বিষয়: হারিয়ে যাচ্ছে শৈশব।শিরোনাম: বিপন্ন শৈশব।কলমে: কল্পনা মজুমদার।তারিখ: ১১/১০/২০২২
হারিয়ে যাচ্ছে শৈশব শৃংখলের সীমারেখার সীমাবদ্ধতায়।বিপন্ন শৈশব আজ বাধার প্রাচীরের অন্তরায়।বদ্ধ গৃহে ওরা থাকে মুক্ত আকাশ চাঁদ তারা জ্যোৎস্না সব…
বিষয়: হারিয়ে যাচ্ছে শৈশব।
শিরোনাম: বিপন্ন শৈশব।
কলমে: কল্পনা মজুমদার।
তারিখ: ১১/১০/২০২২
হারিয়ে যাচ্ছে শৈশব শৃংখলের সীমারেখার সীমাবদ্ধতায়।
বিপন্ন শৈশব আজ বাধার প্রাচীরের অন্তরায়।
বদ্ধ গৃহে ওরা থাকে মুক্ত আকাশ চাঁদ তারা জ্যোৎস্না সবকিছু ছেড়ে।
রুদ্ধ ঘরে বৈদ্যুতিক আলোয় অসংখ্য বইয়ে মুখ গুঁজে প্রকৃতি দেখেনা ফিরে।
ঘাড়ে রাশি রাশি বইয়ের বোঝায় ওরা কুঁজো প্রায়।
অতি শৈশবে সব নামিদামি বিদ্যালয় ভিড় জমায়।
নানা প্রতিযোগিতায় ওদের ব্যস্ততা ঘড়ির রুটিনে চলে দিন।
কখনও আঁকা কখনোবা তবলা কখনওবা নাচ গান।
খেলার মাঠ ভুলে গেছে ওদের শরীর চর্চা দূর অন্ত।
সাথী হারা ওদের জীবন মোবাইল করেছে সর্বস্বান্ত।
ছ'মাসের শিশুকেও মোবাইল হাতে দিয়ে গৃহ কাজে মগ্ন মাতা।
মোবাইলে আসক্ত শিশু বেড়ে ওঠে হারিয়ে ফেলে স্বকীয়তা।
শৈশব বিপন্ন আজ একান্নবর্তী পরিবার ভেঙে গেছে।
নিউক্লিয়ার সংসারে সন্তান শুধুমাত্র একাকিত্বে টিকে আছে।
শিশুর জন্য কর্মরত মায়ের বেছে নিতে হয় আয়া নির্ভর জীবন।
দিনশেষে ক্লান্ত মাতা গৃহে ফিরে অক্ষম করতে সঠিক লালন পালন।
কালে কালে প্রথা প্রতি ঘরে ঘরে একটিমাত্র শিশুর আগমন।
শৈশব হারিয়ে গেছে ওরা পায় না নিজেদের স্বজন ভাই বোন।
দিগন্ত জোড়া সুবিশাল খেলার মাঠ দেয় না ওদের হাতছানি।
সফলতার প্রতিযোগিতায় সেরা হলে হয় মা বাবার চোখের মনি।
নিত্য নতুন যান্ত্রিক উপঢৌকনে শিশুরা গৃহকোণে খেলতে বসে তড়িহরি।
যন্ত্রপাতি খুলে আর জোড়ে যান্ত্রিক জীবনে হয় ওদের হাতে খড়ি।
ছন্দময় প্রাণবন্ত দুরন্ত কৈশোর জীবন খোলা মাঠে আকাশের তলে।
আজিকার শিশু একাকিত্বে ভোগে সাথী হারা নিয়তির পরিহাসে গেছে ভুলে।
ঠাকুরমার ঝুলির গল্প শোনা আজ আর হয় না ওদের।
ওরা দেখে টিভির পর্দায় অথবা মোবাইল অ্যাপে গল্প প্রযুক্তির।
ওরা আজ প্রযুক্তির জালে বদ্ধ জীবনে কৃত্রিম শৈশব কাটায়।
অনাবিল সুন্দর দুরন্ত শৈশব কাল হারিয়ে গেছে যে হায়!