Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

গত দুই দিন উত্তাল হাওয়া, সমাধান কোথায়?

তরুন চট্টোপাধ্যায়নুপূর শর্মার বিতর্কিত এক মন্তব্যের আঁচ দেরিতে হলেও এই বাংলায় আজ তাণ্ডবের চেহারা নিলো।দুদিন ধরে জাতীয় সড়ক আটকে রেখে জনজীবন স্তব্ধ করে দেওয়া হলো।প্রথম দিন টানা এগারো ঘন্টা ও দ্বিতীয় দিন প্রায় পাঁচ ঘন্টা ধরে চললো গা…

 


তরুন চট্টোপাধ্যায়

নুপূর শর্মার বিতর্কিত এক মন্তব্যের আঁচ দেরিতে হলেও এই বাংলায় আজ তাণ্ডবের চেহারা নিলো।দুদিন ধরে জাতীয় সড়ক আটকে রেখে জনজীবন স্তব্ধ করে দেওয়া হলো।প্রথম দিন টানা এগারো ঘন্টা ও দ্বিতীয় দিন প্রায় পাঁচ ঘন্টা ধরে চললো গাড়ি ভাঙচুর থেকে আগুন লাগানো।
প্রথম দিন রাজ্য প্রসাশন নিরব থাকলেও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী করজোড়ে অবরোধ তুলে নিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য অবরোধকারীদের অনুরোধ করেন।কিন্তু সেই অনুরোধ কে উপেক্ষা করে দ্বিতীয় দিন ও আবার ও শুরু হয় অবরোধ ,রেল রোকো থেকে নানা অপ্রীতিকর কার্য কলাপ।প্রথম দিন প্রশাসন নিরব দর্শক থাকলেও দ্বিতীয় দিন শুরু থেকেই অবরোধ কারীদের ওপর লাঠিচার্জ থেকে কাঁদুনে গ্যাসের সেল ফাটিয়ে প্রশাসন সে অবরোধ তুলে দেওয়ার জন্য আপ্রান চেষ্টা করেন।অবরোধ কারীরা পুলিশ কে লক্ষ্য করে ইঁট বোমা ছোঁড়ে বলে অভিযোগ ওঠে।বিজেপির পার্ট অফিস ও ভেঙে দেওয়া হয়।
শান্ত বাংলায় অশান্তি ছড়ানোর এই প্রচেষ্টা কে তৃনমূল সহ সব রাজনৈতিক দল নিন্দা করেন।দাঙ্গাবাজদের অনেকেই জানেন না কেন তাঁরা দাঙ্গা করছেন।
শান্তি প্রিয় উভয় সম্প্রদায়ের মানুষের অভিব্যক্তি হলো এরা সমাজ বিরোধী। শান্ত ভাবে প্রতিবাদের রাস্তা ছেড়ে এই পথ বেছে নিলেএদের সুবিধা হয়।
নুপূর শর্মা কে বিজেপি দল আগেই বহিষ্কার করেছে।এই নিয়ে দেশ জুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে।তবে তা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে নষ্ট করে নয়।
অবিলম্বে এই ধরনের অসামাজিক কাজকর্ম বন্ধ হোক।জন জীবন সচল থাকুক। 
উভয় সম্প্রদায়ের মানুষের দাবি এটি।
বাংলা জুড়ে এই অরাজকতা প্রসাশন যে বরদাস্ত করবে না দ্বিতীয় দিনে সে ছবি স্পষ্ট করে দেয় প্রশাসন। ফলে এগারো ঘন্টার বন্ধ সেদিন আর দেখা যায় নি।
প্রতিবাদ নিশ্চয় হোক।তবে তা জনজীবন কে অচল করে নয়।

।