Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

রুশিলের বিশ্বমানের, স্বয়ংক্রিয়, ভারতে নির্মিত MDF প্ল্যান্ট এই অঞ্চলে জলবায়ু রক্ষাকে আরও জোরদার করবে

দেবাঞ্জন দাস,২০ অক্টোবর : রুশিল ডেকোর ( RUSHIL) স্মার্টার লিভিং সলিউশনসে পৃথিবীর অগ্রগণ্য কোম্পানি, যারা আধুনিক আবাসিক ও বাণিজ্যিক স্থানগুলোর চেহারা বদলে দেয়। এই কোম্পানি তাদের বিশ্বজোড়া কার্যকলাপ আরও ছড়িয়ে দিল ভারতের অন্ধ্রপ্রদে…


দেবাঞ্জন দাস,২০ অক্টোবর : রুশিল ডেকোর ( RUSHIL) স্মার্টার লিভিং সলিউশনসে পৃথিবীর অগ্রগণ্য কোম্পানি, যারা আধুনিক আবাসিক ও বাণিজ্যিক স্থানগুলোর চেহারা বদলে দেয়। এই কোম্পানি তাদের বিশ্বজোড়া কার্যকলাপ আরও ছড়িয়ে দিল ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের অচুতপুরমে সর্বপ্রথম, বিশ্বমানের, অত্যাধুনিক, অ্যাগ্রোফরেস্ট্রিভিত্তিক, টেকসই, পরিবেশবান্ধব ফিউচার বোর্ড (মিডিয়াম ডেনসিটি ফাইবারবোর্ড বা MDF) তৈরির প্ল্যান্ট নির্মাণ করে।

 স্মার্ট নির্মাণের দ্বারা চালিত এবং সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় রোবোটিক উৎপাদন ব্যবস্থার এই প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত প্ল্যান্ট কৌশলগতভাবে কাঁচামালের উৎস যেসব অ্যাগ্রোফরেস্ট্রি উদ্ভিদবিশিষ্ট জমি তার কাছাকাছি অবস্থিত। ফলে পরিবেশবান্ধব জীবনযাত্রা সম্ভব হয়, আনা নেওয়ার প্রভাব কমে এবং ক্ষতিকর গ্যাস নির্গমন হ্রাস পায়।

 এই সম্পূর্ণ ইন্টিগ্রেটেড প্ল্যান্টে লগ্নির পরিমাণ উল্লেখযোগ্য – ৫০০ কোটি টাকার বেশি। বিনিয়োগের পরিমাণ দেখে বোঝা যায় দেশিয় উৎপাদন ক্ষমতা এবং কার্যকরী দক্ষতা বৃদ্ধি সম্পর্কে রুশিল ডেকোরের দীর্ঘমেয়াদি চিন্তাভাবনা আছে, যা মূল্যযুক্ত পরিষেবাগুলোর সম্ভার বৃদ্ধি করে। এ থেকে রুশিলের ব্যবসা ও এই গ্রহকে আরও টেকসই করার ব্যাপারে দায়বদ্ধতাও বুঝতে পারা যায়।

 ক্রুপেশ জি ঠক্কর, সিএমডি, রুশিল ডেকোর ইন্ডিয়া লিমিটেড, বললেন “রুশিল ডেকোরের স্বয়ংক্রিয়, বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন, ইন্টিগ্রেটেড এবং উদ্ভাবনীমূলক প্রাকৃতিক সম্পদকে ভালভাবে ব্যবহার করা এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠী, জাতি এবং এই গ্রহের উন্নততর ভবিষ্যতের জন্য অবদান রাখার প্রতি জোরালো দায়বদ্ধতার চিহ্ন। বিশ্বের বাজারে দ্রুততর ডেলিভারির জন্য কৌশলগতভাবে অবস্থিত আরডিএলের নতুন বিশ্বমানের, ভারতে নির্মিত প্ল্যান্ট দেশের MDF তৈরি করার বর্তমান ক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করবে, খরচসাপেক্ষ আমদানি কমাবে এবং দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বাঁচাবে। ফলে এক উন্নততর গ্রহ তৈরি হবে।”

 এই স্বয়ংক্রিয় প্ল্যান্টের বার্ষিক পূর্ণ ক্ষমতা প্রায় ২,৪০০ ঘনমিটার। এই প্ল্যান্ট পৃথিবীর সবচেয়ে বড়, সবচেয়ে আধুনিক, সবচেয়ে সুরক্ষিত এবং সবচেয়ে স্মার্ট নির্মাণ প্ল্যান্টগুলোর মধ্যে পড়ে। ফলে এখানে ইঞ্জিনিয়ার্ড ফায়ারবোর্ড শিল্পক্ষেত্রের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিনিয়োগ হয়। এই প্ল্যান্টের সম্পূর্ণ ক্ষমতার ব্যবহার সম্ভব হলে এর সাহায্যে আরডিএলের MDF সেগমেন্ট থেকে ১০০০ কোটি টাকার রাজস্ব পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

 শিল্পক্ষেত্রের অনুসন্ধান অনুযায়ী ক্রেতাদের ক্রমবর্ধমান সচেতনতা এবং প্রয়োগের বিস্তীর্ণ সম্ভারের কারণে ভারতে MDF গ্রহণ ও ব্যবহার বাড়ছে। তাই এই শিল্পক্ষেত্র ১৫%-২০% CAGR-এ বৃদ্ধি পেয়ে ২০২১ সালে ৩,০০০ কোটি থেকে ২০২৬ সালের মধ্যে ৬,০০০ কোটিতে পৌঁছে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

 ভারত MDF-এর ক্ষেত্রে এক উল্লেখযোগ্য দেশ, কারণ এখানে ইন্টেরিয়র পরিকাঠামোর অগ্রগণ্য মালমশলা হিসাবে MDF ব্যবহার করা হচ্ছে। যেসব বিচক্ষণ ক্রেতা এবং আধুনিক অফিস এমন দায়িত্বশীল প্রোডাক্ট খোঁজে যেগুলো কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমায়, দ্রুত নগরায়ন, রেলটি ক্ষেত্রের অবস্থার উন্নতি এবং ক্রমবর্ধমান ছোট পরিবার MDF-এর বৃদ্ধি আরও বাড়াবে। এই বৃদ্ধির চালিকাশক্তি হবে ভারতীয় ওয়ার্ক ফ্রম হোম (WFH) আসবাবের বাজার, যা ২০২৬ আর্থিক বর্ষের মধ্যে ৩.৪৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছে যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। MDF ব্যবহারের ৬০%-ই হয় বাণিজ্যিক প্রয়োজনে, যদিও আবাসিক সেগমেন্টও গতি বাড়াচ্ছে। উন্নত দেশগুলোতে ৭০% মার্কেট শেয়ারের বিপরীতে ভারতে MDF-এর ৩০% মার্কেট শেয়ার এর উজ্জ্বল সম্ভাবনার দিকটা দেখায়।

 

MDF একটা এঞ্জিনিয়ার্ড প্রোডাক্ট যাকে শক্তিশালী করার জন্য উচ্চ চাপে থার্মোসেটিং রেসিন ও মোম ব্যবহার করে বন্ড করা উড ফাইবার দিয়ে তৈরি। ফলে উচ্চ তাপমাত্রা ও চাপের কারণে সুন্দর প্যানেল তৈরি হয়। MDF-এর নানাবিধ গুণ তাকে কাঠ, প্লাইউড ও পার্টিকল বোর্ডের এক আদর্শ বিকল্প করে তুলেছে।