২০০২সালে মেদিনীপুর জেলা ভাগ হয়ে নতুন জেলা হয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুর। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলা সদর ঐতিহাসিক তমলুক শহর। ২০১৭সালে তমলুক শহর কে সাজিয়ে তুলতে রাজ্য সরকারের নির্দেশে জেলা প্রশাসন উদ্যোগ নেয়। সেইমতো তমলুক শহরের হলদিয়…
২০০২সালে মেদিনীপুর জেলা ভাগ হয়ে নতুন জেলা হয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুর। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলা সদর ঐতিহাসিক তমলুক শহর। ২০১৭সালে তমলুক শহর কে সাজিয়ে তুলতে রাজ্য সরকারের নির্দেশে জেলা প্রশাসন উদ্যোগ নেয়। সেইমতো তমলুক শহরের হলদিয়া মেছেদা রাজ্য সড়ক নিমতলা মোড় থেকে মানিকতলা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার রাস্তা সম্প্রসারণ করা হয়। রাস্তার দুধারে বেদখল দোকান এবং ব্যক্তিগত বাড়ি ভেঙে দেয় জেলা প্রশাসন। তৈরি হয় নতুন করে দুই লেনের কাজ। রাস্তার দুই ধারে রেলিং দিয়ে ঘিরে তৈরি করা হয় ফুটপাত এবং সার্ভিস রোড।পাশে হাইড্রেন।
পুরনো জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে সৌন্দর্যায়নের কাজ করা হয়। রাস্তার দুই ধারে নতুন করে সাজানোর পরিকল্পনা নেয় জেলা প্রশাসন। কিন্তু রাস্তা সম্প্রসারণের দু'বছরের পর থেকেই ধীরে ধীরে গজিয়ে ওঠে পলিথিন ঘেরা ছোট ছোট দোকান। হাইড্রেনের ওপরে কাঠের পাটাতন দিয়ে পলিথিন ঘিরে তৈরি করা হয়েছে ছোট ছোট দোকান। ঘিরে ফেলা হয়েছে মানুষের চলার রাস্তা ফুটপাত। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজী আশ্বাস দিয়েছেন খুব দ্রুত এই দখলদারি মুক্ত করা হবে।
তাম্রলিপ্ত পৌরসভা এবং জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে পরিদর্শন করবেন সম্প্রসারণ হওয়ার রাস্তাটি। ৬২ কোটি টাকা ব্যয় করে রাস্তা সম্প্রসারণ এবং সৌন্দর্যায়ন রাজ্য সরকারের যে পরিকল্পনা ছিল তা পুনরায় বেদখল করে নষ্ট করার চেষ্টা করছি বেশ কিছু দোকানদার। এখন দেখার বিষয়, কবে ফুটপাত মুক্ত হয়ে সাধারণ মানুষের চলাচলের যোগ্য হয়ে ওঠে। আর সৌন্দর্য ফিরে পাক তমলুক সদর শহর।