বাবলু বন্দ্যোপাধ্যায়। কোলাঘাটতমলুক সাংগঠনিক জেলার মন্ডল সভাপতি ৪১ থেকে বেড়ে দাড়ালো ৪৪। নতুন মুখের সংখ্যা ২৪, মনোমালিন্য শুরু ।
পদাধিকারীদের নাম ঘোষণা হলেই নিজেদের মধ্যে শুরু হয় সমালোচনা। রাজ্যের ক্ষেত্রেও দেখা গেছে,…
বাবলু বন্দ্যোপাধ্যায়। কোলাঘাট
তমলুক সাংগঠনিক জেলার মন্ডল সভাপতি ৪১ থেকে বেড়ে দাড়ালো ৪৪। নতুন মুখের সংখ্যা ২৪, মনোমালিন্য শুরু ।
পদাধিকারীদের নাম ঘোষণা হলেই নিজেদের মধ্যে শুরু হয় সমালোচনা। রাজ্যের ক্ষেত্রেও দেখা গেছে, জেলার ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ঘটেনি, মন্ডল সভাপতি দের নাম ঘোষণার পরেই তমলুক সাংগঠনিক জেলার শুরু হয়েছে নিজেদের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি। আদি নব্য কাকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হলো। কোন মন্ডলে কাকে বাদ দিয়ে কোন ব্যক্তিকে আনা হলো। এই নিয়েই সোমবার সারা দিন চলল নিজেদের মধ্যে রাজনৈতিক চর্চা। তবে এই চর্চাকে বেশী আমল দিতে রাজি নয় তমলুক সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি তপন ব্যানার্জী। সোমবার তিনি বলেন যা কথা বলবে রাজ্য বলবে, সব দিক চিন্তা ভাবনা করে নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এবারের মন্ডল সভাপতি বৃদ্ধি করা হয়েছে ছিল ৪১ ,কোলাঘাট বিধানসভা, তমলুক বিধানসভা, নন্দকুমার বিধানসভা থেকে একটি করে মন্ডল সভাপতি বৃদ্ধি করে সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৪৪। জেলা পার্টি অফিসে জেলা সভাপতি তপন ব্যানার্জি ৪০ জন সভাপতির নাম ঘোষণা করেছেন। নতুন মুখ আনা হয়েছে ২৪ জনকে। চারজন মণ্ডল সভাপতির নাম ঘোষণা করা হয়নি। চারজন সভাপতির নাম প্রকাশ করা হবে তমলুক জেলা পার্টি অফিস থেকেই। এখন দেখার বিষয় মন্ডল সভাপতি দের নাম ঘোষণার পর এদের নেতৃত্বেই আগামী ২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন। দলকে কতখানি প্রাথমিকভাবে সাংগঠনিক স্তরে ঐক্যবদ্ধ করতে পারে । ২০১৬ সালে প্রথম মন্ডল নির্বাচন শুরু হয়। ২০১৯ সালে পুনরায় রাজ্যের মন্ডল নির্বাচন করা হয়। ওই মন্ডল সভাপতিদের নেতৃত্বেই ২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন সংঘটিত হয়। তাতে আশানুরূপ ফল করতে পারেনি ভারতীয় জনতা পার্টি। পুনরায় ২০২২ সালের মন্ডল নির্বাচনের প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর এখন দেখার বিষয় এসে দাঁড়িয়েছে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে যাদেরকে সভাপতি হিসাবে গণ্য করা হয়েছে তারা কতখানি শাসকদলের বিরুদ্ধে লড়াই করে জয় হাসিল করতে পারে।