দেবাঞ্জন দাসকলকাতা : কলকাতায় বাংলাদেশের প্রথম ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারের গত ১২ ডিসেম্বর উদ্বোধন করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড: এ.কে আব্দুল মোমেন, এম.পি।
কলকাতার সল্ট লেকের সেক্টর ফাইভের এই আবেদন কেন্দ্র থেকে প্রতি সপ্তাহের সোম থেকে …
দেবাঞ্জন দাস
কলকাতা : কলকাতায় বাংলাদেশের প্রথম ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারের গত ১২ ডিসেম্বর উদ্বোধন করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড: এ.কে আব্দুল মোমেন, এম.পি।
কলকাতার সল্ট লেকের সেক্টর ফাইভের এই আবেদন কেন্দ্র থেকে প্রতি সপ্তাহের সোম থেকে শুক্রবার আবেদনকারীরা সকাল নটা থেকে বিকেল তিনটে পর্যন্ত নিজেদের আবেদন জমা দিতে পারবেন এবং দুপুর ১ টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নিজেদের পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন। সব রকমের ভিসা প্রসেসিং এর জন্য মূল্য ধার্য করা হয়েছে জিএসটিসহ ৮২৬ টাকা । বর্তমানে বাংলাদেশের ভ্রমনার্থীদের ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদনের খরচের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই এই ফি ধার্য করা হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন, কলকাতা বহির্বিশ্বে স্থাপিত সব বাংলাদেশী মিশনের মধ্যে সর্বাধিক ভিসা ইস্যুকারী মিশন। ভারতীয় নাগরিকদেরকে উন্নত ভিসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার কলকাতা মিশনে ভিসা আউটসোর্সিং এর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক যেখানে ক্রমবর্ধমান সেখানে সময়োপযোগী এই সংস্কারের প্রয়োজন অনুভূত হয়। তাই ভারতে এই প্রথমবার খোলা হলো নতুন বাংলাদেশ ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার।
১৩,০০০ বর্গ ফুটের বিশাল আয়তনের সম্পূর্ণ শীততাপ নিয়ন্ত্রিত আধুনিক বাংলাদেশ ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার (BDVAC)কলকাতার সল্টলেক সেক্টর ফাইভের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। কলকাতায় এটি হবে শহরের বৃহত্তম একদেশীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র। আবেদনকারীদের স্বাচ্ছন্দ আরো বাড়িয়ে তুলতে এই ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারে থাকছে ভিসার আবেদনপত্র পূরণে সহায়তার জন্য হেল্প ডেস্ক, ফটো ডেস্ক, ফটোকপি পরিষেবা, প্রাইভেট লাউঞ্জ, ক্যুরিয়ার পরিষেবা, ইলেক্ট্রনিক কিউইং মেশিন, ফ্রি ওয়াই ফাই, ইলেক্ট্রনিক পেমেন্ট ব্যবস্থা ও পর্যাপ্ত পার্কিং সুবিধা ইত্যাদি। এখানে সব ধরনের কোভিড বিধি মেনে আবেদনকারীদের সুরক্ষার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। ভবিষ্যতে ভারতে অবস্থিত অন্যান্য বাংলাদেশ মিশনেও অনুরূপ ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হবে।
উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান অনুষ্ঠানে বলেন, আজ বাংলাদেশের বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে এবং বাংলাদেশ ভারত মৈত্রীর ৫০ বছর পূর্তির এই মাহেন্দ্রক্ষণে কলকাতায় বাংলাদেশ ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার উদ্বোধন করতে পেরে আমরা সত্যিই খুব আনন্দিত। এর মাধ্যমে ভারতীয় নাগরিকগণ আমাদের উন্নত ভিসা পরিষেবা পাবেন যা আমাদের দীর্ঘদিনের একটি প্রচেষ্টা ছিল। আমি এই বাংলাদেশ ভিসা সেন্টার স্থাপনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
২০ ডিসেম্বর থেকে এই ভিসা সেন্টারের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হবে। বর্তমানে ট্যুরিস্ট ভিসা ব্যতীত অন্যান্য ভিসার জন্য আবেদন করা যাবে। বাংলাদেশ সরকারের পরবর্তী ঘোষণা সাপেক্ষে ট্যুরিস্ট ভিসা প্রদানের উদ্যোগ গৃহীত হবে।