'কাঁথির রাঙামাটি শ্মশান' দুর্নীতি হয়েছে সৌমেন্দুর আমলে, কাঁথি পৌরপ্রধানের অভিযোগ গ্রেপ্তার ,ইঞ্জিনিয়ার সহ ঠিকাদার,সাতদিনের পুলিশ হেফাজত।আবারো খবরের শিরোনামে অধিকারী খাস তালুকের কাঁথি পৌরসভা। আর বারং বার একাধিক দুর্নীতিধর…
'কাঁথির রাঙামাটি শ্মশান' দুর্নীতি হয়েছে সৌমেন্দুর আমলে, কাঁথি পৌরপ্রধানের অভিযোগ গ্রেপ্তার ,ইঞ্জিনিয়ার সহ ঠিকাদার,সাতদিনের পুলিশ হেফাজত।
আবারো খবরের শিরোনামে অধিকারী খাস তালুকের কাঁথি পৌরসভা।
আর বারং বার একাধিক দুর্নীতিধরা পড়েছে এই পৌরসভায়।
কাঁথি পুরসভা বিস্তর দুর্নীতির তদন্তে নেমেই পুরসভার সহকারী ইঞ্জিনিয়ার ও ঠিকাদারকে গ্রেফতার করলো কাঁথি থানার পুলিশ।
ঘটনায় অভিযোগের তালিকায় নাম রয়েছে প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীরও। দীর্ঘদিন টাল বাহানার পর অবশেষে দুইজনকে গ্রেফতার করে। কাঁথি থানার পুলিশ জানিয়েছে অভিযুক্তরা হল সহকারী ইঞ্জিনিয়ার দিলিপ বেরা ও পুরসভার ঠিকাদার সতীনাথ দাস অধিকারী। বৃহস্পতিবার অভিযুক্তদের কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হয়। সমগ্র ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কাঁথি থানার পুলিশ।
জানা যাচ্ছে, তৎকালীন কাঁথি পুরসভা পুরপ্রধান সৌমেন্দু অধিকারী থাকাকালীন কাঁথি কলেজ মাঠ সংলগ্ন রাঙ্গামাটি শ্মশানের সামনে বেশ কয়েকটি স্টল নির্মাণ করা হয়েছিল এবং সৌন্দর্যায়ানের কাজ ও হয়। স্টল নির্মাণের কাঁথি পুরসভার পক্ষ থেকে দু কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ।
সেই স্টল নির্মাণ করেছিলেন ঠিকাদার সতীনাথ দাস অধিকারী। তার তত্ত্বাবধানে ছিলেন কাঁথি পুরসভা সহকারী ইঞ্জিনিয়ার দিলীপ বেরা বলে অভিযোগ। সেই স্টল নির্মাণের ক্ষেত্রে বিস্তর দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে আসে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে দাবি জানান বর্তমান কাঁথি পুরসভা পুরপ্রধান সুবল মান্না।
বুধবার কাঁথি পুরসভার পুরপ্রধান সুবল মান্না কাঁথি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তদন্তে নেমে রাতেই পুরসভার ঠিকাদার ও সহকারী ইঞ্জিনিয়ারকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদে কথাবার্তা অসঙ্গতি দেখা দিলে তারপর এই দুইজনকে গ্রেফতার করে।
কাঁথি থানার আইসি অমলেন্দু বিশ্বাস বলেন " কাঁথি পুরসভা পুরপ্রধান সুবল মান্নার অভিযোগের ভিত্তিতে পুরসভার ঠিকাদার ও সহকারী ইঞ্জিনিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। যদিও তদন্তের কারণে বেশি কিছু তথ্য জানাতে রাজি হননি তিনি "।
কাঁথি পুরসভার পুরপ্রধান সুবল মান্না বলেন " এই ঘটনায় আইন আইনের পথেই চলবে। এছাড়া আর কিছু বলবো না।"
যদিও এ বিষয়ে অধিকারী পরিবারের কোনো সদস্যের প্রতিক্রিয়া এখনো পাওয়া যায়নি।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে একাধিক ধারায় এই মামলা হয়েছে যেমন- 406
, 409, 420, 467, 468, 471, 477, 120B ধৃত এই দুজনকে হেফাজতে নিয়ে আরো একাধিক তথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করছে পুলিশ।
এই ধৃত দুজনের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতে নির্দেশ নিয়েছে কাঁথি আদালত।