Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

সকাল সকাল কলকাতা পুরভোট ঘিরে অশান্তিরই ছবি লেন্সবন্ধী

পশ্চিমবঙ্গ আছে পশ্চিমবঙ্গেই।কলকাতা কলকাতাতেই।আজ কলকাতা পুরভোটের সকালের ছবি দেখে এই কথাই মনে হলো।শান্তিতে ভোট অন্য রাজ্যের ছবি হলেও এ বঙ্গে যে আর দেখা যায় না তা আবার নতূন করে সামনে এলো।বঙ্গে ভোট অথচ সে ভোট শান্তিতে হবে এ আশা মরিচী…

 


তরুণ চট্টোপাধ্যায়
পশ্চিমবঙ্গ আছে পশ্চিমবঙ্গেই।কলকাতা কলকাতাতেই।আজ কলকাতা পুরভোটের সকালের ছবি দেখে এই কথাই মনে হলো।শান্তিতে ভোট অন্য রাজ্যের ছবি হলেও এ বঙ্গে যে আর দেখা যায় না তা আবার নতূন করে সামনে এলো।বঙ্গে ভোট অথচ সে ভোট শান্তিতে হবে এ আশা মরিচীকা ছাড়া আর কিছু নয়।আর তাই দেখলো সমগ্র ভারত।

যদিও ভোটের আগে অভিষেক বন্দোপাধ্যায় ঘোষনা করেছিলেন এবার পুর ভোট হবে শান্তিতে।দলের কর্মী দের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন কোথাও কেউ কোন রকম গন্ডগোল করলে দল তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।কিন্তু সময় যত গড়াচ্ছে বোঝা যাচ্ছে এটি কথার কথা।তৃনমূল আছে তৃনমূলেই।
এর দুটি কারন উল্লেখ করেছেন ভোট বিশেষজ্ঞ দল।এক হলো তৃনমূল দলের ওপরতলার কি তবে নিচে তলার ওপর থেকে ক্রমশই নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছেন।
দ্বিতীয় কারন টি এটি হয়তো একেবারেই কথার কথা।মিডিয়া কে দিয়ে পাবলিক কে গেলানো।ভিতরে ভিতরে সব ঠিক আছে।
সকাল থেকেই ছাপ্পা ভোটের রমরমা,বুথ জ্যাম্প,ঠেলাঠেলি ও বোমাবাজি চললো পুলিশের সামনেই।বেলার দিকে পুলিশ সক্রিয় হলেও সকালের ছবি হলো পুলিশ নিরব দর্শক ।তবে কি এমন নির্দশ ছিল যা হবার সকালেই হয়ে যাক।
এবার ভোটে নির্দল প্রার্থীর ছড়াছড়ি ।এটি আর কিছু নয় ভোট কেন্দ্রের মধ্যে নিজেদের এজেন্ট বাড়ানোর কৌশল।
কোথাও প্রার্থী আক্রান্ত আবার কোথাও এজেন্ট ।আর অভিযোগের তীর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শাসক দলের বিরুদ্ধে ।
বিজেপি, কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের সকাল থেকেই অভিযোগ তৃনমূল ভোট লুঠ করছে।যদিও তৃনমূলের বক্তব্য দু একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া আর কিছুই ঘটেনি।ভোট চলছে শান্তিতে ।
সকাল থেকেই বিভিন্ন বুথ ঘুরে যে ছবি ধরা পড়লো তা হলো যার যেখানে ক্ষমতা সে সেখানে পেশী শক্তি প্রদর্শন করছে।
তবে ক্ষমতাসীন দল বাড়তি সুবিধা পাবেন এটি তো ধরা কথা।
ভোটের আগে থেকেই ধমকানি চমকানি তো ছিলই ।আজ সকালে কলকাতার বহূ বুথেই বিরোধী এজেন্ট দের বার করে দেওয়া হয়েছে বলে বিরোধীরা অভিযোগ করেন।
কলকাতার পুরভোট যে শান্তিপূর্ণভাবে হবে না তা কলকাতা বাসী আগেই আশঙ্কা করেছিলেন ।শুরু সেই কংগ্রেস আমল থেকে।পরে বামফ্রন্ট এসে সেই রিগিং কে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে যায় ।বৈজ্ঞানিক রিগিং চলে আসে।আর তৃনমূল ক্ষমতায় এসে সেই শিল্পকে অন্য মাত্রা এনে দিল।
সংস্কৃতি বান বাংলা চান শান্তির ভোট, রক্ত পাতহীন ভোট।
না এ ভোটেও তা দেখা গেল না আজ সকালেও।
কথায় আছে মর্নিং শোস দ্য ডে।
সকাল যা দেখালো, সে ছবি দেখলো সমগ্র ভারত।বাংলার এই পুরভোটের ছবি আবারও প্রমাণ করে দিলো শান্তির ভোট দেখতে আমাদের অনুবীক্ষণ যন্ত্র দরকার ।
অথচ বাংলার মানুষ চেয়েছিলেন রক্ত পাতহীন ভোট।কিন্তু চাইলেই তো হয়না।
রাজনৈতিক দল যে চায় নি।তাই অপেক্ষা ছাড়া গতি নেই।
আমাকেই জিততে হবে।আর না জিতলে টাকা আসবে কি করে।জনগনের রায় মাথা পেতে নেব।না না পেশি শক্তি প্রদর্শন চলবেই।
বামপন্থী ডানপন্থী কায়দা সেই এক।যেনতেন প্রকারে ক্ষমতা ধরে রাখা।
এবারের পুর ভোটের সকাল ও সেই বার্তাই দিয়ে গেল।জোর যার মুলুক ও তার।

তরুণ চট্টোপাধ্যায় ।