Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

প্রতিটি বোরোতে মাসে একবার করে ক্যান্সার স্ক্রিনিং ক্যাম্প; শুরু হবার সম্ভাবনা ১ লা জুলাই থেকে

দেবাঞ্জন দাস:    আগামী ১ লা জুলাই ডাক্তার দিবসের দিন  থেকে কলকাতা পুরসভার ১৬ টি বোরো এলাকায় প্রত্যেকটি বোরোতে মাসে একবার করে ক্যান্সার স্ক্রিনিং  বিনামূল্যে করা হবে বলে ইঙ্গিত দিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এই বিষয়ে সহমত হল…

 


 দেবাঞ্জন দাস:    আগামী ১ লা জুলাই ডাক্তার দিবসের দিন  থেকে কলকাতা পুরসভার ১৬ টি বোরো এলাকায় প্রত্যেকটি বোরোতে মাসে একবার করে ক্যান্সার স্ক্রিনিং  বিনামূল্যে করা হবে বলে ইঙ্গিত দিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এই বিষয়ে সহমত হলেন মেয়র পরিষদ স্বাস্থ্য- ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। 

কলকাতা পুরসভা, ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (পশ্চিমবঙ্গ), এবং ইন্ডিয়ান ডেন্টাল অ্যাসোসিয়েশনের পশ্চিমবঙ্গ শাখা এবং  তার সাথে মেডিকা সুপারস্পেস্যালিটি হসপিটাল যৌথ উদ্যোগে এই ক্যান্সার স্ক্রিনিং ক্যাম্পের আয়োজন করবে বলে জানা গেছে। 


৩১ মে যৌথ উদ্যোগে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উদযাপন উপলক্ষে বক্তৃতা দিতে গিয়ে ডাক্তার শান্তনু সেন আইএমএ-র পক্ষ থেকে  এই প্রস্তাব মেয়রের কাছে রাখেন। মেয়র ফিরহাদ হাকিম এই প্রস্তাবকে গ্রহণ করেন। 


ফিরহাদ হাকিম তার বক্তৃতায় বলেন, আমি নিজে তামাক সেবন না করলেও বন্ধু-বান্ধবদের এর থেকে বিরত রাখতে পারিনি। আমাদের সময়ে এই সিগারেট খাওয়া টা ছিল একটা পুরুষত্ব দেখানোর অন্যতম পন্থা। বর্তমান প্রজন্মকে এই সিগারেট খাওয়া থেকে সমাজকে দূরে রাখতে হবে। তার জন্য এগিয়ে আসতে হবে নবীন প্রজন্মকেই। আমরা সকলেই জানি যে সিগারেট খাওয়া খুবই খারাপ কিন্তু তবুও আমরা খাই। কিছু সমীক্ষায় বলছে ৩০% ওরাল ক্যান্সার এই তামাক জাতীয় পদার্থ থেকে হয়। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে বেশকিছু ক্যান্সার ট্রিটমেন্ট বিনামূল্যে করা হচ্ছে। আই এম এ, মেডিকা, আই ডি এ এবং কলকাতা কর্পোরেশন মিলে যে বিনামূল্যে ক্যান্সার স্ক্রিনিং ক্যাম্প চালু করার কথা বলছে তা অত্যন্ত বর্তমান সময়ে জরুরি। সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ আছেন যাদের আর্থিক অবস্থা সচ্ছল নয় তারা এই বিনামূল্যে ক্যাম্প থেকে তাদের স্ক্রিনিং করাতে পারবেন। এবং কোন চিকিৎসার দরকার হলে এইখান থেকেই ডাক্তারবাবুরা রেফার করে দেবেন কোন হাসপাতালে। এর ফলে হাসপাতালে ওপর রোগীদের চাপ বেশ অনেকটাই কমবে। 


মেয়র পরিষদ এবং বিধায়ক দেবাশীষ কুমার বলেন, সিগারেট খাওয়া হচ্ছে বা তামাকজাত দ্রব্য গ্রহণ করা হচ্ছে জেনে শুনে বিষ পান করা। যেমন প্লাস্টিক আমাদের পরিবেশের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর তা জেনেও আমরা প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করতে পারছিনা। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে সোর্সকে বন্ধ করতে হবে। তামাক যত পদার্থ থেকে সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় হয়। একদিকে তামাক জাতীয় পদার্থ না খাওয়ার পরামর্শ অন্যদিকে এর থেকে আদায় হবে রাজস্ব , এটি একতরফা দ্বিচারিতা। বর্তমানকালে ৪৫ শতাংশ পুরুষ এবং ১৫ শতাংশ মহিলা সিগারেট খান। আগামী কুড়ি বছরে এই সমীকরণ  উল্টে যাবে। 



অতীন ঘোষ বলেন আমরা চেষ্টা করছি ১ লা জুলাই থেকে যাতে কলকাতা পৌরসভার অন্তর্গত ১৬ টি বোরোর  প্রত্যেকটি  বোরোতে মাসে একদিন করে ক্যান্সার স্ক্রিনিং করা হবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। পৌর প্রতিনিধিদের মাধ্যমে কোন ভারতে কবে এই স্ক্রিনিংয়ের ক্যাম্প বসবে তা বিভিন্ন ভাবে প্রচার করা হবে। এ বিষয়ে যাবতীয় কাজ খুব তাড়াতাড়ি শুরু হবে। 


ডাক্তার সৌরভ দত্ত মেডিকেল ক্যান্সার হসপিটাল এর ডিরেক্টর বলেন, সারা দিন যত বেশি সিগারেট খাওয়া হয় ততবেশি ক্যান্সারের সম্ভাবনা বাড়ে। তাই সিগারেট খাওয়ার অভ্যাস পুরোপুরি বর্জন করা এবং যেকোনো ধরনের তামাক সেবন সম্পূর্ণ এড়িয়ে চললে ক্যান্সার এড়িয়ে চলার ক্ষেত্রে প্রথম ধাপ  হতে পারে। প্রতিটি প্রতি মাসে একবার করে ক্যান্সার স্ক্রিনিং ক্যাম্প আয়োজন করা হবে যাতে ভারতের তিনটি প্রধান ক্যান্সার যথাক্রমে ব্রেস্ট ক্যান্সার, সার্ভিকাল ক্যান্সার এবং ওরাল ক্যান্সার ঠিকঠাক ভাবে ধরা পড়ে। ক্যাম্প  করার উদ্দেশ্য হলো যাতে ক্যান্সার শুরুতে ধরা পড়লে চিকিৎসা খুব তাড়াতাড়ি শুরু করা যায় এবং রোগীকে যাতে বাঁচানো যায়।