Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

মহাসমারোহে সূচনা হল নাড়াজোলের লঙ্কাগড় সর্বজনীন দুর্গোৎসব

৫৪ তম বর্ষে পড়ল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অন্তর্গত নাড়াজোলের লঙ্কাগড় সর্বজনীন দুর্গা পূজা। শুক্রবার (৩০ নভেম্বর) বিকালে দুর্গোৎসবের শুভ উদ্ধোধন করেন মেদিনীপুরের রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের সহসম্পাদক স্বামী মায়াধীশানন্দ মহারা…




৫৪ তম বর্ষে পড়ল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অন্তর্গত নাড়াজোলের লঙ্কাগড় সর্বজনীন দুর্গা পূজা। শুক্রবার (৩০ নভেম্বর) বিকালে দুর্গোৎসবের শুভ উদ্ধোধন করেন মেদিনীপুরের রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের সহসম্পাদক স্বামী মায়াধীশানন্দ মহারাজ। উৎসব কমিটির পক্ষ থেকে এদিন প্রকাশ পায় 'আরাধনা' নামে পত্রিকা।



এবার বিশেষ আকর্ষণ হিসাবে কুমারটুলির প্রতিমা, বালির কারুকার্য করা প্যাণ্ডেল ও বারোয়ারি প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছে, যা দর্শনার্থীদের মনোযোগ আকর্ষণ করছে।



উদ্যোক্তাদের পক্ষে সম্পাদক সত্যব্রত দোলই জানান, উৎসবের এই দিনগুলোতে প্রতিদিনই নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। দ্বিতীয় দিন কলকাতার আকাশ বাংলা অপেরার যাত্রাপালা - 'সংসার বাঁচাতে বৌমা আসছে' অনুষ্ঠিত হবে। রবিবার সপ্তমীতে থাকছে শেষাদ্রী ড্যান্স একাডেমির সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পরদিন মহাষ্টমীতে থাকছে ড্যান্স বাংলা ড্যান্স লোকসংস্কৃতির অনুষ্ঠান। মঙ্গলবার তথা মহানবমীতে গান পরিবেশন করবে পারিজাত বাংলা ব্যান্ড। বুধবার বিজয়াদশমীতে থাকবে রামধনু মিউজিক্যাল ট্রুপ। উৎসব কমিটির সভাপতি দুর্গাপদ মাইতি জানান, আমরা সারাবছর অপেক্ষা করে থাকি এই মিলন উৎসবের জন্য।





'আরাধনা' পত্রিকায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার, নাট্যকার চন্দন সেন, গায়ক প্রতুল মুখোপাধ্যায়, ররীন্দ্রগবেষক অমিত্রসূদন ভট্টাচার্য প্রমুখ। যশোধরা রায় চৌধুরী, সন্দীপ কাঞ্জিলাল গৌতম শঙ্কর চক্রবর্তী, বিশ্বজিৎ ভৌমিক, দেবাশিস ভট্টাচার্য প্রমুখের লেখায় সমৃদ্ধ 'আরাধনা' নিছক স্মরণিকা নয়, বরং হয়ে উঠেছে সংরক্ষণযোগ্য সাহিত্য পত্রিকা।



উল্লেখ্য, এই পূজা ও উৎসবের সূচনা করেছিলেন সমাজসেবী রজনীকান্ত দোলই। তিনি ছিলেন দীর্ঘদিনের জনপ্রিয় বিধায়ক। তাঁর অবর্তমানে তাঁর সুযোগ্য পুত্র তথা রয়েল একাডেমির অধ্যক্ষ সত্যব্রত দোলই-র তত্ত্বাবধানে এই দুর্গোৎসব হয়ে উঠেছে মিলনোৎসব। বর্তমান উৎসব কমিটি একান্ত কর্মপ্রচেষ্টায় তুলে ধরতে চাইছেন ঐতিহ্যকে। ঐতিহ্যের সঙ্গে জড়িয়ে আছে মিলনের আনন্দ, বাঙালির চিরন্তন সংস্কৃতি, সমাজকল্যাণকর নানা প্রচেষ্টা।



 এদিন দুর্গোৎসবের শুভ উদ্ধোধনে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক অজিত বেরা, চিকিৎসক গোলক মাজী, আইনজীবী দেবাশিস দাস, ক্রীড়াসংগঠক অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়, সমাজসেবী কুনাল বন্দ্যোপাধ্যায়, কবি ঋত্বিক ত্রিপাঠী প্রমুখ।




উৎসব কমিটির পক্ষ থেকে ডেঙ্গু সচেতনতা বাড়াতে স্থানীয় গরিব মানুষদের হাতে মশারি উপহার দেওয়া হয়।