তমলুকঃ রেল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পানচাষি ও পান ব্যবসায়ীরা আর্থিক সংকটের মুখে পড়েছিল দীর্ঘ দুবছর। বছরে মেচেদা স্টেশনে পানের পার্সেল বুকিং বাবদ রেলের প্রায় পাঁচ কোটি টাকা আয় হতো। অথচ করোণা পরিস্থিতি কেটে …
তমলুকঃ রেল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পানচাষি ও পান ব্যবসায়ীরা আর্থিক সংকটের মুখে পড়েছিল দীর্ঘ দুবছর। বছরে মেচেদা স্টেশনে পানের পার্সেল বুকিং বাবদ রেলের প্রায় পাঁচ কোটি টাকা আয় হতো। অথচ করোণা পরিস্থিতি কেটে গিয়ে রেল পরিষেবা স্বাভাবিক হলেও মেচেদা স্টেশনে একাধিক দূরপাল্লার ট্রেনের পার্সেলের বুকিং বন্ধ ছিল।
পান ব্যবসায়ীদের সড়কপথে মহারাষ্ট্র, নাগপুর, ছত্রিশগড়, বিলাসপুর সহ দেশের নানা প্রান্তে পান পাঠাতে বাধ্য হচ্ছিল। দীর্ঘ আড়াই বছর পর১২ই জুলাই মঙ্গলবার থেকে পুনরায় চালু হল কুরলা এক্সপ্রেস। করোনা প্রকটকালে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ১৮০৩০ আপ কুরলা এক্সপ্রেস। শালিমার থেকে যাওয়ার পথে মেচেদায় রেল স্টেশনে দাঁড়ালো কুরলা এক্সপ্রেস।
এতে গোটা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পান চাষী থেকে শুরু করে ফুল চাষিরা উপকৃত হবেন, কারণ দীর্ঘদিন ধরে চাষীদের মূলত দাবি ছিল মেচেদা থেকে পণ্যবাহী ট্রেন চালানোর। বিভিন্ন দপ্তরে জানিয়ে রেল দপ্তরের সাথে কথা বলে কুরলা এক্সপ্রেস যাত্রা শুরু করল মেচেদা স্টেশন থেকে।
প্রথম দিনেই ট্রেনটি সুসজ্জিত ফুল দিয়ে সাজিয়ে এবং চালককে সংবর্ধনার ও মিষ্টিমুখের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করলো শালিমার - লোকমান্য তিলক, কুরলা এক্সপ্রেস। এতে খুশি পান থেকে ফুল চাষিরা।
এছাড়াও যে ট্রেনগুলি এখনো মেছেদায় দাঁড়ায়নি সেগুলি হল যসমন্তপুর এক্সপ্রেস, আমেদাবাদ এক্সপ্রেস, চক্রধরপুর এক্সপ্রেস। আগামী দিনে যাতে এই ট্রেন গুলি দাঁড়ায়, সেই জন্য পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পান ব্যবসায়ী সমিতি বিটল ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন রেল মন্ত্রকের কাছে দাবি করেছে।