#সৃষ্টি_সাহিত্য_যাপন #একান্তে_শব্দযাপন#কলমে_কুহেলী_মুখার্জী
এখানে সন্ধ্যে নামে বড় তাড়াতাড়ি,হেমন্তের কুয়াশা মাখা ভোরে কেউ জড়ায় নাআলতো ভালোবাসার পরশ।
দুপুরগুলো একলা নিঝুম ভারী,একটানা সুরে ডাকা পাখিটাও বুঝিবুকে চেপে ধরে অজানা কষ্ট।
চ…
#সৃষ্টি_সাহিত্য_যাপন
#একান্তে_শব্দযাপন
#কলমে_কুহেলী_মুখার্জী
এখানে সন্ধ্যে নামে বড় তাড়াতাড়ি,
হেমন্তের কুয়াশা মাখা ভোরে কেউ জড়ায় না
আলতো ভালোবাসার পরশ।
দুপুরগুলো একলা নিঝুম ভারী,
একটানা সুরে ডাকা পাখিটাও বুঝি
বুকে চেপে ধরে অজানা কষ্ট।
চোখে মায়াকাজল পড়া মেয়েটি
এখন অন্যের ঘরণী।
সারাদিনের দায়িত্ব-কর্তব্য শেষে
রাতজাগার প্রহরে চলে হিসাবনিকাশ।
কতটুকু চোখের জলের বিনিময়ে মেলে সম্মান?
না জানা উত্তরগুলোকে দীর্ঘশ্বাসে চেপে
পাশ ফিরে শোয়, পরের সকালটা যে ভীষণ দামি।।
সাঁঝের আঁধার ঘনালে দূর থেকে ভেসে আসে
শাঁখের আওয়াজ।
কে যেন মঙ্গলকামনায় ঘরে ফেরার ডাক দিয়েছিল?
হঠাৎ চোখের জলে ঝাপসা হয় লালটিপ পড়া মুখ।
ভোরের কুয়াশা পাতার ডগায় ঝরে পড়ে টুপটাপ।
চায়ের পাতার গন্ধে ঘুমভাঙ্গা সকালটা খোঁজে
নরম আঁচলের আড়ালে উনুনের ধোঁয়ার ঘ্রাণ।
মাঝরাতে নৈঃশব্দের বুক চিরে ডেকে ওঠে
নাম না জানা রাতচরা পাখি।
ঘরে ফেরার ডাক দিয়ে গেল বুঝি।
ডানা মেলে ওড়া পরীর ডানাদুটো
কবে যেন কারা ছেঁটে দিয়েছিলো--
সেই থেকে তার ঘরে ফেরার পথ বন্ধ হয়ে গেছে।
চোখের মায়াকাজল ধুয়ে এখন আলতা রাঙা পা,
হাতে সিঁদুরকৌটো, লাল চেলিতে লক্ষ্মীপ্রতিমা।
পরীর এখন কাটা ডানা শাড়ির আঁচলে ঢাকা,
গাছকৌটোর আড়ালে কুবেরের কুক্ষিগত
ভাঁড়ার ঘরের যাবতীয় সুখের চাবিকাঠি।।
ঘুমের ঘোরে স্বপ্ন আসে আবার আকাশে ওড়ার,
হাত বাড়ালেও ডানা মেলার অধিকার নেই তার।