হলদিয়াঃ রাজ্য সরকার চাইছেন শিল্পের স্বচ্ছতা এনে শিল্পের বিকাশ ঘটাতে। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হলদিয়া শিল্পতালুকের শ্রমিকদের কাছ থেকে ৯০ দিন সময় চেয়েছিলেন। সেই সময়ের মধ্যে হলদিয়া শিল্…
হলদিয়াঃ রাজ্য সরকার চাইছেন শিল্পের স্বচ্ছতা এনে শিল্পের বিকাশ ঘটাতে। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হলদিয়া শিল্পতালুকের শ্রমিকদের কাছ থেকে ৯০ দিন সময় চেয়েছিলেন। সেই সময়ের মধ্যে হলদিয়া শিল্পতালুকে যাতে শিল্পের স্বচ্ছতা আনা যায় তার জন্য প্রশাসনিক ভাবে গড়ে তোলা হয়েছে কমিটি। এবার থেকে সিওডি থেকে শুরু করে শ্রমিক নিয়োগে নজরদারি রাখবে কমিটি। হলদিয়া শিল্পতালুকে শিল্পের স্বচ্ছতা আনতে গড়ে তোলা হয় প্রশাসনিক কমিটি। শুক্রবার হলদিয়া মহকুমা শাসকের দপ্তরে কমিটির বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সভাপতি তথা জেলাশাসক পূর্ণেন্দু কুমার মাজী, হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান জ্যোতির্ময় কর, অতিরিক্ত জেলাশাসক সৌভিক চট্টোপাধ্যায়, শ্রম দপ্তরের আধিকারিক সহ অন্যান্যরা।
এদিন বৈঠক শেষে জেলাশাসক পূর্ণেন্দু কুমার মাজী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, সিওডির জন্য কারখানা কর্তৃপক্ষকে আগে থেকে কমিটির কাছে তথ্য জমা করতে হবে। সেই তথ্য ত্রিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে কমিটির প্রতিনিধি, কারখানার কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকইউনিয়ন সিদ্ধান্ত গ্রহন করবে। পাশাপাশি শ্রমিক নিয়োগের স্বচ্ছতা আনতে অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইনের মাধ্যমে আবেদনপত্র গ্রহন করা হবে। হলদিয়া মহকুমা শাসকের দপ্তরে, জেলাশাসকের দপ্তরে, শ্রমদপ্তরে ড্রপ বক্স রাখা হবে। সেখানেই আবেদনকারিরা আবেদন করবে। তাদের মধ্য থেকে কারখানার প্রয়োজন মতো শ্রমিক নিয়োগ করা হবে। শিল্পের উন্নয়ন ঘটাতে আমরা একাধিক পদক্ষে গ্রহন করে চলেছি।
তমলুক সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের আই এন টি টি ইউ সি সভাপতি শিবনাথ সরকার জানান, আমাদের সরকার শ্রমিকদের অসন্তোষ দূর করার জন্য একাধিক পদক্ষেপ গ্রহন করে চলেছে। ফলে আগামীদিনে হলদিয়া ও কোলাঘাটের শ্রমিকরা উপকৃত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রদীপ বিজলী, ভারতীয় মজদুর সংঘের রাজ্য সহ সভাপতি বলেন এই মনিটরিং কমিটি আদৌ কি শ্রমিকদের স্বার্থে কাজ করবে? তৃণমূলের তোলাবাজি টা অনেকটাই কমবে, এই কারণেই এই কমিটিকে সাধুবাদ জানাই।