Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

আবারও নাবালিকার দিয়ে রুখে দিল গোলাড় সুশীলা বিদ্যাপীঠের কন্যাশ্রী ক্লাব!

নিজস্ব সংবাদদাতা, মেদিনীপুর.... নাবালিকা বিয়ে রুখে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাকে গর্বিত করলো সুশীলা বিদ্যাপীঠের মেয়েরা।আবারো নাবালিকার রুখে দিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর ব্লকের গোলাড় সুশীলা বিদ্যাপীঠের কন্যাশ্রী ক্লাবের ছাত্রী…



নিজস্ব সংবাদদাতা, মেদিনীপুর.... নাবালিকা বিয়ে রুখে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাকে গর্বিত করলো সুশীলা বিদ্যাপীঠের মেয়েরা।আবারো নাবালিকার রুখে দিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর ব্লকের গোলাড় সুশীলা বিদ্যাপীঠের কন্যাশ্রী ক্লাবের ছাত্রীরা। শুক্রবার গোলাড় সুশীলা বিদ্যাপীঠের কন্যাশ্রী ক্লাবের ছাত্রীরা খবর পায় তাদের স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর এক সহপাঠীর আগের রাতে বিয়ে হয়েছে।খবর পেয়ে বরের বাড়িতে পৌছে যায় কন্যাশ্রী ক্লাবের ছাত্রীরা।বরের বাড়ি ঘেরাও করে তার অবিলম্বে তাদের সহপাঠীকে ছাত্রীকে ফেরত দেওয়ার দাবি জানায়।পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে ওই ছাত্রীকে ঘুরপথে বাপের বাড়িতে ফেরত পাঠায় পাত্রের বাড়ীর লোকেরা। ঘটনাস্থলে ছুটে যান কেশপুর থানার পুলিশ, বিডিও অফিসের আধিকারিকরা। ঘন্টাখানেকের মধ্যে ইউনিফর্ম পরিয়ে ওই ছাত্রীকে বিদ্যালয়ে নিয়ে আসে কন্যাশ্রী ক্লাবের সদস্যরা। "সাবালিকা না হলে মেয়ের বিয়ে দেব না" মেয়েটির বাড়ির লোকেদের কাছ থেকে এই মর্মে মুচলেকা আদায় করেন কেশপুর বিডিও অফিসের আধিকারিকরা।গোলাড় সুশীলা বিদ্যাপীঠের অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রী শিল্পা মান শুক্রবার বিদ্যালয়ে হাজির হয়নি। স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, ওই ছাত্রীর আগের রাতেই বিয়ে হয়েছে প্রতিবেশী এক যুবকের সাথে।এই নাবালিকার বিয়ে আটকানোর জন্য খবর পাওয়ার সাথে সাথেই দৌড়ায় কন্যাশ্রী ক্লাব। বিদ্যালয় থেকে কিছুটা দূরেই ওই ছাত্রীর বাড়ি। ছাত্রীর বাড়ির লোকজন তখন জানায় জানায় সে মাসির বাড়ি গিয়েছে। কথাবার্তা সন্দেহজনক মনে হওয়াতে খোঁজ নিয়ে কন্যাশ্রী ক্লাবের সদস্যারা ছাত্রীর বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে থাকা পাত্রের বাড়িতে হাজির হয়ে যায়। বাড়ি ঘেরাও করে অবিলম্বে ছাত্রীকে ফেরত দেওয়ার দাবি করে। বিয়ের কথা অস্বীকার করে ছেলের বাড়ির লোকজন। তারা জানায় ছাত্রী এখানে নেই।


অন্যদিকে বিদ্যালয় মারফত খবর যায় পুলিশ ও বিডিও অফিসে। কেশপুর থানার পুলিশ সহ বিডিও অফিসের আধিকারিকরা হাজির হয়ে যায় ওই বাড়িতে। পরিস্থিতি বেগতিক মনে হওয়াতে ছাত্রীকে সরিয়ে দেওয়া হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই ছাত্রী তার নিজের বাপের বাড়িতেই দেখা যায়। ছাত্রীটির জানায়, "বাবা-মা বিয়ে দিয়ে দেবে জানতে পেরে আমি মাসির বাড়িতে চলে গিয়েছিলাম। আমি স্কুলে যাব।" কেশপুর থানার পুলিশ এসে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। ছাত্রীটিকে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না করার পরামর্শ দেওয়ার সাথে সাথেই ছাত্রীর বাবা-মাকেও এ বিষয়ে সাবধান করে দেয় পুলিশ। বিডিও অফিসের আধিকারিকরা লিখিত মুচলেকা নেন ছাত্রীর বাবা-মায়ের কাছ থেকে।

কেশপুর বিডিও অফিসের আধিকারিক পিয়ালী কুইলা বলেন " ছাত্রীসহ তার পরিবারকে বোঝানো হয়েছে। বিয়ে বাতিল করে পড়াশোনা করাবে এমন মুচলেকা লেখানো হয়েছে।"

ছাত্রীরটির বাবা বিয়ের কথা মানতে চাননি।তিনি বিয়ের অভিযোগকে মিথ্যা বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, "বিয়ে এখনো দিইনি। মেয়ে মাসির বাড়ি গিয়েছিল।" বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা লিপিকা দাস বলেন " কন্যাশ্রী ক্লাবের সফলতা এটা। এর আগেও একাধিকবার এইভাবে নাবালিকার বিয়ে আটকে ছিল ওরা। রাজ্য স্তরের সম্মানিত হয়েছিল। আজকে ফের একই সফলতা পেলাম আমরা।"। কন্যাশ্রী ক্লাবের ছাত্রীদের এই কাজে খুশি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সুরেশ পড়িয়া সহ অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা।