Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

আমি একজন প্রোপাগাণ্ডিস্ট/অমৃত মাইতি

আমি কি কেবলমাত্র আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান হয়ে বিশেষ কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে শুধুই প্রচার করে যাব! কেবলমাত্র প্রচারকের ভূমিকায় থাকবো? বিশেষ উদ্দেশ্যকে বাস্তবায়িত করার জন্য কোন দায়িত্ব নেব না! নাকি আমার কোনো দায়-দায়িত্ব থাকবে না? এখন…

 

লেখক অমৃত মাইতি 


আমি কি কেবলমাত্র আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান হয়ে বিশেষ কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে শুধুই প্রচার করে যাব! কেবলমাত্র প্রচারকের ভূমিকায় থাকবো? বিশেষ উদ্দেশ্যকে বাস্তবায়িত করার জন্য কোন দায়িত্ব নেব না! নাকি আমার কোনো দায়-দায়িত্ব থাকবে না? এখন আমি বয়সের ভারে জর্জরিত। যে উদ্দেশ্য নিয়ে জীবন যাপন করেছি, খাদ্য এবং জলবায়ু গ্রহণের মত আদর্শকে আঁকড়ে ধরেছি, বিশ্বাস করেছি জল ছাড়া মাছ বাঁচে না আর মানুষের মিছিল ছাড়া একজন প্রগতিশীল মানুষের জীবনের কোন দাম নেই। আজীবন ,সেই উদ্দেশ্য, লক্ষ্য ও আদর্শকে বাস্তবায়িত করার জন্য আমি কিন্তু বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ। বয়স কালে শরীর মন দুটোই নরম ও সূক্ষ্ম মেজাজকে বিব্রত করে। বয়স হলে স্বাভাবিক নিয়মেই অসুস্থতা দেখা দেয়। দেখা দেয় অস্থিরতা। অস্থিরতা দেখা দেয় কারণ যে কাজে হাত দিয়েছিলাম সে কাজটা ঠিক ঠিক ভাবে করতে পারিনি । কর্মী জীবনে মুখ বাজি করে বলার মত সাফল্য পাই নি। তখন মনে সংশয় দেখা দেয় আর বুঝি পারব না। আত্মবিশ্লেষণ করতে গিয়ে কি ভীষণ অনুভবের জগতে, উদ্দেশ্য ও নীতিবোধ জেগে থাকে অন্তরে। অজস্র শ্রম সাফল্য ও সংগ্রামের কিংবা ও সাফল্যের সুখস্মৃতি এখন ভিড় জমায় মনোজগতে।অনেক সময় সময়ের কাজ সময়মতো করা যায় না। অনেক বাস্তব সমস্যা থাকে। এই বাস্তব বোধের মধ্যেও অপারগতা বিবেককে দংশন করে। মনের মত সহকর্মী সব সময় পাওয়া যায় না।এবং সে কারণেই আমি মনে করি অন্তত কিছু না পারি ,যে নীতি আদর্শকে ধ্রুবতারার মতো উজ্জ্বল মনে করেছি , মানুষের কাছে তা প্রচার করে যাব। ছুটতে না পারলে হাঁটবো। হাঁটতে না পারলে একটা জায়গায় দাঁড়িয়ে চিৎকার করতে পারব। সাহস করে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেবো কোনটা দল আর কোনটা উপদল। তীর্যকভাবে বলতে পারব তুমি কে হে, মার্কসীয় দর্শনকে বিকৃত করছো। মার্কসবাদ পড়লেই কমিউনিস্ট হওয়া যায় না। তোমার আচার-আচরণ ব্যবহার, বঞ্চিত মানুষকে আপন করে নেয়ার ক্ষমতা দেখেই বুঝতে পারি তুমি কমিউনিস্ট কিনা। কোনটা ভুল কোনটা ঠিক নিশ্চয়ই বলার জন্য যোগ্যতা অধিকার ও সাহস থাকা চাই। অবশ্য যদি আমার মধ্যে কোনটা ভুল কোনটা ঠিক এ সম্পর্কে ধারণা পরিষ্কার থাকে। রক্ষণশীল মানুষ, তারাও তাদের ধ্যান-ধারণা তাদের বোধ ও তাদের দর্শন মানুষের কাছে প্রচার করে,, মানুষকে মোটিভেটেড করে, নিজেদের শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা করে। অর্থাৎ নিজেদের বিশ্বাস ও সংস্কারের পক্ষে মানুষকে টেনে আনার পরিকল্পনা করে। তারা তাদের ধর্ম সংস্কারকে রাজধর্ম হিসেবে প্রচার করে, মানুষকে ঠকায়। রক্ষণশীলরা মানুষের অজ্ঞতা ও গোঁড়ামিকে কাজে লাগায়। মানুষের অজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে পুঁজিবাদী ব্যবস্থাকে সুকৌশলে টিকিয়ে রাখার পক্ষে ওকালতি করে। মানুষের অজ্ঞতাকে হাতিয়ার করে সমাজের বুকে অলৌকিক শক্তি একমাত্র শেষ কথা, এইসব বুজরুকি মানুষের মধ্যে বদ্ধমূল ধারণায় পরিণত করার আপ্রাণ চেষ্টা করে। অলৌকিকতার পক্ষে অকাট্য যুক্তির অবতারণা করে। দুর্বল চিত্তের মানুষরা তা সত্যি মনে করে। সুরেলা গীতিকাব্যের মধ্য দিয়ে মানুষের মনকে অভিভূত করে। আচ্ছন্ন করে।এরাও প্রোপাগান্ডিস্ট। 

     সংবাদমাধ্যম টিভি চ্যানেলগুলো একেবারেই নিরপেক্ষ নয়। কারণ তাদের অর্থের যোগান নিম্নবর্গীয়দের কাছ থেকে আসে না। তাই প্রচার মাধ্যমগুলো রক্ষণশীলদের প্রচারের বড় হাতিয়ার।

     অলৌকিকতার বাইরে বস্তুবাদী দর্শন, ধর্মসংস্কার মুক্ত ,গোঁড়ামির বাইরে অজ্ঞ মানুষের চেতনশক্তিকে বাড়িয়ে তোলার প্রচেষ্টা চালায়। অর্থাৎ মানুষের চিন্তার জগতে ঝড় তোলা ,তোলপাড় করা এক বৈপ্লবিক পদক্ষেপ। প্রচলিত সমাজ কাঠামোর এবং ভ্রান্ত ধারনার বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ যুগ যুগ ধরে অজ্ঞ মানুষের মনকে আলোড়িত করেছে প্রগতিশীল চিন্তা নায়করা। রামমোহন বিদ্যাসাগর শরৎচন্দ্র রবীন্দ্রনাথ বিবেকানন্দ মার্ক্স এঙ্গেলস লেনিন প্রমুখরা সমাজের বুকে আলোর বিচ্ছুরণ ঘটিয়েছে। তাদের উত্তরসূরি আমরা। যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে নিজেদেরকে তৈরি করার চেষ্টা করতে হবে। আমাদের হাতে শক্তিশালী প্রচারমাধ্যম নেই কারণ আমরা যে উদ্দেশ্য নিয়ে ঝান্ডা ধরে এগিয়ে যাচ্ছি তারা আমাদের মত পথকে পছন্দ করেনা, বিরোধিতা করে। আমাদের মত পথ শ্রমজীবী মানুষের মুক্তির পথ। আমাদের দিশা ,পুঁজিবাদকে আঘাত করে শোষণমুক্ত সমাজ গড়ে তোলা।

তাই আমাদের প্রচার এবং প্রচার আন্দোলনকে পুঁজিবাদ পুষ্ট প্রচার মাধ্যম বিরোধিতা করে এবং জনগণের কাছে প্রগতিশীল সমাজ সংস্কারক চিন্তাবিদদের বার্তা যাতে না পৌঁছায় তার জন্য তারা সদা সর্বদা সচেষ্ট থাকে। পুঁজিবাদী সংবাদমাধ্যম সতর্ক থাকে যাতে সমাজে মেহনতী মানুষের মুক্তির দর্শন বিকশিত হতে না পারে। শ্রমিকের সংগ্রাম যাতে কিছুতেই দানা বাঁধতে না পারে সে ব্যাপারেও তারা তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখে। প্রগতিশীল চিন্তা নায়কদের এবং অনুগামীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার তারা করে।শুধু তাই না আমাদের প্রগতিশীল মত পথকে সুকৌশলে ধ্বংস করার জন্য সক্রিয় ভূমিকা পালন করে বুর্জোয়া প্রচারমাধ্যম। কোথায় অষ্টতর শতনাম হচ্ছে, কোথায় গৌরাঙ্গ ভোজ হচ্ছে, কিংবা হরে কৃষ্ণ হরে রাম এইসব অনুষ্ঠানের প্রচার তারা কাগজে সংবাদমাধ্যমে টিভি চ্যানেলে প্রচার করে। সুকৌশলে তারা ধর্মীয় আফিং খাওয়ায় মানুষকে।কিন্তু যখন অসামাজিক কাজ কর্মের বিরুদ্ধে, পুঁজিবাদী সংকট এর বিরুদ্ধে, পেট্রোল ডিজেল রান্নার গ্যাস মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করার জন্য মিছিল-মিটিং হয়, তখন তার প্রচার করতে সংবাদ মাধ্যমগুলোর ভীষণ দ্বিধা । পাশাপাশি রক্ষণশীলদের প্রচার ( ধর্মীয় উৎসব মোচ্ছব খানাপিনার চোখধাঁধানো অনুষ্ঠান )এতটাই শক্তিশালী যেখান থেকে মানুষের বাঁচার জন্য যে লড়াই সেখানে ভিড় কম হয়। ধর্ম সংস্কারে আচ্ছন্ন মানুষদের ভাবটা এমন, যারা লাল ঝান্ডা ধরে গরিবের জন্য মিছিল মিটিং করে পুঁজিবাদী সংকট মোচনের দায় যেন তাদেরই। অন্ধ কুসংস্কারে আচ্ছন্ন মানুষদের এভাবে ধারণা তৈরি হয়ে গেছে ভগবান দিলে দুঃখ যাবে। আর যারা লড়াই আন্দোলন করছে মানুষের দুঃখ-দুর্দশা ঘোঁচানোর জন্য এটা তাদের একটা ফ্যাসান এমন ভাবনাটাই তারা পোষণ করে। ধর্মান্ধ সংস্কারাচ্ছন্ন মানুষগুলো মনে করে মিটিং শোভাযাত্রা তো রাজনৈতিক কারণেই রাজনীতি করা। এইসব প্রচার রাজনীতির অঙ্গ।এখানে অংশগ্রহণ না করলেও চলে।

যে সমস্ত মানুষের জন্য লড়াই আন্দোলন কিংবা শোষণ মুক্তির জন্য সংগ্রাম সেইসব পিছিয়ে পড়া অজ্ঞ মানুষরা তারা রক্ষণশীল অংশের প্রচারে অনেক বেশি উৎসাহ বোধ করেন। এবং তাদের প্রচারণাকেই বিশ্বাস করে বেশি। "ভগবান দিলে দুঃখ যাবে" এটি তাদের অন্ধবিশ্বাস। তাদের মধ্যে বদ্ধমূল ধারণা ভগবানের নির্দেশ ছাড়া গাছের পাতাও নড়ে না।

      কবি-সাহিত্যিক শিল্পী মানুষের মধ্যে সাড়া জাগানোর চেষ্টা করে। এদের লেখক ও শিল্প সত্তার মধ্যে এক বিশুদ্ধ সমাজচেতনা অন্তর্নিহিত থাকে। যা তাদের মগজকে অহরহ সৃষ্টির জন্য, নব নব উদ্ভাবনের জন্য তাড়িত করে। সব সময় তাদের ভাবনার ঘর আলোকিত করে। কিভাবে একজন পিছিয়ে পড়া মানুষ, শোষিত বঞ্চিত মানুষ তার শ্রেণিচেতনাকে জাগিয়ে তুলতে পারবে সে ধরনের সাহিত্য ,শিল্প সৃষ্টির প্রতি ঝোঁক লেখক ও শিল্পীদেরকে ঘোরের মধ্যে রাখে। এ বিষয়ে তারা প্রতিনিয়ত অনুশীলন করে।অনেক সময় তারা সংগ্রামী জনতাকে উজ্জীবিত করার জন্য মিছিলেও হাটে।তারাও প্রোপাগান্ডিস্ট। মিছিলে আওয়াজ তোলা বিপন্ন মানুষের পাশে গিয়ে সক্রিয় অংশগ্রহণ করা একজন সমাজ সচেতন মানুষের গুরুদায়িত্ব। এখানে উল্লেখ করতে পারি চারণ কবি মুকুন্দ দাস নজরুল ইসলাম সুকান্ত ভট্টাচার্য এরা নিঃসন্দেহে প্রোপাগান্ডিস্ট।

আমি বিপ্লবী কিনা জানিনা ,আমি কমিউনিস্ট কিনা জানিনা। আমি জানি আমি একজন প্রগতিশীল প্রোপাগান্ডিস্ট। যেখানে সংগ্রামের এবং সচেতনতার কর্মসূচি থাকবে সেখানে আমি একজন কর্মী। সেখানে আমি লড়াই-সংগ্রামের একজন অংশীদার। মানুষের চিন্তার জগতে আলোড়ন সৃষ্টি করার জন্য আমিও একজন দায়িত্বশীল অংশগ্রহণকারী। একজন নাট্যশিল্পী সংগীতশিল্পী একজন চিত্রশিল্পী তাদের শিল্প নৈপুণ্যের মধ্য দিয়ে মানুষের চেতনা জাগানোর কাজ করে। তারাও প্রোপাগাণ্ডিস্ট। শিল্পী-সাহিত্যিকরা তাদের শিল্প কলা কুশলতার ,দক্ষতার কারণেই মানুষের মনোভাবকে বদলে দিতে পারে। যাত্রা শিল্পে তরুণ অপেরা কাল মার্কস লেনিনের জীবন সংগ্রাম তুলে ধরেছিলেন। জনজাগরনের ক্ষেত্রে যাত্রা শিল্পী নায়ক-নায়িকারা প্রোপাগাণ্ডিস্ট। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে মান্ধাতার আমলের কুসংস্কারের বিরুদ্ধে মানুষের মনোজগতকে বিজ্ঞান চেতনায়, বস্তুনিষ্ঠ ভাবনায় আগ্রহী করে। তাই শারীরিক মানসিক শক্তি সামর্থ্য যাই থাক না কেন, প্রোপাগান্ডাকে আশ্রয় করেই বেঁচে থাকব। নিজের শক্তি সামর্থ্য অনুযায়ী সমস্ত রকম চিন্তা চেতনা এবং দৈনন্দিন কাজের মধ্য দিয়ে বস্তুবাদী দর্শনকে মানুষের মুক্তির দর্শন হিসেবে প্রচার করে যাব। আমৃত্যু যেন এই পরিচয়ে বেঁচে থাকতে পারি আমি একজন প্রোপাগাণ্ডিস্ট। আদর্শগত কারণে বিশেষ উদ্দেশ্য প্রণোদিত যুক্তিগ্রাহ্য চিন্তা চেতনার আমি একজন প্রচারক বা প্রোপাগাণ্ডিস্ট।। আমার প্রচারণা হলো রাষ্ট্র ও সমাজের আমূল পরিবর্তনের পক্ষে যুক্তির অবতারণা। মানুষের সঙ্গে থেকে ক্রমাগত ইতিবাচক উৎসাহ দেওয়ার মধ্য দিয়ে অতীত বর্তমাবের বিশ্লেষণ এবং ভবিষ্যতের নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করার গুরুদায়িত্ব যে মানুষকে নিতে হয় সেই যুক্তি খাড়া করে প্রচারক হিসেবে নিজেকে বিকশিত করা একজন প্রোপাগাণ্ডিস্ট এর কাজ। এই কাজে মানুষের অংশগ্রহণকে নিশ্চিত করা আমাদের অন্যতম উদ্দেশ্য। এখানে উল্লেখ করা খুবই জরুরী, একজন প্রোপাগান্ডিস্টের চলন বলন কথন আচরণ শুধু মনোহারী নয় নায়কোচিত হতে হবে। একজন 

প্রোপাগাণ্ডিস্টকে যুবসমাজের বঞ্চিত মানুষের কাছে চমকপ্রদ আকর্ষণীয় সাহসী ব্যক্তিত্ব হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তাই মনে করি আমি একজন বামপন্থী প্রোপাগান্ডিস্ট। আমি ভাববাদী নই বস্তুবাদী প্রচারক।

হিউ এন সাং চৈতন্য গৌতম বুদ্ধ এরাও মানুষের মধ্যে তাদের চিন্তা-চেতনা প্রচার করে গেছেন। মানুষের মধ্যেও সাড়া জাগাতে পেয়েছিলেন। কিন্তু এই প্রচারণা কালজয়ী বা কালোত্তীর্ণ হতে পারেনি। কিছু মানুষ সেই সময়ে ধর্মীয় ও সংস্কারাচ্ছন্ন মত পথ ধরে রাখার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সেইসব ক্রমশ ম্রিয়মাণ হয়ে যাচ্ছে। কারণ সেইসব ভাবধারার কোন বাস্তব ভিত্তি ছিল না। কিন্তু মার্কসীয় মতবাদ প্রচারণা কালোত্তীর্ণ। একজন প্রোপাগান্ডিস্ট নিশ্চয়ই খেয়াল রাখবেন তিনি যেখানে কাজ করেন সেখানেও ভিতকে দুর্বল করার ,কলুষিত করার চেষ্টা আছে। খেয়াল রাখা দরকার আপনার ধারেপাশে কি ঘটছে আপনার প্রচারযন্ত্রকে কারা কারা কটাক্ষ করছে বা ভোঁতা করে দেয়ার চেষ্টা করছে, বিভ্রান্ত করছে সে সম্পর্কে সজাগ থাকা গুরুত্বপূর্ণ। সব দিক খেয়াল রেখে যা বাস্তব তার উপর দাঁড়িয়ে আপনি আপনার প্রচারকে শক্তিশালী করুন। কাজটা খুবই কঠিন। শিশুসুলভ চপলতা আপনাকে না পেয়ে বসে। সাবধানতা অবলম্বন না করে প্রচারণার কাজ করলে কখনো কখনো একজন প্রোপাগান্ডিস্ট হাস্যাস্পদ হয়ে উঠতে পারেন। আপনার বুদ্ধির তীক্ষ্ণতার অভাবে দুঃসাহসিক পদক্ষেপের ঘাটতির কারণে সমস্ত বিষয়টি ভণ্ডুল হয়ে যেতে পারে। জনমানষে তার বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে।তারপর সহজে উঠে দাঁড়ানো দুঃসাধ্য কাজ। এ ধরনের অভিজ্ঞতা আমাদের বামপন্থীদের নিশ্চয়ই আছে। তাই আমি মনে করি একজন প্রোপাগান্ডিস্ট যদি অন্যের অনুকরণীয় হতে পারে তাহলে আরো হাজার হাজার প্রোপাগান্ডিস্ট তৈরি হবে। আমি এমন একজন প্রোপাগান্ডিস্ট হতে চাই। আমি কতদুর এগোবো কিভাবে কোথায় কখন থামবো, এই বাস্তবতা আমার মগজে সর্বদা ক্রিয়াশীল থাকবেই। আপনার যদি বুদ্ধিভ্রম ঘটে আপনি যদি দিশা দেখাতে সক্ষম না হন আপনার থেমে যাওয়াটাই ভালো। আপনি থেমে গেলেও আপনার উদ্যোগ ইতিহাস স্বাগত জানাবে। প্যারি কমিউন আজও আমাদের কাছে শিক্ষা।আপনার কর্মসূচিতে যদি জনগণ থাকে তাহলে তারাই আপনাকে অক্সিজেন যোগাবে। সমস্ত দিক বিশ্লেষণ করে নিজেকে একজন সক্রিয় সচেতন প্রোপাগাণ্ডিস্ট হয়ে উঠতে চেষ্টা করি। আমার এই আত্মবিশ্বাস ভবিষ্যৎ বলে দেবে কতটা সঠিক সমাচার। আমি একজন প্রোপাগান্ডিস্ট এই বোধ একশত ভাগ সঠিক।

 ১৮ এপ্রিল ২০২২