দেবাঞ্জন দাস, ৯ মার্চ, কলকাতা: গৃহপরিচারিকা কিংবা বাড়িতে থাকা বয়স্ক মানুষদের দেখাশোনা হোক। নিজেদের আর্থিক পরিস্থিতির জন্য তারা বাড়ির বাইরে বেরিয়ে কাজ করেন। এছাড়া ভিন দেশে থাকা ছেলে মেয়েদের বাড়িতে থাকা বাবা মায়ের দেখাশো…
দেবাঞ্জন দাস, ৯ মার্চ, কলকাতা: গৃহপরিচারিকা কিংবা বাড়িতে থাকা বয়স্ক মানুষদের দেখাশোনা হোক। নিজেদের আর্থিক পরিস্থিতির জন্য তারা বাড়ির বাইরে বেরিয়ে কাজ করেন। এছাড়া ভিন দেশে থাকা ছেলে মেয়েদের বাড়িতে থাকা বাবা মায়ের দেখাশোনার জন্য একমাত্র স্বস্তির জায়গা আয়া দিদি।
সেই আয়া দিদিদের নিয়েই এবার প্রায় ৬০ মিনিটের একটি তথ্য চিত্র তৈরি করলেন এই তথ্য চিত্রের পরিচালক এবং অধ্যাপিকা তন্বী চৌধুরী।
নাম: Mira's Minders (যারা মীরার সাথে ছিল)।
তন্বী চৌধুরীর কথায় “ভারতবর্ষের শহর ও মফঃস্বল থেকে যারা অন্য দেশে অধিবাসের জন্য পাড়ি দেয় সেক্ষেত্রে নিজের বাড়ির দেখাশোনার জন্য, বিশেষত প্রবীন বৃদ্ধ মানুষদের দেখাশোনার জন্য তাদের এই ধরণের সর্বক্ষণের পরিচারিকা বা আয়াদের ওপর নির্ভরশীল। আমি নিজে যেহেতু আমেরিকার একজন প্রথম প্রজন্ম আধিবাসী এবং ভারতবাসী সেহেতু এই দুই দেশেই নিজের অস্তিত্ব গড়ে তুলেছি। সেখান থেকেই আমার এই তথ্যচিত্র নির্মাণের চিন্তা মাথায় এলো”।
তিনি আরও বলেন, সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কথা চিন্তা করে ছবি হয় কিন্তু এদের নিয়ে ছবির সংখ্যা খুবই নগণ্য।
এই তথ্য চিত্রে যেমন দেখানো হয়েছে কিভাবে পারিবারিক পরিস্থিতিকে একটু উন্নত করার জন্য মহিলারা এই কাজ বেছে নেন তেমনি কাজ করতে গিয়ে বিভিন্ন কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হন।
নারী দিবসের দিনে এই ধরনের তথ্য চিত্র মুক্তি পাওয়ার থেকে আর ভালো কিছু হতেই পারে না মত অনেকেরই।
এই তথ্যচিত্রে সমাজতত্ত্বের “ভিজ্যুয়াল এথনোলজি” পদ্ধতিকে ব্যবহার করে আয়াদের এই অস্থায়ী অসংগঠিত শ্রমদানের ধারাকে তিনভাগে ভাগ করা হয়েছে। কিছুটা কাল্পনিক তত্ত্বও সংমিশ্রিত হয়েছে এক্ষেত্রে। 'কুমতি' অর্থাৎ যে ধূর্ত শ্রমজীবি, 'সুমতি' অর্থাৎ যে বিনা প্রতিবাদে সমস্ত নিয়মকে মেনে নেয় আর 'শান্তমতি' অর্থাৎ যে প্রতিবাদী। এই তথ্যচিত্রে বর্তমানের পরিবর্তনশীল শ্রমক্ষেত্রে আয়াদের জীবনের মান পরবর্তন, কিছু বিশেষ প্রতিবন্ধকতা, উপার্জন এবং সম্মানকে খুঁজে বের করা হয়েছে। তথ্যচিত্রটিকে তত্ত্ব ও শিক্ষার জায়গা থেকে তুলে এনে অনেক বেশী মানবিক করা হয়েছে।
তন্বী চৌধুরী জানান , নারী শক্তি নিয়ে তার এই কাজ প্রথম , এর পর আরও দুটি তথ্য চিত্র তৈরি হবে । এটা হলো তার প্রথম ভাগ।
নারী দিবসের দিনে এক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে এই তথ্য চিত্র মুক্তি পায়।