দেবাঞ্জন দাস, কলকাতা, ১৫ মার্চ: পূর্ব ভারতের এই প্রথম কলকাতার অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতাল নিয়ে আসলো ব্রঙ্কিয়াল থার্মোপ্লাস্টি। হাঁপানির ক্ষেত্রে কার্যকরী এই চিকিৎসার পদ্ধতিতে একটি ক্যাথেটার ব্যবহার করা হয় । হাঁপানির জন…
দেবাঞ্জন দাস, কলকাতা, ১৫ মার্চ: পূর্ব ভারতের এই প্রথম কলকাতার অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতাল নিয়ে আসলো ব্রঙ্কিয়াল থার্মোপ্লাস্টি। হাঁপানির ক্ষেত্রে কার্যকরী এই চিকিৎসার পদ্ধতিতে একটি ক্যাথেটার ব্যবহার করা হয় ।
হাঁপানির জন্য যে সমস্ত মানুষ ইনহেলার ব্যবহার করেন, সে ক্ষেত্রে ইনহেলার ব্যবহার করা সত্ত্বেও যদি কোন উপকার না পান এবং শ্বাসকষ্টের বা হাঁপানির জন্য বেশিরভাগ সময়ই হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় তাহলে ব্রঙ্কিয়াল থার্মোপ্লাস্টির প্রয়োজন হয়ে থাকে।
মঙ্গলবার ১৫ মার্চ এ নিয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে কলকাতার অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশালিটি হসপিটাল।
এই পদ্ধতিতে ক্যাথেটার উইন্ড পাইপের মাধ্যমে ঢুকিয়ে তাপ দেওয়া হয়। এই তাপ ফুসফুসের স্মুথ মাসল গুলিকে টার্গেট করে যাতে সেই পেশীগুলি সংকুচিত হয় হাঁপানির উপসর্গগুলিকে আরও বাড়াবাড়ির পর্যায়ে যেতে না পারে। এই পদ্ধতির জন্য সাধারণত তিনটি সিটিং প্রয়োজন হয়। তিন সপ্তাহের ব্যবধান তিনবার সিটিং-এর প্রয়োজন হয়।
১৪ মার্চ, ২০২২-এ কলকাতার অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালে দু'জন রোগীর উপর ব্রঙ্কিয়াল থার্মোপ্লাস্টি করা হয়েছিল। পদ্ধতির পরে রোগীরা স্থিতিশীল।
বিশ্বে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন মানুষ হাঁপানিতে ভুগছেন। তাদের মধ্যে প্রায় ৫-১০% মানুষ এই রোগের তীব্রতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হন। যদি ২-৩ মাস ধরে সঠিক ওষুধ এবং পদ্ধতিতে ইনহেলার ব্যবহার করার পরেও এই ধরনের রোগীদের সমস্যা থেকে যায়, তা হলে তাদের পালমোনারি ফাংশন টেস্ট করাতে হবে। যদি আইজিই বা ইওসিনোফিল ফলাফলে কম থাকে, তবেই তারা এই চিকিৎসার জন্য ভাবতে পারেন।
অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতাল কলকাতার কনসালটেন্ট পালমোনোলজিস্ট ডাঃ দেবরাজ জশ উভয় পদ্ধতিই প্রয়োগ করেছিলেন। তিনি বলেছেন, “ভারতে মোট জনসংখ্যার বিরাট অংশ গুরুতর হাঁপানিতে ভুগছে। ফলে ব্রঙ্কিয়াল থার্মোপ্লাস্টি নন-অ্যালার্জিক হাঁপানির ক্ষেত্রে একটি কার্যকর চিকিৎসা। পূর্ব ভারতে এই পদ্ধতি চালু করা সত্যিই একটি চ্যালেঞ্জ ছিল।"
কলকাতার অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশালিটি হসপিটালের কনসালটেন্ট পালমোনোলজিস্ট ডাঃ সুশীল আগরওয়াল বলেছেন, “ব্রঙ্কিয়াল থার্মোপ্লাস্টি আন্তর্জাতিক স্তরে গুরুতর হাঁপানি রোগীদের জন্য একটি বিশাল প্রাণদায়ী চিকিৎসা। আমরা আশা করছি এটি এখানেও সমান কার্যকরী হবে। ব্রঙ্কিয়াল থামোপ্লাস্টির পরে রোগীরা স্বস্তি পায় এবং নিয়মিত হাঁপানির আক্রমণ রোখা যায়। ফলে ধীরে ধীরে তাঁরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন।"
রানা দাশগুপ্ত, সিইও-ইস্টার্ন রিজিয়ন, অ্যাপোলো হসপিটালস গ্রুপ, বলেছেন, কলকাতার অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতাল নতুন প্রযুক্তি আনার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা নেয় বরাবর। এমনকী নতুন চিকিৎসা পদ্ধতির ক্ষেত্রেও আমরা আগ্রগামী। আমাদের চিকিৎসকরা ভাল চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে অনেক হাঁপানি রোগীদের সমস্যার সমাধান হবে।"