দক্ষিণ বঙ্গে তাপ প্রবাহ। দিন দিন তাপমাত্রার পারদ চড়ছে। আবহবিদেরা জানান, কয়েক দিনের মধ্যেই দক্ষিন বঙ্গে বর্ষা ঢুকবে। কিন্তু তার আগেই উত্তর বঙ্গে লাগাতার বৃষ্টি। কখনো প্রবল বেগে আবার কখনো ঝিরিঝিরি। বৃষ্টি হলেই কালিম্পং জেলার পাহা…
দক্ষিণ বঙ্গে তাপ প্রবাহ। দিন দিন তাপমাত্রার পারদ চড়ছে। আবহবিদেরা জানান, কয়েক দিনের মধ্যেই দক্ষিন বঙ্গে বর্ষা ঢুকবে। কিন্তু তার আগেই উত্তর বঙ্গে লাগাতার বৃষ্টি। কখনো প্রবল বেগে আবার কখনো ঝিরিঝিরি। বৃষ্টি হলেই কালিম্পং জেলার পাহাড়ি এলাকায় ভুমিধসের প্রবনতা বাড়ে।এই ভুমি ধসের ফলে বেহাল হয়ে উঠেছে গরুবাথান ব্লকের পাহাড়ি এলাকার রাস্তা। জীবনের ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে।
গরুবাথান সদর থেকে ঝান্ডি যাবার রাস্তা মাত্র ২৩ কিলোমিটার। এই ঝান্ডি ইতিমধ্যে তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে,পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষনের কেন্দ্রবিন্দু।গরুবাথানে খানিক এগিয়ে ফাগু চা বাগানের পাশ দিয়ে রয়েছে পাহাড়ী রাস্তা। পথে পড়ে সুন্তলে, বাজদেরিয়া, নিমবস্তী।
নিমবস্তী এলাকা ঘিরে সাড়ে তিন কিলোমিটার রাস্তার এখন বেহাল অবস্থা।কয়েকদিন ধরে বৃষ্টিতে পাহাড়ের বেশ,কিছু ধ্বস পড়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে এই নিমবস্তী এলাকার রাস্তা ।ছোট ছোট গাড়ী যেতে সাহস করছে না।গাড়ী গেলেও রাস্তা সংকীর্ন হওয়ায় গাড়ী থেকে নেমে যাত্রী বা,পর্যটকরা পায়ে হেটে যাচ্ছেন।গাড়ী ওই ঝুকির জায়গা পার হলে তার পর গাড়ীতে উঠছেন যাত্রীরা।এই রাস্তার উপর থাকা গ্রামগুলোর মানুষের জীবন জীবিকা এই পর্যটকদের উপর অনেকটা নির্ভরশীল।তাই রাস্তা ছোটো খাটো খারাপ হলে নিজেরা রাস্তার সংস্কার করে।কিন্তু কাজটা বড় হলে প্রশাসনের উপর নির্ভর ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না।২০২১, সালে পুজার সময় এইরকম হয়েছিল।রাস্তা চলাচলের উপযোগী করে তুলেছিলেন তারা। পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাস্তা ঠিক করা হয়েছিল।
এবার বৃষ্টিতে রাস্তা সত্যি খারাপ ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে ।ঝুকি মাথায় নিয়ে পর্যটকরা যাচ্ছেন আর কেউ কেউ গালমন্দ দিচ্ছেন প্রশাসনকে।তা হলে কবে রাস্তা ঠিক হবে?
এ ব্যপারে গরুবাথান ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সৌভিক বসু বলেন এই রাস্তা জি টি এ র অধীন।রাস্তা দেখভালের জন্য জি টি এ এর এক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ আছে।ওরা গতবার রাস্তা ঠিক করেছিল।এবিষয়ে গরুবাথানের জিটিএর ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের নির্বাহী বাস্তুকারকে জানান হয়েছে।বৃষ্টি কমলে রাস্তা সংস্কার হবে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় লোকজন দ্রুত রাস্তা মেরামতের দাবি করেছে।