আমি ব্রততী ,,,ব্রততী ভাদুড়ী।ছোটবেলার স্কুলজীবন কেটেছে ব্রাহ্ম বালিকা শিক্ষালয়ের মত এক প্রতিষ্ঠানে।যেখানে দিদিমনিরাই ছিলেন আমাদের মা।তাঁদের স্নেহচ্ছায়ায় পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা নাচ গান নাটকে হাতেখড়ি।পরবর্তীতে প্রেসিডেন্সি…
আমি ব্রততী ,,,ব্রততী ভাদুড়ী।ছোটবেলার স্কুলজীবন কেটেছে ব্রাহ্ম বালিকা শিক্ষালয়ের মত এক প্রতিষ্ঠানে।যেখানে দিদিমনিরাই ছিলেন আমাদের মা।তাঁদের স্নেহচ্ছায়ায় পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা নাচ গান নাটকে হাতেখড়ি।পরবর্তীতে প্রেসিডেন্সি কলেজ।সংস্কৃতকে ভালবেসে এগিয়েছিল আমার জীবন। সেখানেও খেলাধূলা নাচগানের সাথে পড়াশুনা এগোচ্ছিল জোড়কদমে।একসঙ্গে লাইব্রেরিয়ানসিপ ডিপ্লোমা কোর্স করা।কিন্ত চাকরি না করে তখন থেকেই আমার জীবনের ব্রত ছিল ছাত্র তৈরি করা।তাদের সুশিক্ষিত এবং স্বশিক্ষিত করে তোলা।পড়ানোর পাশাপাশি যথার্থ মানুষ করার ব্রত নিয়েই আমার জীবন এগোচ্ছিল।ছেলে আমার প্রথম ছাত্র।ও নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন থেকে পড়াশুনা করেছে।সেও ছোট থেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা নাটক এইসবের আনন্দ খুঁজে নিয়েছিল।পরবর্তীতে আমি নিজেকে গান কবিতা শ্রুতিনাটকের মধ্যেই ডুবিয়ে দিলাম। আমার প্রথম গুরু শ্রীমতী ঊর্মিমালা বসু।এখন আমি শ্রীমতী রত্না মিত্রের ছাত্রী।নাটকের হাতেখড়ি শ্রী অমিত রায়ের কাছে।এখনও আমি পড়াই।বরাবর চেষ্টা করেছি মায়েরা শিক্ষিত হোক।তবেই একজন সুন্দর মানুষকে উপহার দিতে পারবেন সেই মা।আমার বলতে দ্বিধা নেই ঈশ্বরের আশীর্বাদে বহু ছাত্র ছাত্রীকে উচ্চশিক্ষার জন্য ভিতটা তৈরী করে দিতে পেরেছি।এখন এই কোভিড পরিস্থিতিতে আমি নিজেকে নতুনভাবে যেন আবিষ্কার করলাম। সোশাল মিডিয়ার দৌলতে এইসব সংস্কৃতিমূলক কাজের জন্য পরিচিতিও অনেক বেড়েছে।নানারকম সেবামৃলক কাজের সাথেও আমার husband যুক্ত আছেন।মানুষকে আনন্দ দেওয়ার মধ্যেই যে নিজেদের আনন্দে রাখা যায় সেটা ভীষণভাবেই উপলব্ধি করি।সুস্থ শরীরে এইভাবেই যদি সবার মানসিক শুশ্রূষা দিয়ে যেতে পারি তাহলেই আমি ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ থাকব।