সৃষ্টি সাহিত্য যাপনকবিতার শিরোনাম:প্রশ্ন মিথ্যা,উত্তরও নেইকলমে:অরিজিৎ ঘোষ(২৯/১১/২১).
প্রতিদিন চিন্তারা পুড়ছে,তবুও নানা পথে তার বারংবার আকস্মিক প্লাবণের মতো হানা,অচেনা বিধাতার হিসেবি ও গাণিতিক কৌশলে শুকিয়েও গেছে চিন্তার শিকড়,তবু…
সৃষ্টি সাহিত্য যাপন
কবিতার শিরোনাম:প্রশ্ন মিথ্যা,উত্তরও নেই
কলমে:অরিজিৎ ঘোষ(২৯/১১/২১).
প্রতিদিন চিন্তারা পুড়ছে,তবুও নানা পথে তার বারংবার আকস্মিক প্লাবণের মতো হানা,অচেনা বিধাতার হিসেবি ও গাণিতিক কৌশলে শুকিয়েও গেছে চিন্তার শিকড়,তবুও দিন বদলের লোভাতুর যাপনচিত্রের নকশা ভেসে ওঠে অদ্ভুত সব আশা নিয়ে,জগৎ তাই সেই স্বপ্নময় হয়েই আছে।
চিন্তাগুলোর বিদঘুটে কাণ্ডকারখানা,
আমার সঙ্গে প্রতিনিয়ত চলছে দোষারোপের পালা আর টানাপোড়েন,আসলে দোষটাইবা কার, বিধাতা সেই যুগান্তরের বা জন্মান্তরের পার্মুটেশন কম্বিনেশনের হিসেব করে ফলাফল দিতেই ব্যস্ত,
আমি বলি অবিচার,সে বলে নিষ্ঠুর বিচার,এর ফল নাকি মানুষকে ভুগতেই হয়,তবু তাকে কেউ কোনোদিন প্রশ্ন করবে সে সুযোগ রাখাই হয়নি -তাকে "মানুষ" বানাতে কে বলল? আর এখানেই লুকিয়ে আছে উৎকট ব্রহ্মাণ্ডের রহস্য,মৃত্যুটাই নির্ভেজাল জটিলতাহীন স্থিতিশীল অবস্থান, বিধাতার সঙ্গে একেবারে একাকার,অথচ তাকেই আমরা প্রতিনিয়ত ভয় খেয়ে বেঁচে থাকি,বেঁচে থাকা বা বাঁচিয়ে রাখাটাই ইন্দ্রজাল,তাই মানুষ কখন পাপ করল কেইবা জানে,বেঁচে থাকাটা বিধাতার কাছে এক দাসত্ব,মায়াবী জাদুর সভ্যতা।
সে কারণে অকারণে আমাদের দাস বানিয়ে রাখতে ভালবাসে নাহলে তার মহাজাগতিক সংসার চলবেই কি করে? বিধাতার এই বেপরোয়া হবার অধিকার কষ্টার্জিত সম্পদ নয়,স্বার্থপরের মতই রহস্যময় এক পাওনা,সে অধিকার সে পেল কোথা থেকে,কিভাবে,তা জানতে জানতেই জীবন শেষ।
দেহের প্রতিটি স্নায়ুর বয়স বাড়ছে,ধীরে ধীরে বাড়ছে সময়ের সাথে আমার মহাজাগতিক শত্রুতা,
আমার ভৌতিক দেহের প্রতিটি কোষ যখন মহাশূন্যে মিলিয়ে যাবে তখনও মনে হয় এই চিন্তাগুলো আমাকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে জ্বালিয়ে মারবে,এই জ্বলে মিলিয়ে যাওয়াটাই সবচেয়ে দুর্ভাগ্যের ব্যাপার,আমি তখন হারিয়েই যাবো?
প্রশ্ন সেটাই,মস্তিষ্কের প্রাবল্যে বাঁচার যন্ত্রণা ও
টানাপোড়েন,তারসাথে হিজিবিজি উৎকট চিন্তার জগত,বাঁচার পলক অধ্যায়,পৃথিবীতে তোমার কালিক ও ক্ষণিক অবস্থান।
সব কিছু বুঝে বোঝার চেষ্টা বৃথাই কালক্ষেপ,না বুঝেই বোঝো আর অনন্ত সমুদ্রে ঝাঁপ দাও।