+বিচিত্র ভাবনা+রবীন্দ্রনাথ হালদার।কাল্পনিক কবিতা।১৬/১১/২০২২.+++++++++++++++++যখন মনে-মনে হাসি পায়,ভাবি মেঘ হয়ে ভেসে বেড়াই আকাশের গায়।এইভাবে ঘুরতে-ঘুরতে যদি কোনোদিন বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়তে পারি হিমালয়ের পা'য়।আর কখনো যদি দে…
+বিচিত্র ভাবনা+
রবীন্দ্রনাথ হালদার।
কাল্পনিক কবিতা।
১৬/১১/২০২২.
+++++++++++++++++
যখন মনে-মনে হাসি পায়,
ভাবি মেঘ হয়ে ভেসে বেড়াই আকাশের গায়।
এইভাবে ঘুরতে-ঘুরতে যদি কোনোদিন বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়তে পারি হিমালয়ের পা'য়।
আর কখনো যদি দেখতে পাই গগনচুম্বী সেই উত্তুঙ্গ পাহাড়,
সারা গায়ে জড়িয়ে আছে তুষারশুভ্র চাদর তাহার।
আবার কখনো ভাবি হই সবুজ কচুরিপানা,
নদীর জলে ভাসিয়ে দিয়ে ডানা,
সাগরের বুকে হারিয়ে যাই কেউ করবেনাকো মানা।
আবার কখনো যদি কোনো কারনে মাথায় উঠে যায় রাগ
তখন ভাবি আমি এখনই হয়ে যায় সুন্দরবনের মানুষখেকো বাঘ,
তখন আবার মাথায় আরো বেড়ে যায় রাগ,
মনে হয় এখনই আসানসোলের জঙ্গলে গিয়ে খেয়ে আসি মানমেড কাগুজে বাঘ।
আবার কখনো ভাবি আমি হয়ে যাই মহাভারতের গান্ধারীর মতো মা,
আমার সন্তানেরা যত অন্যায় করুক না কেন তাদের আমি বারণ করব না।
আমিতো জানি তারা এক একটি শয়তানের অংশ,
আরো জানি তাদের পাপেই একদিন আমার গোটা বংশ, হয়ে যাবে ধ্বংস।
কিন্তু আমিতো সর্বংসহা নারী,
আমি তাদের অন্যায়ের জন্য নিজে ক্ষমাও চাইতে পারি,
কিন্তু তাদের অন্যায় কাজ থেকে বিরত থাকতে বারণ করতে কভু নাহি পারি।
আবার কখনো ভাবি আমি হই কোনো গাঙচিল,
প্রতিদিনই সকাল হলে খুঁজে ফিরি কোনো মৎস্য ভরা বিল।
সারাদিন ধরে,
মৎস্য শিকার করে,
উদরপূরণের পরে,
সাঁঝের বেলায় ফিরে এসে ঘরে,
ঘুমিয়ে পড়ার আগেই ঈশ্বরের নাম স্মরণ করি,
সারাদিনের ক্লান্তি আর সুখ নিয়ে ঘুমিয়ে আমি পড়ি।
আবার কখনো আমি ভাবি,
ঈশ্বরের কাছে করি আমি দাবি,
তিনি একবার আমার কাছে দিয়ে দিন জীবনের সব ইচ্ছাপূরণের চাবি।
পরে আবার আমি মন- মনে ভাবি,
তিনি কোনোদিনই পূরণ করবেন না আমার মনের ইচ্ছাপূরণের দাবি।
তাই আমার মনের সকল ইচ্ছা আমার মনের মধ্যেই থাকুক,
তবে তিনি যখন পৃথিবীতে মানুষ করে পাঠিয়েছেন আমায় তাই আপাতত তিনি মানুষ হিসাবেই আমাকে ভালোভাবে রাখুক।