁশকুড়াতে স্ত্রী ও শাশুড়ীকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার জামাই

নিজস্ব সংবাদদাতা, তমলুক: স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্কের সন্দেহের বশে শ্বশুরবাড়িতে অতর্কিতে হামলা চালিয়ে শাশুড়ি ও স্ত্রীকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল জামাইয়ের বিরুদ্ধে। এলোপাথাড়ি ধারালো ছুরির আঘাতে ফালা ফালা হয়ে তমলুক জেলা হাসপাতাল…

 


নিজস্ব সংবাদদাতা, তমলুক: স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্কের সন্দেহের বশে শ্বশুরবাড়িতে অতর্কিতে হামলা চালিয়ে শাশুড়ি ও স্ত্রীকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল জামাইয়ের বিরুদ্ধে। এলোপাথাড়ি ধারালো ছুরির আঘাতে ফালা ফালা হয়ে তমলুক জেলা হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন স্ত্রী ও শাশুড়ী। পাঁশকুড়া থানার অন্তর্গত দেউলীচক এলাকার এই ঘটনার তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। এদিকে পলাতক গুণধর জামাইয়ের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দেউলীচক এলাকার বাসিন্দা ছন্দা ভৌমিক। রেল দুর্ঘটনায় স্বামীর মৃত্যুর পর বছর দেড়েকের সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়িতেই আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেখানেই বছর ১২ আগে ফের নতুন সম্পর্কে জড়িয়ে পাঁশকুড়া থানার মাগুরি জগন্নাথ চক এলাকার বাসিন্দা নিরঞ্জন ভৌমিককে বিয়ে করেন। এদিকে নিরঞ্জনও নিজের সংসার থাকা সত্বেও দ্বিতীয়বারের জন্য ছন্দাকে নিয়ে সংসার পেতে ছিল। এমন পরিস্থিতিতে পরকীয়া সম্পর্কের সন্দেহে তাদের মধ্যে অশান্তি প্রায়শ লেগেই থাকত। সম্প্রতি সেই অশান্তি চরমে ওঠে। অভিযোগ, আক্রোশ বসত শুক্রবার দুপুরে শ্বশুরবাড়িতে এসে চড়াও হয় নিরঞ্জন। সেখানেই কিছু বুঝে ওঠার আগে ধারালো ছুরি নিয়ে স্ত্রীর উপর হামলা চালায়। চিৎকারে ছুটে আসেন শাশুড়ি ঊষা দেবী। অতর্কিতে একের পর এক ধারালো ছুরির আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে গুরুতর জখম হন স্ত্রী ও শাশুড়ি। স্থানীয়দের চেষ্টায় তাদের গুরুতর জখম অবস্থায় তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই দীর্ঘ প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টার জটিল অস্ত্রপচারে আপাতত প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন দুজনেই। জেলা হাসপাতালের দুই শল্য চিকিৎসক সুচন্দন বন্দ্যোপাধ্যায় ও শৈবাল মাইতি জানিয়েছেন, ছন্দার পেটের তিনটি স্থানে ক্ষতবিক্ষত হয়ে ইন্টেসটাইন এর বেশ কিছু বেরিয়ে এসেছিল। দীর্ঘক্ষণের জটিল অস্ত্রপচারে প্রায় ১০ থেকে ১২ টি স্থানে গভীর ক্ষতের সেলাই করা হয়েছে। ছন্দার দাদা দিলীপ মাইতি অভিযোগ করে বলেন, বাউন্ডুলে নিরঞ্জন টাকার লোভে বোনকে ফুসলিয়ে বিয়ে করে। এরপর জুয়া, সাট্টা খেলে সেই টাকা শেষ হতেই সম্পর্কের অবনতি ঘটে। বাধ্য হয়েই বিড়ি বেঁধে সংসার চালাতো বোন। কিন্তু তাতেও রেহাই পেল না। সন্দেহের বশে যে এভাবে হামলা চালিয়ে নাটকীয় ঘটনা ঘটাতে পারে তা আমাদের ধারনার বাইরে ছিল। আমরা অভিযুক্তের কঠোর শাস্তি চাই। পাঁশকুড়া থানার আই সি আশীষ মজুমদার বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার তদন্ত চলছে।