দিঘাঃ আমফান,ইয়াসের ক্ষত এখনো ঠিকভাবে শুকায়নি। এরই মাঝে আবার ঘুর্ণিঝড় অশনির সংকেত। আর সেই ঘুর্ণিঝড় অশনির মোকাবিলায় তৎপর জেলা প্রশাসন। দফায় দফায় বৈঠক করে আগাম সতর্ক করা হচ্ছে জেলাবাসীকে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে অশনি ঝড়ের আগাম…
দিঘাঃ আমফান,ইয়াসের ক্ষত এখনো ঠিকভাবে শুকায়নি। এরই মাঝে আবার ঘুর্ণিঝড় অশনির সংকেত। আর সেই ঘুর্ণিঝড় অশনির মোকাবিলায় তৎপর জেলা প্রশাসন। দফায় দফায় বৈঠক করে আগাম সতর্ক করা হচ্ছে জেলাবাসীকে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে অশনি ঝড়ের আগাম সতর্কতা হিসেবে ব্লক প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক হলো রামনগর এক ব্লকের মিটিং হলে। যেখানে উপস্থিত ছিলেন রামনগর ব্লকের ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক বিষ্ণুপদ রায়, পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি নিতাই চরণ সার, বিভিন্ন কোস্টাল থানার ওসি, সেচ দপ্তর, বিদ্যুৎ দপ্তর, রামনগর এক ব্লকের বিভিন্ন পঞ্চায়েতের প্রধান ,অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের প্রধান রা উপস্থিত ছিলেন তাদের কথায় বিগত কয়েক বছর ধরেই এই সময়ে ইয়াস আম্ফান, আইলা, প্রভৃতি ঝড় উপকূল এলাকা দিয়ে বয়ে গেছে যার ফলে বিপর্যস্ত হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর উপকূল এলাকা গুলি। বিগত ইয়াস ঝড়ের ফলে পূর্ব মেদিনীপুর দিঘা তাজপুর মান্দারমনি এই সমস্ত কোস্টাল এলাকায় সমুদ্র বাঁধ ভেঙ্গে কার্যত বিপর্যস্ত হয়েছিলো ।কয়েক লক্ষ মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছিলেন।তাই সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে তা নিয়ে আগাম বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো। প্রশাসনিক আধিকারিক গন ব্লক আধিকারিকের কোথায় ঝড়ের আগে কি ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে কিংবা ঝড়ের পরে কী ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত তা নিয়ে মূলত বৈঠক। আলোচনা হয়েছে এদিন বৈঠকে উঠে আসে দীঘা মোহনা থেকে চাঁদপুর পর্যন্ত যে ১২ কিলোমিটার সমুদ্র বাঁধ ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছিল তার কাজ কিছুটা এগোলেও মাঝখানে কিছু কাজ এখনো বাকি রয়েছে তা নিয়ে কিন্তু চিন্তিত রয়েছে প্রশাসন ।তবে ঝড় অশনি আসার আগেই তা যাতে সম্পূর্ণরূপে সারিয়ে ফেলা যায় তার চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু হয়েছে বলে জানান এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান বিশ্বজিৎ জানা। এছাড়াও ঝড়ের পরে বিদ্যুৎ পরিষেবা ত্রাণ পরিষেবা ও ঝড় এর পূর্বে মানুষকে বিভিন্ন এলাকা থেকে যাতে সরিয়ে নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা যায় তার জন্য স্কুল এবং আয়লা সেন্টার গুলি ইতিমধ্যে সেন্টারে কাজ ও পরিদর্শনের কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি নিতাই চরণ সার।এছাড়াও অন্যান্য আধিকারিক যারা উপস্থিত ছিলেন তাদেরকে সর্বতোভাবে প্রস্তুত থাকার কথা বলা হয়েছে ।প্রয়োজনে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট ও এনডিআরএফ নামানো হতে পারে বলে এমনটাই মনে করছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা ।তবে ঝড়ের তেমন কোনো আগাম সতর্কবার্তা বা নিরাপত্তা জনিত চূড়ান্ত নির্দেশিকার না আসলেও প্রাথমিকভাবে প্রস্তুতিপর্ব সেরে রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্লক আধিকারিক বিষ্ণুপদ রায়। স্থানীয় মানুষের কথায় বিগত কয়েক তারা অনেকটাই আতঙ্কিত ছিলেন এবারে যদি জ্বর আসে সেই আতঙ্ক কিন্তু তাদের মনে কাজ করছে তাই ব্লগ প্রশাসন জমি প্রস্তুত থাকছে তেমনি মানুষের নিরাপত্তা দিক খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজী জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় অশনির মোকাবিলা করার জন্য আমরা আগাম সব রকম ব্যবস্থা গ্রহন করেছি। শনিবার খেজুরি-২ নম্বর ব্লকের নিজকসবা এলাকা পরিদর্শনে যায় জেলা শাসক পূর্ণেন্দু কুমার মাজী। জেলার সমস্ত ব্লক প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তি, জনপ্রতিনিদের এলাট থাকার কথা জানানো হয়েছে। মূলত নদী ও সমুদ্র তীরবর্তী এলাকার মানুষদের সচেতন করতে এলাকার জনপ্রতিনিধের নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করা হচ্ছে। আতংক নয় সকলকে সজাগ থাকার কথা জানানো হচ্ছে।।