Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

অতীতে তৃণমূলের একনিষ্ঠ কর্মী চিত্ত মাইতি কে তমলুক জেলা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারপারসনের দায়িত্ব দিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

তমলুকঃ কৃতজ্ঞতার কথা ভুললেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।২০০৭ সালে নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় তমলুকের মাইতি দম্পতি চিত্ত মাইতি এবং শিখা মাইতি দুজনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শাড়ি, ব্লাউজ, দাঁত মাজার পেস্ট  ও ব্রাশ দিয়েছিলো। সেটা সেদিন খুব প্র…



তমলুকঃ কৃতজ্ঞতার কথা ভুললেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।২০০৭ সালে নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় তমলুকের মাইতি দম্পতি চিত্ত মাইতি এবং শিখা মাইতি দুজনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শাড়ি, ব্লাউজ, দাঁত মাজার পেস্ট  ও ব্রাশ দিয়েছিলো। সেটা সেদিন খুব প্রয়োজন ছিলো। তাই সেদিনের কথা আজও ভুলতে পারেনি বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  চলতি মাসের ১৪ তারিখে তমলুকে জেলাশাসকের দপ্তরে প্রশাসনিক বৈঠক করতে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, " আসার সময় রাস্তায় চিত্ত মাইতি ও শিখা মাইতিকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলাম। যখন নন্দীগ্রামে আসতাম, একদিন নন্দীগ্রামে রাতের বেলায় এসেছিলাম। আমার কাছে কিছু ছিলো না। চিত্ত মাইতি ও শিখা মাইতি শাড়ি, ব্লাউজ,  পেস্ট ও ব্রাশ দিয়েছিলো। ওগুলো ঐসময় খুব প্রয়োজন ছিলো। চিত্ত মাইতির খোঁজ খবর নেন তিনি। জানতে চান।এডভোকেট  ছাড়া আর কি করে? কি কমিটিতে আছে? সরকারি কি কমিটিতে আছে তেমন। এই সব কথা বলার কয়েকদিনের মধ্যেই চিত্ত মাইতিকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক জেলা হাসপাতালের রুগি কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেন।বুধবার  সেই চিঠি এসে পৌঁচেছে তমলুক জেলা হাসপাতালের।  তমলুক জেলা হাসপাতালের রুগি কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী, তমলুকের বিধায়ক সৌমেন কুমার মহাপাত্র।  সেই জায়গায় দায়িত্ব  দেওয়া হলো চিত্ত মাইতিকে। চিত্ত মাইতি ও শিখা মাইতি দুজনেই তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে মমতার সাথে থেকে কাজ করেছে। দুজনেই দলের একাধিক দায়িত্ব সামলিয়েছেন। বর্তমান সময়ে দুজনেই দলের সেইভাবে দায়িত্বে নেই। প্রবীনদের দায়িত্ব দিয়ে আবার কাজ করার সুযোগ করে দিলো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 



চিত্ত ও শিখা মাইতির ছেলে পার্থসারথি মাইতি বর্তমানে তাম্রলিপ্ত পুরসভার কাউন্সিলর।তিনি জানান, দলের সেইভাবে কাজ করার দায়িত্ব না পাওয়ায় শরীর অনেকটাই ভেঙ্গে যায়। দিদি বাবা ও মায়ের কথা মনে রেখেছে এতেই আমরা ভীষণ খুশি। মমতার মুখে চিত্ত ও শিখা মাইতির কথা শুনে গত ১৪ তারিখ তমলুকের প্রশাসনিক বৈঠক সেরে যখন মেদিনপুর যাচ্ছিলো সেই সময় ছেলে পার্থসারথি মাইতিকে সাথে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে দেখা করেন। তার এক সপ্তাহের মাথায় দায়িত্ব  পেলো চিত্ত মাইতি।