Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ এবং স্থিতিশীল জীববৈচিত্র বজায় রাখার জন্য ভারত ও নামিবিয়ার মধ্যে সমঝোতাপত্র সাক্ষর

দেবাঞ্জন দাস,২৪ জুলাই:     ভারতে চিতা পুনর্বাসনের জন্য নামিবিয়ার সঙ্গে ভারত সরকার বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ ও স্থিতিশীল জীববৈচিত্র বজায় রাখতে একটি সমঝোতাপত্র সাক্ষর করেছে। পারস্পরিক সার্বভৌমত্বকে সম্মান জানিয়ে দুটি দেশের স্বার্থ রক্ষা কর…

 


দেবাঞ্জন দাস,২৪ জুলাই:     ভারতে চিতা পুনর্বাসনের জন্য নামিবিয়ার সঙ্গে ভারত সরকার বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ ও স্থিতিশীল জীববৈচিত্র বজায় রাখতে একটি সমঝোতাপত্র সাক্ষর করেছে। পারস্পরিক সার্বভৌমত্বকে সম্মান জানিয়ে দুটি দেশের স্বার্থ রক্ষা করে এই সমঝোতা বাস্তবায়িত হবে।


সমঝোতাপত্রে ভারতে চিতার পুনর্বাসনকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এর জন্য উভয় দেশের বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ ও স্থিতিশীল জীববৈচিত্র রক্ষার ক্ষেত্রে উত্তম পন্থা-পদ্ধতিগুলি আদান-প্রদান করা হয়েছে। চিতা সংরক্ষণকে বাস্তবায়িত করতে দুই দেশের বিশেষজ্ঞরা নিজেদের মধ্যে মতবিনিময় করবেন।


ভারতের জাতীয় বন্যপ্রাণ সংরক্ষণে চিতার বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। দেশের যেসব অঞ্চলে একসময় চিতার বাস ছিল সেখানে চিতার পুনর্বাসনের মধ্য দিয়ে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে জীববৈচিত্র রক্ষা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বৃহৎ আকৃতির মাংসাশী প্রাণীর মধ্যে চিতার সঙ্গে মানুষের সংঘাত সব থেকে কম। ২০১০ থেকে ১২ সালের মধ্যে দেশের ১০টি জায়গায় সমীক্ষা চালানোর পর মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে চিতার পুনর্বাসনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই উদ্যানে এর আগে এশিয়াটিক সিংহ পুনর্বাসনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তার জন্য সেখানে বিপুল বিনিয়োগ করা হয়।


আফ্রিকার দক্ষিণাংশে নামিবিয়া, বোৎসোয়ানা, জিম্বাবুয়ে এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় চিতা পাওয়া যায়। এই অঞ্চলের সঙ্গে ভারতের বহু জায়গার পরিবেশের মিল রয়েছে। তাই কুনো জাতীয় উদ্যানে আফ্রিকার ঐসব অঞ্চল থেকে চিতা আনার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই উদ্যানে ২১টি চিতাকে পুনর্বাসন দেওয়া সম্ভব। একবার পুনর্বাসন দেওয়া হলে কুনো বনাঞ্চলের নির্ধারিত স্থান ছাড়া বাকি ১২৮০ বর্গ কিলোমিটার এলাকাকেও চিতার বাসযোগ্য করে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে।


কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রক জাতীয় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় আর্থিক ও প্রশাসনিক সহায়তা করছে। সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে চিতা পুনর্বাসনের পর এদের উপর নজরদারির জন্য সন্নিহিত গ্রামগুলিতে জনসচেতনতা অভিযান চালানো হচ্ছে। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য বিধানসভায় কুনো জাতীয় উদ্যান সন্নিহিত সমস্ত বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়কদের এ কাজে সক্রিয় হতে বলেছেন। ২০২০ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী চিতা পুনর্বাসন প্রক্রিয়াটি তদারকি করার জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।