শিরোণামঃ-পতন****লিখনেঃ-রামকৃষ্ণ বিশ্বাস*****দিনাঙ্কঃ২৮*০৫*২২******
দেবার ইচ্ছেছিল আমার অগাধ, তোমারও ছিল সাঁতার কাটার সাধ, তাই নামিয়ে ছিলাম সাঁতার দেবার তরে।এক ডুবেই হাঁপিয়ে গেলে....তখনলাফিয়ে তুমি উঠে এলে চড়ে।যার জন্য সাঁতার শেখার …
শিরোণামঃ-পতন****
লিখনেঃ-রামকৃষ্ণ বিশ্বাস*****
দিনাঙ্কঃ২৮*০৫*২২******
দেবার ইচ্ছেছিল আমার অগাধ,
তোমারও ছিল সাঁতার কাটার সাধ,
তাই নামিয়ে ছিলাম সাঁতার দেবার তরে।
এক ডুবেই হাঁপিয়ে গেলে....তখন
লাফিয়ে তুমি উঠে এলে চড়ে।
যার জন্য সাঁতার শেখার উচ্ছাস অদম্য,
তার সবটুকুন নিতে পেরেছ কি কুড়িয়ে..?
হৃদয়ের যত রত্ন, নীলা, সব, মুক্তেভরা আঁকরখানি..!
জানি পাওনি খুঁজে তারে,যা লুকিয়ে রেখেছিলাম তোমারই জন্যে, অলিন্দে।
সেই ঠিকানাহীন, মণিখঁচিত হৃদয়ের ডুবো পাহাড়খানি, তোমায় ডেকেছে গো,
আপন করেতে চেয়ে।
তুমি তখন নাভিঃশ্বাসে জেগে উঠলে ভয়ে
পিছে. হৃদয় মাঝের উষ্ণস্রোত আাসে আবার ধেয়ে...!
আমি তাও দাড়িয়ে ছিলাম, বাহুযুগল বাড়ায়ে
হৃদয়ের মোহনায় বা নিরাপদ কোন এক কিনারে।
আশা ছিল তোমায় নিয়ে, একাকার হব দুয়ে।
কি পেলে,কি নিলে..!
মুক্তের অলংকার, মণিমালা হার..?
এছাড়া পাওনি কিছুই জানি,
এ হৃদয় হিমশৈল আর উষ্ণস্রোতের কঠিন টানাটানি।
যা দেব ভেবেছিলাম খুঁজলে না তা,
পেলে না তার এক কণা,সবই রইলো ধরা।
হদসাগরে সাঁতার দিতে তোমারই ছিলো ত্বরা,
বাঁধা দেইনি আমি সেদিন,অসম্মতি ছিলনা।
আজো যখন সে সমু্দ্রে ঢেউ ওঠে
কখনো তপ্তস্রোত কখনো বা হিমেল স্রোতের টান।
পাহাড় ভাঙে ছড়িয়ে পড়ে মুক্তরাজির খনি।
ভাসতে ভাসতে বিশ্রাম করে পাড়ে,
তোমায় খোঁজে বারে বারে....।
হায়!
কেন যে তখন তোমায় সাঁতার শেখায় নি...!
আজ সমুদ্র হারায়েছে স্রোত,
আছড়ে পড়েনা ঢেউ আর তীরে।
মুক্তরাজ্য মুখ ফিরায়ে নিয়েছে,
ডুবন্তগিরি জেগে থাকে সর্বদা,যেন এক হিমালয় পাহাড়..,
মুক্তহীন আজ সে ভুলেছে অহংকার।
সব হারিয়েছে, হৃদয় শুকিয়েছে,
তবুও তরঙ্গ আজো খেলে, নিঃসঙ্গ, একা,
পানসি আছে, নাবিক নেই..…..।
কঠিন শিলায় বারিহীন সমুদ্র আছে, উচ্চতম শিরে
ভীতু, সাহসী কোনো সাঁতারু নেই।।
******রামকৃষ্ণবিশ্বাস *********