দেবাঞ্জন দাস; ১ জুন: রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট দেওয়ার আগে গম রপ্তানির জন্য আবেদন সম্পর্কিত যাবতীয় নথিপত্রের হাতেনাতে যাচাই করতে আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক মহানির্দেশক। অবৈধ কাগজপত্রের ভিত্তিত…
দেবাঞ্জন দাস; ১ জুন: রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট দেওয়ার আগে গম রপ্তানির জন্য আবেদন সম্পর্কিত যাবতীয় নথিপত্রের হাতেনাতে যাচাই করতে আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক মহানির্দেশক। অবৈধ কাগজপত্রের ভিত্তিতে রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট রপ্তানিকারীদের যাতে দেওয়া না হয়, তা সুনিশ্চিত করতেই এই নির্দেশ।
রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট দেওয়ার বিষয়ে যাবতীয় অস্পষ্টতা দূর করতে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, ইতিমধ্যেই অনুমোদিত বা যাচাই প্রক্রিয়া চলছে, এমন আবেদনের ক্ষেত্রে আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষগুলি সমস্ত নথিপত্র হাতেনাতে যাচাই করবে। প্রয়োজনে আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষগুলি নথিপত্র যাচাইয়ের কাজে পেশাদার কোনও সংস্থার সাহায্য নিতে পারে।
বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক মহানির্দেশকের জারি করা নির্দেশে আরও বলা হয়েছে, হাতেনাতে আবেদনের নথিপত্র যাচাইয়ের সময় প্রাপক ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে এর বৈধতা সুনিশ্চিত করা হবে। যদি লেটার অফ ক্রেডিট ১৩ই মে বা তার আগে কোনও তারিখে হয়ে থাকে, কিন্তু ভারতীয় ও বিদেশি ব্যাঙ্কগুলির মধ্যে মেসেজ লেনদেন ১৩ই মে তারিখের পর হয়েছে, সেক্ষেত্রে আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষগুলি বিষয়টির পূর্ণ তদন্ত করতে পারে। তদন্তের সময় যদি জানা যায়, মেসেজ লেনদেন উল্লিখিত তারিখের আগে হয়েছে, তবে ১৯৯২ – এর বৈদেশিক বাণিজ্য আইনের সংশ্লিষ্ট ধারানুযায়ী অবিলম্বে রপ্তানিকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজনে এ ধরনের ঘটনাগুলি আর্থিক অপরাধ শাখা, কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (সিবিআই) – এর মতো এনফোর্সমেন্ট এজেন্সিগুলিকে হস্তান্তরিত করা যেতে পারে। উল্লিখিত তারিখের ক্ষেত্রে কোনও ব্যাঙ্কারের কাছ থেকে যদি জটিলতা দেখা দেয়, তা হলে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।।
উল্লেখ করা যেতে পারে, ভারত সরকার গত ১৩ই মে দেশে সার্বিক খাদ্য নিরাপত্তা অটুট রাখতে এবং প্রতিবেশী বা সাহায্যের আশু প্রয়োজন রয়েছে, এমন দেশগুলিকে সহায়তার জন্য গম রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। গমের বিশ্ব বাজারে হঠাৎ করেই প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরি হওয়া এবং যে সমস্ত দেশ পর্যাপ্ত গম সরবরাহ করতে পারছে না, তার প্রেক্ষিতে সরকার এই সিদ্ধান্ত নেয়।