Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

মনপসন্দ পেশার সন্ধানে কেরিয়ার গাইডেন্স হবিবপুর সরস্বতী বিদ্যামন্দির হাইস্কুলে

সমাজে পেশা তো রয়েছে হাজারো। কিন্তু নিছক অর্থ উপার্জন লক্ষ্যে পেশা নির্বাচন নয়। পেশা যখন হয়ে ওঠে ভালোবাসার, তখন জীবন ও সাফল্য সমার্থক হয়ে ওঠে। তাই মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের পর কোন কোন বিষয় নিয়ে পড়া যায়, পড়ার শেষে স্বনির্ভরতার সুয…



সমাজে পেশা তো রয়েছে হাজারো। কিন্তু নিছক অর্থ উপার্জন লক্ষ্যে পেশা নির্বাচন নয়। পেশা যখন হয়ে ওঠে ভালোবাসার, তখন জীবন ও সাফল্য সমার্থক হয়ে ওঠে। তাই মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের পর কোন কোন বিষয় নিয়ে পড়া যায়, পড়ার শেষে স্বনির্ভরতার সুযোগই-বা কী কী রয়েছে -- তারই সুলুকসন্ধান দিতে হবিবপুর সরস্বতী বিদ্যামন্দির হাইস্কুলে হল তিন দিন ধরে সেমিনার। যার পোশাকি নাম - 'কেরিয়ার গাইডেন্স'।



মঙ্গলবার এই কর্মশালার সূচনা করেন বিদ্যালয়েরই শিক্ষক ভূপেন্দ্রনাথ সিং সর্দার। তিন দিনের এই কর্মশালার বিভিন্ন দিনে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন শিক্ষিকা সুস্মিতা রায়, শ্রীমা দেবী করণ, অরিজিতা জানা, বনশ্রী পড়িয়া শিক্ষক ঋতিঙ্কর প্রধান, স্বরূপ কুমার মণ্ডল প্রমুখ। ছিল কুইজ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান।



 ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহ দেবার জন্য স্বনামধন্য চিত্রগ্রাহক সন্তোষ জানার ফোটোগ্রাফি প্রদর্শনী করা হয়। বৃহস্পতিবার তথা শেষ দিন উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রাক্তন কৃতী ছাত্র তথা বিশিষ্ট সাংবাদিক দেবনাথ মাইতি। তিনি তাঁর বক্তব্যে তুলে ধরেন সাংবাদিকতা পাঠ। বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তাঁকে সম্মান জ্ঞাপন করা হয়। এ দিন কেরিয়ার গাইডেন্স নিয়ে স্মারক-কোলাজ পত্রিকার আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করে বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। 


সরকারি নির্দেশ মেনে, কেরিয়ার গাইডেন্স পোর্টালের বিষয়গুলো প্রজেক্টার প্রযুক্তি মাধ্যমে তুলে ধরে তার ব্যাখ্যা করেন নোডাল শিক্ষিকা বন্দনা দাস ও ইংরেজি বিভাগের শিক্ষিকা বনশ্রী পড়িয়া।



ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে কেউবা স্বাধীন ব্যাবসা করতে চায়, কেউবা সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে চায় কেউবা যেতে চায় ক্রীড়া জগতে। আর তার জন্য কী কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। সেসব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে বেজায় খুশি ছাত্রছাত্রীরা। ছাত্রছাত্রীদের বক্তব্য, "জীবনে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার যে এত এত বিষয় আছে, তা আমাদের অজানা ছিল। আমরা মনে জোর পেলাম।" বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মালা মজুমদার জানালেন, "আমাদের স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা মূলত নিম্নবিত্ত পরিবারের। তাই সরকারের এই ধরনের কর্মসূচি খুব জরুরি ছিল। আগামীদিনেও এই রকম পদক্ষেপ নেব আমরা।"