নিজস্ব সংবাদদাতা,গোপীবল্লভপুর ,ঝাড়গ্রাম.... রবিবার ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর-১নং ব্লকের পূর্বভাতভাঙ্গায় সমাজসেবী সংগঠন "দিগন্তের দিশারী" পরিচালিত অবৈতনিক পাঠশালা "আলোর দিশারী"র নতুন পাঠভবনের দারোদ্ঘাটন হো…
নিজস্ব সংবাদদাতা,গোপীবল্লভপুর ,ঝাড়গ্রাম.... রবিবার ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর-১নং ব্লকের পূর্বভাতভাঙ্গায় সমাজসেবী সংগঠন "দিগন্তের দিশারী" পরিচালিত অবৈতনিক পাঠশালা "আলোর দিশারী"র নতুন পাঠভবনের দারোদ্ঘাটন হোল।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও দারোদ্ঘাটন করেন গ্রামের ক্ষুদ্র মুদি দোকানি তথা বিদ্যালয়ের জন্য জমিদাতা সমাজসেবী মানিক দাস।দ্বারোদ্ঘাটনের পাশাপাশি এদিন পাঠশালার শিশু শিক্ষার্থীগন ও দিদিমনির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় একটি সাংস্কৃতিক কর্মসূচিও অনুষ্ঠিত হয়।গত ১লা মে,২০২২ দারিদ্র কবলিত পূর্বভাতভাঙ্গায় একটি ত্রিপলের চালার নিচে এই পাঠশালার পথ চলা শুরু হয়েছিল।
এমনিতেই আর্থিক দিক থেকে কিছুটা পিছিয়ে থাকা এই এলাকার অধিকাংশ পরিবারই শিক্ষার বিষয়ে উদাসীন। আর্থিক সমস্যা এই পরিবারগুলির ছেলেমেয়েদের শিক্ষালাভে একটা বড় বাধা। আবার কোভিড পরবর্তি পরিস্থিতিতে শিশুশিক্ষার্থীদের মধ্যে পড়াশোনার প্রতি তৈরী হয় বাড়তি অনীহা। বেড়ে যায় স্কুল ছুটের সংখ্যা। এইরকম পরিস্থিতিতেই "দিগন্তের দিশারী" সংস্থার উদ্যোগে মানিকবাবুর জমিতে প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী, বর্তমানে কলেজ পড়ুয়া প্রদীপ দাস, পূর্ণচন্দ্র টুডু ও আর্পিতা দাসের তত্বাবধানে ৩৫ জন শিশুকে নিয়ে পাঠশালাটি শুরু হয়। বর্তমানে ছাত্র সংখ্যা ৬৫। জঙ্গলমহলের তপশিলী জাতি ও তপশিলী জনজাতি অধ্যুসিত এলাকায় অবস্থিত এই পাঠশালাটির উন্নয়নকল্পে পরবর্তীকালে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন হাওড়ার 'লিলুয়া নিবেদিতা সংঘ', ঝাড়গ্রামের 'সাথে আছি' সহ বেশ কিছু সমাজসেবী সংগঠন ও অসংখ্য শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিরা। আর তারই ফল স্বরূপ এদিন স্থায়ী অ্যাসবেস্টস শীটের ছাউনি আর কংক্রিটের মেঝে সহযোগে নির্মিত নতুন উন্মুক্ত পাঠভবন।
এদিন অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্যায়ে সংগঠন পরিচালিত অবৈতনিক অংকন স্কুলের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঝাড়গ্রামের সংস্থা "ফিলিংস" এর সৌজন্যে আয়োজিত "ফিলিংস বসে আঁকো" প্রতিযোগিতার সফল প্রতিযোগীদের পুরস্কৃত করা হয়। এই অনুষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রী ও সংগঠনের সদস্যরা ছাড়াও উপস্হিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী প্রাক্তন বি.এস.এফ. কর্মী মাননীয় সত্যব্রত রাউৎ ও প্রাক্তন জাতীয় ভলিবল খেলোয়াড় ও সমাজসেবী বিকাশ চন্দ্র রথ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। কর্মসূচি সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতে দিগন্তের দিশারীর পক্ষে সবাইকে ধন্যবাদ জানান সংস্থার সভাপতি শিক্ষক অঞ্জন জানা ও সংস্থার প্রবীণ সদস্য প্রাক্তন শিক্ষক পঙ্কজ কুমার গিরি।