নিজস্ব সংবাদদাতা,শালবনী,পশ্চিম মেদিনীপুর...... উদ্যোগ নিয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনী থানা আর সেই উদ্যোগে সামিল হলো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ছত্রছায়া।আর এই যৌথপ্রয়াসে শুরু হলো 'বিনামূল্যের পাঠশালা'। সোমবার থেকে শালবনী …
নিজস্ব সংবাদদাতা,শালবনী,পশ্চিম মেদিনীপুর...... উদ্যোগ নিয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনী থানা আর সেই উদ্যোগে সামিল হলো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ছত্রছায়া।আর এই যৌথপ্রয়াসে শুরু হলো 'বিনামূল্যের পাঠশালা'। সোমবার থেকে শালবনী ব্লকের জঙ্গললাগোয়া লোধা জনজাতি অধুষ্যিত গ্রাম বুড়িশোলের কমিউনিটি শেডে শুরু হলো "বিনামূল্যের পাঠশালা " ।
দারিদ্র ও অতিমারীর নিষ্ঠুর দহনে স্কুল ছুট হয়ে যাওয়া,বিদ্যালয়ের মুখ না দেখা ও 'বর্ণপরিচয়' প্রায় ভুলতে বসা কচিকাঁচাদের পাঠদান করতেই এই উদ্যোগ।।শালবনী থানার দায়িত্ব প্রাপ্ত আধিকারিক গোপাল বিশ্বাসের মস্তিষ্কপ্রসূত এই পাঠশালার উদ্যোগ নিয়েছে শালবনী থানা। সহযোগিতায় রয়েছে শালবনীর পরিচিত সামাজিক সংগঠন 'ছত্রছায়া'।আগে থেকেই এই বুড়িশোল গ্রামে বিভিন্ন প্রকার সমাজসেবামূলক কাজ নিরলস ভাবে করে চলেছেএই ছত্রছায়া গ্রুপ। প্রারম্ভিক ভাবে এই পাঠশালায় পাঠদান করবেন বুড়িশোল গ্রামেরই গৃহবধূ অপরূপা পাল । পাঠশালাটির সামগ্রিক দেখভাল করবেন এলাকার জনপ্রিয় শিক্ষক ও বিশিষ্ট সমাজসেবী অভিজিৎ ঘোষ এবং বিশিষ্ট গ্রামীণ চিকিৎসক ডাঃ হারাধন দুয়ারী।
অন্ধকারে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মৌন মলিন মুখগুলিতে পরিপূর্ণতার হাসি ফুটিয়ে তোলা এবং তাদের শিক্ষার অঙ্গনে ফিরিয়ে আনাই এই পাঠশালার মূল লক্ষ্য
"ছত্রছায়া"-র গ্রুপের কর্ণধার নুতন ঘোষ জানান, কিছুদিনের মধ্যে তাঁদের আরো দুটো এরকম পাঠশালা চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। পাশাপাশি তিনি জানান, যদি শুভাকাঙ্ক্ষীরা এগিয়ে এসে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন, তাহলে ভবিষ্যতে তারা এরকম আরো কয়েকটি পাঠশালা শুরু করার চেষ্টা করবেন।